পাতিলেবুর গুণাগুণ নিয়ে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট চর্চা হয়ে গিয়েছে। ভিটামিন ও অ্যাসিডের যথাযথ সমন্বয় একটি পাতিলেবুকে অব্যর্থ অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করতে সমর্থ করে, তা মানেন ডাক্তাররাও। পাতিলেবুর কিছু অসামান্য গুণের মধ্যে রয়েছে এগুলিও—
১. যাঁরা খুস্কির সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা চুলের গোড়ায় যদি পাতিলেবুর রস ম্যাসাজ করেন স্নানের মিনি়ট দশেক আগে, আর তারপর স্নান ও শ্যাম্পু করে নেন, তাহলে খুস্কির হাত থেকে মিলবে মুক্তি।
২. শরীরের যেসব জায়গায় চামড়া মোটা এবং শুষ্ক (যেমন গোড়ালি, কনুই, কিংবা হাঁটু) সেই সমস্ত জায়গায় পাতিলেবুর রস ঘষুন। দিন কয়েকের মধ্যেই দেখবেন চামড়া নরম হয়ে এসেছে।
৩. নিয়মিত লেবুর রসের শরবৎ পান করলে অতিরিক্ত মেদ ঝরে যাবে।
কিন্তু সম্প্রতি অলটারনেটিভ মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার অফ সি়ডনি একটি গবেষণায় জানিয়েছে, পাতিলেবুর রসের উপকারিতা পেতে সবসময় যে তা সেবন করতে হবে কিংবা শরীরে প্রয়োগ করতে হবে, তা নয়। অন্যভাবেও উপকার পাওয়া যেতে পারে লেবুর।
কীরকম? গবেষণাপত্রে বলা হচ্ছে, রোজ রাত্রে একটি পাতিলেবুকে মাঝ বরাবর দু’ টুকরো করে তাতে একটু নুন মাখিয়ে রেখে দিন আপনার শোওয়ার বিছানার পাশে, আপনার মাথা থেকে সামান্য দূরে। তাতেই আপনার শরীরের দারুণ উপকার হবে। কীরকম? আসুন, জেনে নেওয়া যাক—
১. পাতিলেবু এবং নুন ঘরের বাতাসকে পরিশোধিত করতে সাহায্য করে।
২. সারারাত বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহণের ফলে আপনার মনঃসংযোগ, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি আপনার শ্বাসযন্ত্রের উন্নতি হয় এবং মেজাজও ভাল থাকে।
৩. যদি আপনার সর্দি বা গলা ব্যথার মতো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এই কৌশলে খুব ভাল কাজ পাবেন। মাথার কাছে নুন-লেবু রেখে শুলে দেখবেন, নাক বন্ধের সমস্যা থেকে যেমন মুক্তি মিলেছে তেমনই অনেকটা কমেছে গলা ব্যথাও।
Comments 0