Home  • Online Tips • Health

যষ্টিমধুর গুণ

যষ্টিমধু-আসলে-গাছের-শেকড়-যাযষ্টিমধু আসলে গাছের শেকড়। যা আয়ুর্বেদীয় ওষুধ তৈরির অন্যতম উপাদান হিসেবে বহু বছর ধরে ব্যবহার হচ্ছে। আলসার নিরাময়ে ক্লিনিক্যাল ও এক্সপেরিমেন্টাল পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যষ্টিমধুর গ্লাইসিরাইজিন ও গ্লাইসিরাটিক অ্যাসিড আলসার সৃষ্টিকারী ১৫ হাইড্রোক্সিপ্রোস্টাগ্লান্ডিন ডিহাইড্রোজিনেস ও প্রোস্টাগ্লান্ডিন রিডাকটেজ এনড্রাইমের কার্যকারিতা প্রতিরোধ করে এবং পাকস্থলীতে আলসার বা ক্ষত নিরাময়ে সহায়ক এনজাইম প্রোস্টাগ্লান্ডিল ই এবং এফ নিঃসরণ বৃদ্ধির মাধ্যমে পাকস্থলীর মিউকাস মেমব্রেনকে সুরক্ষা করে। যষ্টিমধু পাকস্থলীর মিউকাস মেমব্রেন হতে মিউসিন নিঃসরণ উদ্দীপ্ত করে, পাকস্থলীর এপিথেলিয়াল কোষসমূহ শক্তিশালী করে গ্যাস্ট্রিক আলসার, পেপটিক আলসার নিরাময় করে। ফুটন্ত পানিতে যষ্টিমধু ভিজিয়ে ঠাণ্ডা করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করা যায়। যকৃত (লিভার) সুরক্ষায় যষ্টিমধুর গ্লাইসিরাইজিন বিষাক্ত পদার্থের কবল থেকে লিভারকোষসমূহ সুরক্ষা করে। টিউমার প্রতিরোধক গ্লাইসিরাইটিনিক অ্যাসিড টিউমার সৃষ্টিকারী ‘এপস্টাইন বার ভাইরাস’ কার্যকারীতা প্রতিহত করে। কফ নিঃসারক ও কাশি কমায় যষ্টিমধু তরল আকারে কফ বের করে দেয় এবং কাশি ভালো করতে পারে। এছাড়া ব্রঙ্কাইটিস, টনসিলাইটিস ও কণ্ঠনালীর প্রদাহ দূর করতেও সাহায্য করে। অ্যালার্জি প্রতিরোধক যষ্টিমধুর গ্লাইসিরাইজিক অ্যাসিড মাস্টকোষ হতে হিস্টামিন নিঃসরণ কমিয়ে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে। অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে যষ্টিমধু গ্লাইসিরাইজিন বিভিন্ন কঠিন রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস বৃদ্ধি ও বংশবিস্তার রোধ করে। এছাড়াও যষ্টিমধু রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং বিভিন্ন ছত্রাক প্রতিরোধ করতে পারে।

Comments 0


About Author
Zinia Islam
Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd