Question:৫. পৃথিবীর বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন স্বাদের খাবার পছন্দ করে। আর মানুষ খাবারের এ স্বাদ গ্রহন
করে বিশেষ একটি অঙ্গের সাহায্যে। এই অঙ্গের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন স্বাদ অনুভব করতে পারে।
ক. আইরিশ কাকে বলে?
খ. ইউট্রিকুলাস বলতে কী বোঝায়?
গ. উক্ত অঙ্গটির চিত্রসহ বিভিন্ন অংশের বর্ণনা কর।
ঘ. উক্ত অঙ্গটির প্রতি কীভাবে তুমি যত্নশীল হবে? মতামত দাও।
Answer ক. চোখের কর্নিয়ার পেছনের কালো পর্দাকে আইরিশ বলে।
খ. ইউট্রিকুলাস অন্ত:কর্ণের উপর দিকের গোল প্রকোষ্ঠ। এটি তিনটি অধিবৃত্তাকার নালি
দ্বারা গঠিত। এদের ভেতরে আছে খুব সূক্ষ্ম লোমের মতো স্নায়ু ও রস। নালির ভেতরের এ রস
যখন নড়ে বা আন্দোলিত হয়, তখনই স্নায়ুগুলো উদ্দীপ্ত হয়। আর তখনই সে উদ্দীপনা মস্তিষ্কে পৌঁছায়।
গ. উদ্দীপকে আমাদের স্বাদ ইন্দ্রিয় অর্থাৎ জিহ্বা সম্পর্কে অলোচনা করা হয়েছে। নিচে জিহ্বার চিত্রসহ বিভিন্ন
অংশের বর্ণনা করা হলাে-
জিহ্বা দিয়ে আমরা খাদ্য বস্তুর টক, ঝাল, মিষ্টি, তিতা স্বাদ গ্রহন করে থাকি। এটা আমাদের স্বাদ ইন্দ্রিয়।
মুখ গহ্বরে অবস্থিত লম্বা পেশিবহুল অঙ্গটি হলো জিহ্বা। জিহ্বার উপরে একটি আস্তরণ আছে, এতে বিভিন্ন স্বাদ
গ্রহনের জন্য স্বাদ কোরক থাকে। জিহ্বার সামনে, পেছনে, পাশে স্বাদ গ্রহণের জন্য বিশেষ স্বাদ কোরক থাকায়
অামরা জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে মিষ্টি ও নোনতা, পাশের অংশ দিয়ে লবণ ও টক স্বাদ অনুভব করে থাকি।
জিহ্বার মাঝখানে কোনো স্বাদকোরক থাকে না। স্বাদকোরক না থাকায় আমরা জিহ্বার মাঝখানটায় কোনো
বিশেষ স্বাদ পাই না। এছাড়া জিহ্বার একেবারে পেছনের অংশে বড় আকারের কোরকগুলো তিতা বা তিক্ত
স্বাদ অনুভব করতে সহায়তা করে।
ঘ. উদ্দীপকের অঙ্গটি মুখ গহ্বরে অবস্থিত লম্বা পেশিবহুল অঙ্গ জিহ্বা। এটি আমাদের স্বাদ ইন্দ্রিয়।
খাদ্য পরিপাকের জন্য উক্ত অঙ্গটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এর যত্ন নিতে হলে যা করতে হবে তা হলো-
i. দাঁত ব্রাশ করার সময় নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার করা।
ii. শিশুদের নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার করা উচিত। তা না হলে জিহ্বায় ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে।
iii. অনেক সময় রোগের কারণে জিহ্বার উপর সাদা বা হলদে পর্দা পড়ে। জ্বর হলে সাধারণত এটি হয়।
এই সময় পানিতে লবণ গুলে কুলকুচি করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
iv. শিশুদের জিহ্বা নিয়মিত পরিষ্কার না করলে জিহ্বার উপর দইয়ের মতো দেখতে ছোট ছোট দাগ দেখা যায়।
এটি এক প্রকার ছত্রাকের আক্রমণ থেকে হয়।
v. মুখ বা জিহ্বায় ঘা হলে অতি তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
এভাবে আমরা জিহ্বার প্রতি যত্নশীল হব।