আমাদের দেশে বর্ষা ও শরতে আমড়া পাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি।
বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া ও নোংরা পানিতে ভেসে বেড়ায় অনেক জীবাণু। এসব জীবাণুর বিরুদ্ধে আমড়ার ভিটামিন সি মানব দেহে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ ছাড়া ভিটামিন সি দাঁতের মাড়ি শক্ত করে, দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত-পুজ-রক্তরস বের হওয়া প্রতিরোধ করে।
আমড়ার ভেতরের অংশের চেয়ে বাইরের খোসায় রয়েছে বেশি ভিটামিন সি আর ফাইবার বা আঁশ, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দ্বিগুণ শক্তিশালী করে।
আমড়ার আঁশজাতীয় খাবার পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্রের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
তাই খোসাসহ আমড়া খাওয়াই উত্তম। তবে খোসা অতিরিক্ত টক ও সবাই হজম করতে পারে না। দুর্বল হজমশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিদের আমড়ার খোসা না খাওয়াই ভালো।
চর্বি বা কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃৎপিণ্ডে সঠিকভাবে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে আমড়া। তাই উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের রোগীরা অনায়াসে এবং নিশ্চিন্তে আমড়া খেতে পারেন। তবে পাকা আমড়া ডায়াবেটিক রোগীদের পরিহার করাই ভালো। কারণ পাকা আমড়ায় সুগার বেশি থাকে।
সূত্র : ইন্টারনেট।
Comments 1