সব সময়ের জন্য ওজন কম রাখতে হলে জীবন ধারায় সামান্য কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। ওজন কমাতে হবে ধীরে ধীরে। খাবার ও দৈহিক শ্রমের ব্যাপারে সামান্য পরিবর্তন আনুন। স্বল্প সময়ে বেশি ওজন কমানোর দরকার নেই। প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে একটি পরিবর্তন অভ্যাস করুন আর তা আপনার জীবনের সাথে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন ওজন কমাতে হবে ধীরে ধীরে। আপনার ওজন একদিনে বাড়েনি। তাই আপনার ওজন একদিনে কমে যাবে এমনটি আশা করা ঠিক হবে না। ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকলে আপনার শরীর নতুন খাদ্য ব্যবস্থার সাথে মানিয়ে নিতে পারবে।
একমাসে ২ থেকে ৩ কিলোগ্রাম করে ওজন কমানো একটি স্বাস্থ্যকর পদক্ষেপ।
খাবারে ক্যালোরি কমানোর কিছু সহজ উপায়, যা আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে-
# ক্যালরি বিহীন ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন সালাদ, সবজি, স্যুপ।# খাওয়ার টেবিলে রকমারি খাবার কম রাখুন।# বর্জন করুন ফাস্টফুড, কোমল পানীয় ও তেলে ভাজা খাবার।# খাওয়ার সময় বা পরে মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাবেন।# বেশি করে শাকসবজি ও ফলমূল খান। বেশি মাছ খান, চামড়াসহ মুরগি, গরু ও খাসীর মাংস কম খাওয়ার অভ্যাস করুন।# ডিম ভাজি বা পোঁচ বাদ দিয়ে সিদ্ধ ডিম খান। একটি ডিমের বদলে দুটি ডিমের সাদা অংশ খান।# দুধ চিনি ছাড়া হলে চা / কফি তে বাধা নেই।# রান্নায় বেশি পানি ব্যবহার করুন। তেল মশলা যতোটা সম্ভব কমিয়ে দিন।# রান্নায় তেল কমানোর জন্য নন স্টিক প্যান ব্যবহার করুন।# নারিকেল ঘি, ডালডা- এসব দিয়ে রান্না করবেন না। ভুনা খাবার বাদ দিন।# বেশি করে পানি পান করুন। দিনে অন্তত ৬ থেকে ৮ গ্লাস। খাওয়ার আগে ১ থেকে ২ গ্লাস পানি পান করুন।# খাবার গিলে ফেলার আগে খুব ভালো করে চিবিয়ে নিন। রান্নার সময় খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন।# খাওয়ার সময় টিভি দেখা, খবরের কাগজ পড়া, বা অন্যদের সাথে গল্প করবেন না। এতে বেশি খেয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে।# স্নেহ বর্জিত দুধ বেছে নিন কিংবা দুধ জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করার পর দুধের সর সরিয়ে দুধ খান।# সালাদে কোনও মাছ বা মাংসের টুকরা মেশাবেন না।# তাজা ফল খান, কাস্টার্ড বা জুস হিসেবে নয়।# উচ্চ ক্যালরির খাবার গুলো বাদ দিয়ে নিম্ন ক্যালরির খাবার দিয়ে একটি সুষম খাদ্য তালিকা তৈরি করুন এবং তা মেনে চলুন।# সর্বোপরি কাজে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করুন। অলস জীবনযাপনে খাবারের চাহিদা বেড়ে যায়।
লিখেছেনঃ ডাঃ এম এম রহমান রাজীব
মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ
Comments 1