একটি সুন্দর হাসি সবারই কাম্য। আর তা যদি হয় মুক্ত ঝরা হাসি, তাহলে তো কথাই নেই। আর সেই মুক্ত ঝরা হাসি সেই হাসতে পারে যার রয়েছে মুক্তর মতো ঝকঝকে দাঁত। কিন্তু সেই দাঁত কতদিন থাকে মুক্তোর মতো ?
বিভিন্ন কারনে তা হয়ে যায় হলদেটে, যা কারোরই কাম্য নয়। তবে চিন্তা নেই, দাঁতের হলদে ভাব দূর করারও উপায় রয়েছে। তাও আবার দাঁতের বাড়তি যত্ন না নিয়েই।
অর্থাৎ দাঁতের হলদে ভাব দূর করবে কিছু খাবার এবং কয়েকটি নিয়ম মানলেই আপনার দাঁত থাকবে সাদা ও ঝকঝকে। আসুন জেনে নেই সেই খাবারগুলো ও নিয়মগুলো সম্বন্ধে-
* ফল ফল বিশেষ করে আপেল এবং স্ট্রবেরিতে রয়েছে ম্যালিক অ্যাসিড যা দাঁত সাদা করার একটি চমত্কার প্রাকৃতিক উপাদান। নিয়মিত ফল খেলে দাঁতে সহজে দাগ পড়ে না বা হলদেটে হয় না।
* সবজি গাজর, সবুজ শাক এবং ব্রকোলির মতো সবজি দাঁত থেকে দাগ দূর করতে সাহায্য করে। সালাদে গাজর খান নিয়মিত। এতে যেমন দাঁত ভালো থাকবে, তেমনি গাজর থেকে পাবেন প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন তথা ভিটামিন এ, যা আপনার চোখ, ত্বক ও চুল রাখবে সুস্থ।
* শুকনো ফল ড্রাই ফ্রুট বা শুকনো ফল যেমন কিশমিশ দাঁত সাদা রাখতে সাহায্য করে।
* চিনি ছাড়া চুয়ুংগাম চিনি ছাড়া চুয়িংগাম দাঁতের দাগ দূর করার একটি চমত্কার উপায়। এটি দাঁতকে সাদা রাখতে সাহায্য করে।
* দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা দাঁতের জন্য খুবই জরুরি। এছাড়া দুগ্ধজাত খাবার, যেমন দই এবং পনির দাঁতের এনামেল বজায় রাখতে সাহায্য করে। যে নিয়মগুলো মেনে চললে দাঁত থাকবে সাদা ও জকঝকে
* ব্রাশ করার আগে ভালো মানের কোন টুথপেস্টের সঙ্গে যোগ করুন ১ চামচ বেকিং সোডা ও আধা চামচ পানি। তিনটি উপাদানই একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর ব্রাশ করুন। সপ্তাহে দুই দিন এভাবে ব্রাশ করলে দেখবেন আগের চেয়ে ঝকঝকে হতে শুরু করেছে দাঁত।
* প্রাকৃতিক উপায়ে কলার খোসা দিয়েও দাঁত সাদা করতে পারেন। যেমন একটি কলার খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের অংশটা দাঁতে ঘষুন। কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে কুলি করে ফেলুন এবং দেখুন দাঁতের অনেকটাই হলদে ভাব দূর হয়েছে। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।
* অলিভ ওয়েলও দাঁত সাদা করার ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকর। সামান্য তুলোর মধ্যে ৩ থেকে ৪ ফোঁটা অলিভ ওয়েল নিয়ে দাঁতে ঘষুন। এরপর ব্রাশ করে দেখন সুন্দও লাগছে।
* স্ট্রবেরির সঙ্গে সামান্য পরিমানে বেকিং সোডা মিশিয়েও দাঁতে ঘষতে পারেন। এই পেস্ট দাঁত সাদা করতে সহায়তা করে। তবে মাসে একবারের বেশি ব্যবহার করা ঠিক হবেনা।
Comments 1