Home  • Online Tips • Health

পেটের চর্বি না কমার ১১ কারণ

শরীরের ওজন মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে, বিশেষ করে পেটে চর্বি জমলে তা হৃদরোগ ও টাইপ টু ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এ বিষয়টি অনেকেরই জানা। তার পরও অনেকের পেটে মাত্রাতিরিক্ত চর্বি জমে যায়। এটি কমানোর জন্য ব্যায়াম থেকে শুরু করে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনা পর্যন্ত অনেক ধরনের চেষ্টা করেও কোনো সুফল পাচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে থাকতে পারে ভুল ডায়েটিং কিংবা ভুল শারীরিক অনুশীলনের মতো বিষয়। এ লেখায় থাকছে তেমনই ১১টি বিষয়, যা আপনার ওজন বা পেটের চর্বি কমানোর চেষ্টা ভণ্ডুল করে দেয়। ১. বয়স : বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহেও নানা পরিবর্তন হয়। অনেকের ওজন বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে পুরুষ বা নারী, উভয়েরই ওজন বাড়তে পারে। মধ্যবয়সী নারীদের মেনোপজের জন্য পেটে বাড়তি চর্বি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তবে ভালো খবর হলো, চিকিৎসকের সহায়তায় এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়। ২. ভুল ব্যায়াম : অনেকেই বড় কোনো ব্যায়াম প্রোগ্রামের একাংশ চর্চা করেন। কিন্তু আপনি যদি শুধু হৃৎপিণ্ডের জন্য ব্যায়াম করেন তাহলে তা পেটের চর্বি কমাতে ভূমিকা রাখবে না। এ জন্য সঠিক ব্যায়াম করতে হবে। পেটের চর্বি কমানোর জন্য প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ২৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম বা ১২৫ মিনিট উচ্চমাত্রার নির্দিষ্ট ব্যায়াম করা যেতে পারে। ৩. অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া : অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন ক্র্যাকার্স, চিপস, পরিশোধিত চিনি, কোমল পানীয়, মিষ্টি খাবার ইত্যাদি পেটের চর্বি বাড়িয়ে দেয়। এর বদলে প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া খাবার যেমন ফলমূল, সবজি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ অন্যান্য খাবার আপনার পেটে চর্বি জমা থেকে রক্ষা করবে। ৪. ভুল চর্বি খাওয়া : মানবদেহ সব ধরনের চর্বিতে একই আচরণ করে না। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চমাত্রায় দ্রবীভূত চর্বি (মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের চর্বি) গ্রহণ পেটের চর্বি বাড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে কিছু উদ্ভিদ, মাছ, সূর্যমুখী তেল ও অলিভ অয়েলে থাকা অদ্রবীভূত চর্বি ক্ষতিকর নয়, বরং সঠিকভাবে গ্রহণ করা হলে এগুলো পেটের চর্বি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। অবশ্য মাত্রাতিরিক্ত যেকোনো খাবার গ্রহণই ক্ষতিকর হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ৫. পর্যাপ্ত শারীরিক অনুশীলন না করা : পেটের চর্বি কমানোর জন্য অনেকেই অল্প মাত্রায় শারীরিক অনুশীলন করে। এতে অনেকেই কোনো উপকার পায় না। এর কারণ হতে পারে অপর্যাপ্ত অনুশীলন। তাই শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে পেটের চর্বি কমানোর জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় কোনো পরিবর্তন নাও হতে পারে। ৬. ভুল অনুশীলন : অনেকেই পেটের চর্বি কমার সামান্য লক্ষণ দেখলেই অনুশীলন বাদ দেয়। ব্যায়াম পুরোপুরি সফল হওয়ার আগেই যদি আপনি অনুশীলন ছেড়ে দেন তাহলে এর ফল ধরে রাখা সম্ভব হবে না। এ ছাড়া রয়েছে শুধু পেটের অনুশীলনের মতো কাজ করা। এ ক্ষেত্রে পুরো দেহের জন্য সুষম অনুশীলন করা হতে পারে সঠিক উপায়। ৭. মানসিক চাপ : আপনার যদি কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা, সন্তান ইত্যাদি নিয়ে অতিরিক্ত চাপের মাঝে থাকতে হয় তাহলে তা পেটের চর্বি বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য উপায় প্রয়োগ করার আগে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। ৮. ঘুমের স্বল্পতা : আপনার যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তাহলে তা দেহের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। যার অন্যতম রূপ হতে পারে পেটের চর্বি বৃদ্ধি। এ জন্য ব্যক্তিভেদে প্রতি রাতে সাত থেকে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমানোর প্রয়োজন হয়। ৯. আপনার দেহের গঠন : অনেকের দেহের মাঝখানের অংশ বিশেষ করে পেট, থাই, উরু ইত্যাদি গঠনগত কারণেই মোটা থাকে। জেনেটিক কারণে এমনটা হতে পারে। এ ধরনের ব্যক্তির ক্ষেত্রে পেটের চর্বি কমানো কঠিন; তবে অসম্ভব নয়। এ জন্য বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়। ১০. অসুস্থতা : টেস্টোস্টেরনের মাত্রার ওপর দেহের অনেক বিষয় নির্ভর করে। এ হরমোন দেহে উচ্চমাত্রায় থাকলে তা ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে। ১১. উৎসাহের অভাব : পেটের চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে উৎসাহের সঙ্গে অনুশীলন করার কোনো বিকল্প নেই। আপনি যদি পেটের চর্বি কমাতে চান আবার সব উপায় ঠিকঠাক মেনে না চলেন তাহলে তা কোনো উপকারে আসবে না। - টাইম

Comments 0


Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd