রান্নার উপকরন হিসেবে রসুনের ব্যবহার আবহমান কাল থেকেই। শুধু রান্নায় স্বাদের তারতম্য আনার জন্য নয়, রসুনের পুষ্টিগুণও রসুনকে পৌঁছে দিয়েছে উপাদেয় মসলার তালিকায়। তাই রান্নার অনুষঙ্গের পাশাপাশি রসুন স্বাস্থ্য ভাল রাখার মন্ত্র হিসেবেও কাজ করছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ১৭ টি এমাইনো এসিড ময়শ্চার, প্রোটিন, ফ্যাট, মিনারেল, ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট। ভিটামিন ও মিনারেলের মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, থিয়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, এবং আয়োডিন, সালফার এবং ফ্লোরিনও আছে অল্প পরিমাণে।
একটি মাঝারি সাইজের রসুনে ১ লাখ ইউনিট পেনিসিলিনের সমান অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি অ্যামিবিক ডিসেনট্রি নির্মূলের ক্ষেত্রে রসুন বেশ কার্যকরী। তাই রসুন স্বাস্থ্যের জন্য কত উপকারী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কিন্তু আপনি জানেন কি, এই অতি উপকারী রসুনেরও আছে নানা অপকারিতা? হ্যাঁ, ঠিক মতন বা সঠিক উপায়ে রসুন সেবন না করলে তা ডেকে আনতে পারে ভয়ানক বিপদ। এমনকি তা ডেকে আনতে পারে আপনার জন্য স্বাস্থ্য হানির ঝুঁকিও। আসুন, জেনে নেয়া যাক রসুন সেবনের সতর্কতা সম্পর্কে।
-যাদের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপজ্জনক। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে।
-কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। অতিরিক্ত রসুন শরীরে এলার্জি ঘটাতে পারে। যাদের নানান রকম এলারজিক সমস্যা আছে তারা অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম।
-রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখুন।
-শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের রসুন না খাওয়াই ভালো। কারণ রসুন খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর পেট ব্যথার কারণ ঘটাতে পারে।
-কাঁচা রসুন বেশি খাওয়া উচিত নয়। বেশি খেলে অনেক সময় মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে দেখা যায়।
- কাঁচা রসুন সেবনে অনেকের চামড়ায় চুলকানি দেখা দিতে পারে।
লক্ষ্য রাখুন
রসুন নরম হয়ে গেলে বা সবুজ রঙ দেখা দিলে সেই রসুন কিনবেন না। কারণ এসব রসুনের কার্যগুন নষ্ট হয়ে যায়। কেনার সময় মাঝারি আকারের রসুন কিনুন।
Comments 1