বিপদ - একটি নোয়াখালী ভাষার কবিতা
হুইনছেননি হুইনছেননি আমনে, হায়রে হায়
ঘরে হান্দাই মিয়া বাইরে কাম্বাইছে বল্লায়
কাম্বড় খাই হেই মিয়া গাজ্জোরে চিল্লায়
হুতুলের মা আইনছে হানি হিতইল্যা ঠিল্লায়
বড় বু-জান আতে ধরি টানি হেতেনরে আনি
বদনা দি ঠেঙ্গের উ-রে ঢালে ঠান্ডা হানি।
কামের বেডি বইছে খাইতো কোয়ালে লই ঝাঁডা
হাইজ্জিন্যার আন্দারে হেতির গলায় বিন্দে কাঁডা
কাঁডা ত আর যা তা নয়, কই মাছের কাঁডা
কাঁডার ঘাইয়ে অইলো হেতির জীবনটাই খাডা
শুলের চোডে কান্দি বেডি হিরিচ বরাইছে
ছডফডানি দে-ই হেতির বেক্কে ডরাইছে।
পুলি বুজান চিল্লাই কয়, দইল্যে বিলাইর বইর
যাইবো কাঁডা, খুঞ্জ বিলাই, খুঞ্জ নীচে চইর
চিল্লানীর চোঁডে বিলাই টক্কি উডে গাছে
হেই রঙ্গে কুটনা বু-ই তিরিং বিরিং নাচে।
বাংলা অনুবাদ -
আপনি কি শুনেছেন, হায়রে হায়
ঘরে ঢুকে মিয়া ভাইকে বল্লা কামড় দিয়েছে
কামড় খেয়ে উনি গায়ের জোরে চিৎকার করছেন
পুতুলের মা পিতলের কলসিতে পানি এনেছে
বড় বুবু হাতে ধরে ওনাকে টেনে এনে
বদনা দিয়ে পায়ের উপর ঠাণ্ডা পানি ঢালছেন।
কাজের বুয়া কপালে ঝাঁটা নিয়ে খেতে বসেছে
সন্ধ্যার অন্ধকারে ওর গলায় কাঁটা বিঁধেছে
কাঁটা তো আর যা তা নয়, কই মাছের কাঁটা
কাঁটার ঘায়ে ওর জীবনটা তিক্ত হয়েছে
ব্যথার চোটে কেঁদে কেঁদে সে পিরিচ ভরিয়েছে
ওর ছটফটানি দেখে সবাই ভয় পেয়েছে।
ফুলি বুবু চিৎকার করে বললেন, বিড়ালের পা ধরলে
কাঁটা চলে যাবে, বিড়াল খোঁজো, খাটের নীচে খোঁজো
চিৎকারের চোটে বিড়াল লাফ দিয়ে গাছে উঠেছে
মজা পেয়ে কুটনা বুড়ি তিড়িং বিড়িং নাচছে। /1
Comments 1