Answer ক. অ্যামিবা পোটিস্টা রাজ্যের জীব।
খ. উদ্ভিদদেহে বর্ণযুক্ত বা বর্ণহীন এক ধরণের অঙ্গানু থাকে। এ অঙ্গানুতে
ক্লোরোফিল নামক এক প্রকারের সবুজ কনিকা দেখা যায় যা উদ্ভিদের
পাতা ফুল ও ফলের বর্ণ-বৈচিত্র আনতে সাহায্য করে। অর্থাৎ উদ্ভিদকোষে
এ ক্লোরোফিলের উপস্থিতির কারণে উদ্ভিদের পাতা সবুজ দেখায়।
গ. চিত্র-x হলো উদ্ভিদ। এর জীবনে আছে বলে এটি জীবজগতের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু উদ্ভিদের
কিছু বিশেষ বৈশিষ্টের কারণে একে জীবজগতের অন্যন্য জীব হতে আলাদা করা
যায়। যেমন- এটি নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে । অর্থাৎ এটি স্বভোজী।
কারণ এর দেহে ক্লোরোফিল আছে। আরাব এটি কঠিন খাদ্য গ্রহনে অক্ষম এবং
এর দেহে নিদিষ্ট কোন অন্ত নেই। এর দেহ কোষে কোষপ্রাচীর এবং বড়
কোষগহব্বর আছে। এছাড়া জীবটির চলন ক্ষমতা নেই, কিন্তু মূতুর পূর্ব পযন্ত এর
বৃদ্ধি ঘটে। এসব বৈশিষ্ট জীবজগতের অনেক জীবের মধ্যেই দেখা যায় না।
ঘ. চিত্র-x ও চিত্র-Y হলো যথাক্রমে উদ্ভিদ ও মানষ। উদ্ভিদ ও মানুষ উভয়ের জীবন থাকায়
এরা জীব দলের অন্তভুক্ত। উদ্ভিদ ও মানুষের মধ্যে বৈশিষ্টগতভাবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে
মিল রয়েছে। যেমন উদ্ভিদের শাখা প্রশাখা যেমন, নড়াচড়া করতে পারে তেমনি মানুষও
নড়াচড়া করতে পারে। উদ্ভিদের অনুভুতি ক্ষমতা আছে, মানুষের অনুভুতি ক্ষমতা আছে।
উদ্ভিদ আলো ও ত্যাগের অনুভুতি বুঝতে পারে। বয়সের সাথে সাথে উদ্ভিদ দেহের
আকার ও ওজন বৃদ্ধি পায়, একইভাবে মানুষের দৈহিক বৃদ্ধিসহ ওজন বৃদ্ধি পায়। উদ্ভিদ
প্রজজনের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। উদ্ভিদের মৃত্যু আছে, মানুষও একসময় মৃত্যুবরণ করে।
সুতরাং দেখা যায় যে, নড়াচড়া অনুভুতি আলো ও তাপের উপস্থিতি বুঝতে পারার ক্ষমতা,
দৈহিক বৃদ্ধি, প্রজনন প্রভৃতি ক্ষেত্রে উদ্ভিদ ও মানুষের মিল রয়েছে।