Answer ক. অপুস্পক উদ্ভিদ স্পোর বা রেণুর মাধ্যমে প্রজনন সম্পন্ন করে।
খ. আবৃতবীজি উদ্ভিদের ফুলে ডিম্বাশয় থাকে। ডিম্বকগুলো ডিম্বাশয়ের ভেতরে থাকে।
নিষকের পর ডিম্বক বীজে এবং ডিম্বাশয় ফলে পরিণত হয়। এ কারণে আবৃতবীজী
উদ্ভিদের ফলের ভেতর বীজগুলো আবৃত অবস্থায় থাকে।
গ. চিত্রের A হলো শৈবাল এবং B হলো ছত্রাক। নিচে এদের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করা হলো-
১. দেহে ক্লোরোফিল থাকায় এরা সবুজ। ১. দেহে ক্লোরোফিল না থাকায় এরা বর্ণহীন।
২. ক্লোরোফিল থাকায় নিজেদের খাদ্য ২. ক্লোরোফিল না থাকায় নিজেদের খাদ্য
নিজেরা তৈরি করতে পারে। নিজেরা তৈরি করতে পারে না।
৩. এদের বাসস্থান সাধারণত পানি। ৩. এরা সাধারণত পানিতে বাস করে না।
৪. এরা আলো ছাড়া বাচতে পারে না। ৪. এরা আলো ও অন্ধকার উভয় পরিবেশে
বাচতে পারে ।
৫. এদের কোষপ্রাচীর সেলুলোজ ৫. এদের কোষপ্রাচীর কাইটিন দিয়ে তৈরি।
দিয়ে তৈরি।
ঘ. উদ্দিপকের A ও B উদ্ভিদ হওয়া সত্বেও উভয়েই খাদ্য তৈরি করতে পারে না। আমরা জানি
কেবলমাত্র সবুজ উদ্ভিদই ক্লোরোফিল ও আলোর উপস্থিতিতে কার্বন ডাইক্সাইড ও পানির
সহায়তায় সালোকসংশ্লেষণের মা্যেমে শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করতে পারে। চিত্রের A
উদ্ভিদটি হলো সবুজ শৈবাল। এর দেহে ক্লোরোফিল রয়েছে। সুতরাং A উদ্ভিদটি আলোর
উপস্থিতিতে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও পানির সহায়তায় সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য
তৈরি করতে পারে। কিন্তু B উদ্ভিদটি হলো ছত্রাক। এর দেহে কোনো ক্লোরোফিল নেই।
ক্লোরোফিল না থাকার কারণে এ উদ্ভিদটি সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করতে
পারে না। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, A উদ্ভিদটি খাদ্য তৈরি করতে পারলেও B উদ্ভিদটি
পারে না।