Question:৭. তমা শিক্ষকের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে মস, ফার্ন শৈবাল ছত্রাক পভৃতি ক্ষুদ্র উদ্ভিদ দেখে সে অবাক
হলো এবং দেখল এদের কোনোটাইর ফুল, ফল নেই। সে স্যারকে জিজ্ঞাসা করল এ সকল উদ্ভিদ
কিভাবে বংশবৃদ্ধি করে। স্যার বলল স্পোর বা রেণু উৎপাদনের মাধ্যমে।
ক. ফল কাকে বলে?
খ. আদি উদ্ভিদের ২টি বৈশিষ্ট লিখ।
গ. তমার দেখা উদ্ভিদগুলো কোনটি কোন জগতে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তমার স্যার বংশবৃদ্ধির যে পদ্ধতির কথা বলেছে তা কতটুকু যথার্থ তা ব্যাখ্যা কর।
Answer ক. নিষিক্ত ও পরিপক্ক গর্ভাশয়কে ফল বলে।
খ. আদি উদ্ভিদের ২ টি বৈশিষ্ট হলো :
এদের খালি চোখে দেখা যায় না।
এরা এককোষী বা অকোষীয়।
গ. উদ্ভিদ শ্রেণীবিন্যাসে সমগ্র পৃথিবীর উদ্ভিদকে ৪টি রাজ্যে, স্থান দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য ৪টি হলো মনেরা, প্রোটিস্টা, ফানজাই, প্লান্টি। তমার দেখা উদ্ভিদগুলো হচ্ছে মস,
ফার্ন, শৈবাল, ছত্রাক। প্লান্টি জগতের উদ্ভিদের বৈশিষ্ট হলো এরা স্বভোজী, এদের
কোনটির পরিবহন টিস্যু আছে ও এদের দেহে সালোকসংশ্লেষণকারী বর্ণ কণিকা আছে।
প্লান্টি জগতের বৈশিষ্ট থেকে দেখা যায় যে, তমার দেখা উদ্ভিদগুলোর মধ্যে মস ফার্ন
প্লান্টি জগতের মধ্যে পড়ে।
ঘ. তমার দেখা উদ্ভিদগুলো হলো মস, ফান, শৈবাল, ছত্রাক। এরা সকলেই অপুস্পক উদ্ভিদ।
অপুষ্পক উদ্ভিদের যেহেতু ফুল হয় না। তাই এসব অপুষ্পক উদ্ভিদেরা তাদের দেহে স্পোর
উৎপন্ন করে। এসব স্পোর অনুকূল পরিবেশে মাটিতে পড়ে অঙ্ককুরিত হয়ে নতুন একটি
উদ্ভিদ সুষ্টি করে। যেহেতু তমার দেখা উদ্ভিদগুলো স্পোরোফাইট ও গ্যামোটোফাইট যুক্ত
উদ্ভিদ। তাই এরা স্পোর উৎপাদনের মাধ্যমেইকেবল বংশ বৃদ্ধি করতে পারে। অন্য কোনো
পদ্ধতিতে এদের বংশ বৃদ্ধি অসম্ভব। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এ কথাই প্রতীয়মান হয় যে,
তমার স্যারের উক্তিটি যথার্থ ছিল।