Question:প্রশ্ন-৪. বেলাল তার বাবার সঙ্গে পার্কে বেড়াতে গিয়ে বিভিন্ন রকমের জীব যেমন- রাইজোবিয়াম,
ইউগ্লেনা, পেনিসিলিয়াম, মস, ফান, আম, জাম, পাখি দেখতে পায়। সে তার বাবাকে বলল
কী উপায়ে এদের সম্পর্কে সহজে জানা যায়। তার বাবা বলল শ্রেণীকরণ জ্ঞানের মাধ্যমে।
ক. শ্রেণীকরণ কাকে বলে ?
খ. আধুনিক শ্রেণীকরণ পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট কী ?
গ. বেলালের বাবার উক্তিটির যথার্থতা ব্যাখ্যা কর।
Answer ক. সকল জীবকে বিভিন্ন স্তরে বা ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকে শ্রেণীকরণ বলে।
খ. আধুনিক শ্রেণীকরণের প্রধান বৈশিষ্ট হলো- আদি প্রকৃতির সকল জীবনের একই
রাজ্যে স্থান দেওয়া হয়েছে। যেমন- পৃথিবীর সকল এককোষী জীবদের মনেরা রাজ্যে
স্থান দেওয়া হয়েছে। তাই সহজেই মনেরা জগতের সকল জীব সম্পর্কে ধারণা লাভ
করা সম্ভব।
গ. পৃথিবীর সকল জীব এক রকম নয়। এদের মিল অমিলের উপর ভিত্তি করেই শ্রেণীবিন্যাস
করা হয়। বেলালের দেখা জীবগুলো মধ্যে ভিন্নতার কারণ হলো এদের গঠন স্বভাব বাসস্থান
খাদ্য প্রভুতি। বেলাল যেসব জীব দেখেছে সেগুলোর কোনোটি এককোষী কোনোটি বহুকোষী।
কোনোটি খালি চোখে দেখা যায় না। আবার কোনোটি স্বভোজী, কোনোটি পরভোজী। কোনোটি
গুন্ম জাতীয় কোনোটি বীরুৎ জাতীয়। আবার কোনোটি মেরুদ্নডী কোনোটি অমেরুদ্নডী।
এসব বৈশিষ্টগত ও গঠনগত ভিন্নতার জন্যই বেলালের দেখা জীবগুলোর মধ্যে ভিন্নতার
পরিলক্ষিত হয়েছে।
ঘ. বর্তমান ও অতীতের জীবকে জগৎ র্পব শ্রেণী, বর্গ, গোত্র, গণ ও প্রজাতি ইত্যাদি ধাপে ধাপে
বিন্যস্ত করাকে শ্রেণীবিন্যাস বলে। শ্রেণীবিন্যাস করা হয় সাদৃশ বৈসাদৃশ উপর ভিত্তি করে।
একই সাদৃশ পৃর্ণ সকল জীবকে একই শ্রেণীতে স্থাপন করা হয়। যার ফলে ঐ শ্রেণীর একটি
জীবের বৈশিষ্ট জানা থাকলে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের জীব শনাক্ত করা একজন মানষের
পক্ষে খুবই সহজ হয়। শ্রেণীকরণ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর সকল জীব থেকে উপকারি,
অপকারি জীব শনাক্ত করা যায়। এদের স্বভাব বাসস্থান, গঠন, বৈশিষ্টি জানা যায়। যার দরুণ
শ্রেণীবিন্যাসের নিয়মাবলী ও উদেশ্য তাই বেলালের বারার উক্তিটি যথার্থ বলে প্রতীয়মান হয়।