Answer ক. যে তাপমাত্রায় কোনো তরল পদার্থ ফুটতে শুরু করে এবং বাষ্পে পরিণত হয় সেই
তাপমাত্রাকে ঐ তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক বলে।
খ. কোনো বস্তুর তাপ পরিবহন করার ক্ষমতাকে তাপ পরিবাহিতা বলে। যেমন- কাচের
চেয়ে অ্যালুমিনিয়াম দ্রুত তাপ পরিবহন করে। তাই অ্যালুমিনিয়ামের তাপ পরিবাহিতা বেশি,
কাচের তাপ পরিবাহিতা কম।
গ. চিত্রে X হল পানির কঠিন অবস্থা যা বরফ আর Z হলো গ্যাসীয় অবস্থা যা বাষ্প। বরফকে
বাষ্পে পরিণত করতে হলে প্রথমে একে গলনাঙ্ক তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করতে হবে। ফলে বরফ
গলে পানিতে পরিণত হবে। পরে এই পানিকে আরো তাপ প্রদান করে এর তাপমাত্রা `100^0C`
তাপমাত্রায় পৌঁছাতে হবে। কারন পানির স্ফুটনাঙ্ক `100^0C` অর্থাৎ এই তাপমাত্রায় পানি বাষ্পে
পরিণত হয়। অত:পর `100^0C` তাপমাত্রায় তরল পানি বাষ্পে পরিণত হবে। এভাবে X থেকে
আমরা Z পাব। অর্থাৎ অবস্থাগুলো তাাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল।
ঘ. চিত্রের তিনটি পদার্থ X, Y, Z যথাক্রমে বরফ, পানি ও বাষ্প। এ তিনটি পদার্থ একই উপাদানে
গঠিত। এর অর্থ হলো এরা একই উপাদানের তিনটি ভিন্নরূপ মাত্র। আমরা জানি, পানি তিনটি
অবস্থায় থাকতে পারে। যেমন- কঠিন অবস্থায় একে বরফ, তরল অবস্থায় একে পানি ও গ্যাসীয়
অবস্থায় একে বাষ্প বলে। চিত্র থেকে দেখা যায় পদার্থটি যখন X বা বরফ এর গলনাঙ্ক তাপমাত্রায়
পৌঁছায় তখন এটি তরলে বা পানি, Y-এ পরিণত হয়। পানিকে তাপ দেওয়ার সাথে সাথে এর
তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। অামরা জানি, পানির স্ফুটনাঙ্ক `100^0C` অর্থাৎ `100^0C` তাপমাত্রায়
পানি গ্যাসীয় অবস্থায় বা বাষ্পে পরিণত হয়। তাই Y বা পানির তাপমাত্রা `100^0C` এ পৌঁছালে
এটি পানি থেকে বাষ্পে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ একই পদার্থ তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে একই
সাথে X থেকে Y, Y থেকে Z-এ রুপান্তরিত হয়। অর্থাৎ পদার্থটির একটি নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক ও
স্ফুটনাঙ্ক আছে। আমরা জানি, প্রত্যেক বিশুদ্ধ পদার্থের নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক আছে।
যেহেতু চিত্রের পদার্থের নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক আছে তাই পদার্থটি একটি বিশুদ্ধ পদার্থ বা
একই উপাদানে গঠিত।