Question:রুই, কাতলা, ইলিশ, ব্যাঙ, বোয়াল, শিং, মাগুর, সাপ, টিকটিকি, কুমির, কাক, কোকিল,
ময়না, টিয়া, ছাগল, ঘোড়া, ঈগল প্রভুতি হচ্ছে আমাদের নিকট পরিবেশের মেরুদন্ডী প্রাণী।
এদের দেহে মেরুদন্ড বিদ্যমান।
ক. মেরুদন্ড কী?
খ. পক্ষীকূল শ্রেণীভুক্ত প্রাণীর দুটি বৈশিষ্ট লেখ।
গ. উপরিউক্ত প্রাণীগুলোর মধ্যে কোনটি কোন শ্রেণীভুক্ত তা শনাক্ত করে লেখ।
ঘ. উক্ত প্রাণীগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন শেণীতে বিভক্ত করার কারণ বিশ্লেষণ কর।
Answer ক. প্রাণীর ঘাড় থেকে শুরু করে কোষের শেষ পর্যন্ত পিঠের মাঝখানে বরাবর
শক্ত লম্বা হাড়ের দন্ডকে মেরুদন্ড বলে।
খ. পক্ষীকূল শ্রেণীভুক্ত প্রাণীর দুটি বৈশিষ্ট হলো-
i. এদের দেহ প্রাণী দ্বারা আবৃত থাকে।
ii. এরা ডিম পারে এবং ডিম থেকে বাচ্চা হয়।
গ. উদ্দিপকের প্রাণীগুলোর নাম উল্লেখপূর্বক তাদের শ্রেণীকরণ নিচে ছকের মধ্যে
উল্লেখ করা হলো-
প্রাণীর নাম: শ্রেণী: শনাক্তকরণ
১. রুই, কাতলা, ইলিশ, মৎস এরা পানিতে বাস করে
বোয়াল, শিং মাগুর। শ্রেণীভুক্ত এবং বেশির ভাগের গায়ে
আঁইশ থাকে।
২. ব্যাঙ উভচর এরা জীবনের কিছু সময়
শ্রেণীভুক্ত ডাঙ্গায় এবং কিছু সময়
পানিতে বাস করে।
৩. সাপ, টিকটিকি, সরীসৃপ এরা বুকে ভর দিয়ে
কুমির শ্রেণীভুক্ত চলে।
৪. কাক, কোকিল, পক্ষী এদের দেহে পালক
ময়না, টিয়া, শ্রেণীভুক্ত দ্বারা আবৃত থাকে।
৫. ছাগল, ঘোড়া স্তন্যপায়ী এদের দেহে লোম থাকে
শ্রেণীভুক্ত এবং মায়েরা বাচ্চা প্রসব
করে। বাচ্চারা মায়ের দুধ
পান করে।
ঘ. উদ্দীপক উল্লিখিত প্রাণীগুলোকে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এরা বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত।
কারণ এদের প্রত্যেকের সম্বন্ধে পৃথকভাবে কারও একার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তবে
উল্লিখিত প্রাণীগুলো সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা প্রত্যেকই প্রয়োজন। এজন্য প্রাণীগুলোর
পারস্পরিক সম্পর্ক এবং চারিত্রিক বৈশিষ্টের মিল ও অমিলের ভিত্তিতে বিজ্ঞানসম্মত
উপায়ে প্রাণীগুলোকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। এতে খুব কম সময়ে ও সহজেই
প্রাণীগুলো সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।