1. Question:ক. মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে ? খ. কুনো ব্যাঙকে উভচর প্রাণী বলা হয় কেন ? ব্যাখ্যা কর । গ. চিত্রের প্রাণীর পাথক্য লিখ । ঘ. আমাদের জীবনে প্রাণীর প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর । 

    Answer
    ক. যেসব প্রাণীর দেহে মেরুদন্ড রযেছে তাদেরকে মেরুদন্ডী প্রাণী বলে । যেসব 
    
        প্রাণী দেহে মেরুদন্ড নেই তাদেরকে অমেরুদন্ড প্রাণী বলে ।
    
    
    খ. কুনোব্যাঙকে উভচর প্রাণী বলা হয় । কারণ এটি জীবনের কিছু ‍নিদিষ্ট সময় ডাঙায় ও কিছু
    
        নিদিষ্ট সময় পানিতে  বাস করে । যেমন- ব্যাঙাচি অবস্থায় এরা পানিতে বাস করে এবং ফুলকার 
    
        সাহায্যে শ্বাশকার্য  চালায় আবার পরিণত অবস্থায় ডাঙায় বাস করে এবং ফুসফুসের সাহায্যে 
    
        শ্বাশকার্য চালায় । এজন্য এদের উভচর প্রাণী বলা হয় ।
    
    
     গ. উদ্দীপকের চিত্র হলো A হলো চিংড়ি মাছ এবং B হলো ইলিশ মাছ । নিচে এদের মধ্যে পার্থক্য দেওয়া হলো -
    
         ১.   অমেরুদন্ড প্রাণী।             ১. মেরুদন্ডী প্রাণী।
    
         ২. এদের দেহে সন্ধিযুক্ত পা        ২. এদের দেহে কোনো পা নেই।
    
             রয়েছে।
    
         ৩. এক জোড়া পুঞ্জাক্ষী             ৩. পুঞ্জাক্ষী রয়েছে।
    
             রয়েছে।
    
         ৪. মাথায় এন্টেনা আছে।           ৪. কোনো এন্টেনা নেই।
    
         ৫. দেহে লোহিত রক্তকণিকা        ৫. দেহে লোহিত রক্তকণিকা উপস্থিত।
    
            অনুপস্থিত।
    
    
      ঘ. প্রতিটি মৎস শ্রেণীভুক্ত প্রাণী। আমাদের জীবনে এদের প্রয়োজণীয়তা অপরিসীম। এরা আমাদের 
    
         খাদ্যের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেহের বুদ্ধির জন্য আমিষের প্রয়োজন। আর 
    
         আমিষের বিরাট অংশ আমরা মাছ থেকে পেয়ে থাকি। আমিষের অভাবে আমাদের নানান ধরণের 
    
         রোগ হতে পারে। মাছ আমিষ সরবরাহ করে আমাদের এসব রোগ হতে রক্ষা করে।মাছ চাষের 
    
         মাধ্যমে দেশে বেকারত্ব কমছে। পাশাপাশি মাছ চাষ করে বিদেশে রপ্তানি মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা 
    
         অর্জন সম্বব  হচ্ছে। যা অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে
    
         বলা যায় যে, আমাদের জীবনে প্রাণীর প্রয়োজনীতা অপরিসীম।






    1. Report
  2. Question:প্রশ্ন:২. ক. সপৃষ্পক উদ্ভিদ কাকে বলে ? খ. ’ক’ চিত্রের বৈশিষ্টগুলো উল্লেখ কর । গ. ‘ক’ ও ‘খ’ এর পার্থক্য লিখ। ঘ. আমাদের জীবনে ‘ক’ উদ্ভিদের গুরুত্ব আলোচনা কর। 

    Answer
    ক. যেসব উদ্ভিদ ফুল থেকে হয় তাদেরকে সপৃষ্পক উদ্ভিদ বলে।
    
     খ. ‘ক’ চিত্রের উদ্ভিদটি হলো নারকেল গাছ। নিচে এর বৈশিষ্টগুলো দেওয়া হলো-
    
        i. কান্ড শাখা-প্রশাখাবিহীন।
    
        ii. পাতার শিরাবিন্যাস সমান্তরাল।
    
        iii. গুচ্ছমূল উপস্থিত।
    
        iv. নিষেকের পর ডিম্বক বীজে ও ডিম্বাশয় ফলে পরিণত হয়।
    
        v. এটি একটি একবীজপত্রী উদ্ভিদ।
    
    
    গ. ’ক’ চিত্রটি নারকেল গাছের এবং ‘খ’ চিত্রটি ব্ট গাছের। নিচে এদের মধ্যে পার্থক্য 
    
        উল্লেখ করা হলো-
    
        ১. এটি একবীজপত্রী উদ্ভিদ।            ১. এটি দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ।
    
        ২. কান্ড শাখা-প্রশাখাবিহীন।           ২. কান্ড শাখা প্রশাখাযুক্ত।
    
        ৩. এতে গুচ্ছমূল রয়েছে।               ৩. এতে গূচ্ছমূল অনুপস্থিত।
    
        ৪. এতে স্তম্ভমূল অনুপস্থিত।             ৪. এতে স্তম্ভমূল রয়েছে।
    
        ৫. পাতার শিরাবিন্যাস                   ৫. পাতার শিরাবিন্যাস জালিকাকার।
    
           সমান্তরাল।
    
        ৬. পাতা যেীগিক প্রকুতির।              ৬. পাতা সরল প্রকৃতির।






    1. Report
  3. Question:৩.ক. অ্যামিবা কোন রাজ্যের জীব ? খ. উদ্ভিদের পাতা সবুজ দেখায় কেন ? গ. চিত্র কে কীভাবে জীবজগতের অন্যন্য জীব হতে আলাদা করা যায় ? বর্ণনা কর। ঘ. কী কী বৈশিষ্টের কারণের চিত্র-x ও চিত্র-Y এর মধ্যে সামঞ্জস্য রয়েছে ? আলোচনা কর। 

    Answer
    ক. অ্যামিবা পোটিস্টা রাজ্যের জীব।
    
    খ. উদ্ভিদদেহে বর্ণযুক্ত বা বর্ণহীন এক ধরণের অঙ্গানু থাকে। এ অঙ্গানুতে 
    
        ক্লোরোফিল নামক এক প্রকারের সবুজ কনিকা দেখা যায় যা উদ্ভিদের 
    
        পাতা ফুল ও ফলের বর্ণ-বৈচিত্র আনতে সাহায্য করে। অর্থাৎ উদ্ভিদকোষে 
    
       এ ক্লোরোফিলের উপস্থিতির কারণে উদ্ভিদের পাতা সবুজ ‍দেখায়।
    
    
     গ. চিত্র-x হলো উদ্ভিদ। এর জীবনে আছে বলে এটি জীবজগতের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু উদ্ভিদের 
    
        কিছু বিশেষ বৈশিষ্টের কারণে একে জীবজগতের অন্যন্য জীব হতে আলাদা করা 
    
        যায়। যেমন- এটি নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে । অর্থাৎ এটি স্বভোজী। 
    
        কারণ এর দেহে ক্লোরোফিল আছে। আরাব এটি কঠিন খাদ্য গ্রহনে অক্ষম এবং 
    
        এর দেহে নিদিষ্ট কোন অন্ত নেই। এর দেহ কোষে কোষপ্রাচীর এবং বড়
    
        কোষগহব্বর আছে। এছাড়া জীবটির চলন ক্ষমতা নেই, কিন্তু মূতুর পূর্ব পযন্ত এর 
    
        বৃদ্ধি ঘটে। এসব বৈশিষ্ট জীবজগতের অনেক জীবের মধ্যেই দেখা যায় না।
    
    
     ঘ.  চিত্র-x ও চিত্র-Y হলো যথাক্রমে উদ্ভিদ ও মানষ। উদ্ভিদ ও মানুষ উভয়ের জীবন থাকায় 
    
         এরা জীব দলের অন্তভুক্ত। উদ্ভিদ ও মানুষের মধ্যে বৈশিষ্টগতভাবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে 
    
         মিল রয়েছে। যেমন উদ্ভিদের শাখা প্রশাখা যেমন, নড়াচড়া করতে পারে তেমনি মানুষও
    
         নড়াচড়া করতে পারে। উদ্ভিদের অনুভুতি ক্ষমতা আছে, মানুষের অনুভুতি ক্ষমতা আছে।
    
         উদ্ভিদ আলো ও ত্যাগের অনুভুতি বুঝতে পারে। বয়সের সাথে সাথে উদ্ভিদ দেহের 
    
         আকার ও ওজন বৃদ্ধি পায়, একইভাবে মানুষের দৈহিক বৃদ্ধিসহ ওজন বৃদ্ধি পায়। উদ্ভিদ 
    
        প্রজজনের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। উদ্ভিদের মৃত্যু আছে, মানুষও একসময় মৃত্যুবরণ করে। 
    
        সুতরাং দেখা যায় যে, নড়াচড়া অনুভুতি আলো ও তাপের উপস্থিতি বুঝতে পারার ক্ষমতা,
    
        দৈহিক বৃদ্ধি, প্রজনন প্রভৃতি ক্ষেত্রে উদ্ভিদ ও মানুষের মিল রয়েছে।






    1. Report
  4. Question:প্রশ্ন-৪. বেলাল তার বাবার সঙ্গে পার্কে বেড়াতে গিয়ে বিভিন্ন রকমের জীব যেমন- রাইজোবিয়াম, ইউগ্লেনা, পেনিসিলিয়াম, মস, ফান, আম, জাম, পাখি দেখতে পায়। সে তার বাবাকে বলল কী উপায়ে এদের সম্পর্কে সহজে জানা যায়। তার বাবা বলল শ্রেণীকরণ জ্ঞানের মাধ্যমে। ক. শ্রেণীকরণ কাকে বলে ? খ. আধুনিক শ্রেণীকরণ পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট কী ? গ. বেলালের বাবার উক্তিটির যথার্থতা ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    ক. সকল জীবকে বিভিন্ন স্তরে বা ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকে শ্রেণীকরণ বলে।
    
     খ. আধুনিক শ্রেণীকরণের প্রধান বৈশিষ্ট হলো- আদি প্রকৃতির সকল জীবনের একই 
    
         রাজ্যে স্থান দেওয়া হয়েছে। যেমন- পৃথিবীর সকল এককোষী জীবদের মনেরা রাজ্যে 
    
         স্থান দেওয়া হয়েছে। তাই সহজেই মনেরা জগতের সকল জীব সম্পর্কে ধারণা লাভ 
    
         করা সম্ভব।
    
    
     গ. পৃথিবীর সকল জীব এক রকম নয়। এদের মিল অমিলের উপর ভিত্তি করেই শ্রেণীবিন্যাস 
    
         করা হয়। বেলালের দেখা জীবগুলো মধ্যে ভিন্নতার কারণ হলো এদের গঠন স্বভাব বাসস্থান
    
         খাদ্য প্রভুতি। বেলাল যেসব জীব দেখেছে সেগুলোর কোনোটি এককোষী কোনোটি বহুকোষী।
    
         কোনোটি খালি চোখে দেখা যায় না। আবার কোনোটি স্বভোজী, কোনোটি পরভোজী। কোনোটি
    
         গুন্ম জাতীয় কোনোটি বীরুৎ জাতীয়। আবার কোনোটি মেরুদ্নডী কোনোটি অমেরুদ্নডী। 
    
         এসব বৈশিষ্টগত ও গঠনগত  ভিন্নতার জন্যই বেলালের দেখা জীবগুলোর মধ্যে ভিন্নতার 
    
         পরিলক্ষিত হয়েছে।
    
    
     ঘ.  বর্তমান ও অতীতের জীবকে জগৎ র্পব শ্রেণী, বর্গ, গোত্র, গণ ও প্রজাতি ইত্যাদি ধাপে ধাপে 
    
         বিন্যস্ত করাকে শ্রেণীবিন্যাস বলে। শ্রেণীবিন্যাস করা হয় সাদৃশ বৈসাদৃশ উপর ভিত্তি করে। 
    
         একই সাদৃশ পৃর্ণ সকল জীবকে একই শ্রেণীতে স্থাপন করা হয়। যার ফলে ঐ শ্রেণীর একটি 
    
         জীবের বৈশিষ্ট জানা থাকলে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের জীব শনাক্ত করা একজন মানষের 
    
         পক্ষে খুবই সহজ হয়। শ্রেণীকরণ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর সকল জীব থেকে উপকারি,
    
         অপকারি জীব শনাক্ত করা যায়। এদের স্বভাব বাসস্থান, গঠন, বৈশিষ্টি জানা যায়। যার দরুণ
    
         শ্রেণীবিন্যাসের নিয়মাবলী ও উদেশ্য তাই বেলালের বারার উক্তিটি যথার্থ বলে প্রতীয়মান হয়।






    1. Report
  5. Question:একবার বর্ষা মেীসুমে অন্তু গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেল। বাড়ির আঙ্গিনায় ঘোরার সময় সে সাদা ছাতার মতো কিছু বস্তু দেখতে পায়। কাছে গিয়ে লক্ষ করল এগুলোর দেহে সুতার জালের মতো মূল আছে। ক. আধুনিক শ্রেণীকরণ পদ্ধতিতে জীবজগতকে মোট কয়টি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে ? খ. ফানজাই কিংডমের ২টি বৈশিষ্টসমৃহ লিখ। গ. অন্তুর দেখা বস্তুটির চিহিৃত চিত্র অঙ্কন কর। ঘ. অন্তুর দেখা বস্তুটি খাদ্য হিসেবে কতটুকু গুরুত্ব বহন করে তোমার মতামত দাও। 

    Answer
    ক. ৫টি।
    
     খ. ফানজাই কিংডমের বৈশিষ্ট-
    
        i. এদের দেহে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে;
    
        ii. দেহে ক্লোরোফিল নেই তাই এরা পরভোজী।
    
     গ. অন্তুর দেখা সাদা ছাতার মতো বস্তুটি ছিল এগারিকাস নামক ছাত্রাক।
    
         নিচে এ চিহিৃত ‍চিত্র অঙ্কন করা হলো-
    
    
     ঘ. অন্তুর দেখা বস্তুটি খাদ্য হিসেবে কতটুকু গুরুত্বপৃর্ণ এ সর্ম্পকে আমার মতামত 
    
         নিচে উপস্থাপন করা হলো-
    
           তবে দেখা বস্তুটি ছিল এগারিকাস। এটা খাদ্য হিসেবে খাওয়া যায়। কারণ এর
    
        মূল দেহ বা ফ্রুডবডি উপাদেয় খাদ্য হিসেবে উন্নত হোটেলগুলোতে পরিবেশিত হয় 
    
        এবং বিদেশে বহল প্রচলিত। এর বিভিন্ন প্রজাতি দেশে বিদেশে প্রচুর চাষ হয় এবং
    
        মাশরুম বিসেবে বাজারে বিক্রি করা হয়। মাশরুমে বিভিন্ন ধরণের উন্নত খাদ্য উপাদান 
    
        যেমন-প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও খনিজ লবণ আছে।
      
        ডায়াবেটিস পেটের অসুখ ক্যান্সার প্রতিরোধেও এটি সহায়ক। মাশরুম মাঠেঘাটে বাড়ির 
    
        আঙ্গিনায় এমনিতেই জন্মে থাকে। এটি চাষ করা সহজ। তাই এটি আমাদের খাদ্য চাহিদা 
    
        মিটাতে গুরুত্বপৃর্ণ ভূূমিকা রাখতে পারে। তবে মাঠেঘাটে বিষাক্ত মাশরুমও থাকতে পারে। 
    
        তাই নিশ্চিত না হয়ে মাশরুম খাওয়া উচিত না। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, খাদ্য হিসেবে অন্তুর
    
        দেখা বস্তুটি অত্যন্ত গুরুত্বপৃর্ণ।






    1. Report
Copyright © 2025. Powered by Intellect Software Ltd