Answer ক. প্লাস্টিড যখন সবুজ বর্ণের ক্লোরোফিল অধিক পরিমাণ ধারণ করে তখন তাকে
ক্লোরোপ্লাস্ট বলে।
খ. প্রোটোপ্লাজম উদ্ভিদ ও প্রাণীকোষের সকল জৈবিক কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে।
সাইট্রেপাপ্লাজম ও নিউক্লিয়াসকে একত্রে প্রোটোপ্লাজম বলে। জীবনের অস্তিত্ব প্রকাশে
সাইট্রোপ্লাজম নিউক্লিয়াস সমন্বিত প্রোটোপ্লাজম মূল কোষের প্রতিনিধিত্ব করে বলে
প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয়।
গ. চিত্রে চিহিৃত অংশ হচ্ছে কোষের মাইটোকন্ডিয়াতে ক্রেবস চক্র ফ্যাটি এসিড চক্র,
ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট ইত্যাদি ঘটে থাকে। এগুলোর মাধ্যমে কোষের যাবতীয় শক্তি
উৎপন্ন হয়ে থাকে। এ অঙ্গাণু থেকে কোষের যাবতীয় কাজের জন্য শক্তি সরবরাহ
হয়ে থাকে বলে একে পাওয়ার হাউস বলা হয়। এছাড়া মাইট্রোকন্ডিয়া নিজস্ব
উৎপাদন ও স্নেহ বিপাকে সাহায্য করে থাকে। মূলত এ অংশটি ব্যতীত কোষের
শক্তি উৎপাদন হতো না। ফলের কোষের জৈবিক কার্যাবলি বন্ধ হয়ে যেত এবং
ফলশুতিতে কোষ মারা যেত। এমনকি জীবদেহের অস্বিত্ব বিলিন হয়ে যেত।
ঘ. চিত্রের চিহিৃত অংশটি কোষের প্লাস্টিড। ক্লোরোপ্লাস্টের প্লাস্টিড কোষের
বর্ণনা হিসেবে কাজ করে। এ অঙ্গাণুটির উপস্থিতির ফলে উদ্ভিদের পাতা ফুল
ফল ইত্যাদি বিভিন্ন রংঙের হয়। কোনো রংঙের প্লাস্টিড যখন যে রং অধিক পরিমাণে
ধারণ করে তখন বাইরে থেকে সে অঙ্গাণুটিকে ঐ রং দেখায়। প্লাস্টিড যখন সবুজ
রং অনেক পরিমাণে ধারণ করে তখন তাকে ক্লোরোপ্লাস্ট বলে। প্লাস্টিড যখন অন্যন্য
রং যেমন- লাল, হলুদ, বা নীল রং অধিক পরিমাণে ধারণ করে তখন তাকে ক্রোমোপ্লাস্ট বলে।
অর্থাৎ ক্লোরোপ্লাস্টের উপস্থিতির কারণে