1. Question:১. দীপ্তি বাবার সাথে ঢাকায় বোটানিক্যাল গার্ডেনে বেড়াতে যায়। গার্ডেনে সে বিভিন্ন বর্ণের গাছপালা দেখতে পায়। পরবর্তীতে সে পাশ্ববর্তী চিড়িয়াখানায় যায়। সেখানে সে বিভিন্ন প্রাণী দেখতে পায়। ক. নিউক্লিয়াস কি ? খ. কোষের শক্তি উৎপাদন কোনটি ? ব্যাখ্যা কর। গ. দীপ্তির পর্যবেক্ষণকৃত উদ্ভিদগুলোর বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করার কারণ কী ? ব্যাখ্যা কর। ঘ. দীপ্তির দেখা জীবগুলোর কোষীয় বৈশিষ্ট্য তুলনা কর। 

    Answer
    ক. জীব কোষের প্রোটোপ্লাজমের মধ্যে ভাসমান গোলাকার ঘন বস্তুটিকে নিউক্লিয়াস বলে।
    
     খ. কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র হলো মাইটোকন্ড্রিয়া। কোষের সকল জৈবিক কাজ 
    
         পরিচালনার জন্য যে শক্তি প্রয়োজন হয় তা মাইটোকন্ডিয়াই সরবরাহ করে থাকে। এ কারণে
    
         মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র বা কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয়।
    
     গ. প্লাস্টিডের উদ্ভিদের বর্ণ বিচিত্রতা দিয়ে থাকে। সবুজ বর্ণের প্লাস্টিডগুলোকে ক্লোরোপ্লাস্টের 
    
         পরিমাণ বেশি থাকে তখন উদ্ভিদটিকে সবুজ দেখায়। সবুজ বর্ণ ব্যতীত অন্যন্য বর্ণ লাল, হলুদ
    
         কমলা ইত্যাদি বিশিষ্ট প্লাস্টিক কোনো রং ধারণ করে না সেগুরলা বর্ণহীন প্লাস্টিড। সাধারণত মূলে 
    
         থাকে। সুতরাং দীপ্তির পর্যবেক্ষণকৃত কিছু উদ্ভিদ কোষে ক্লোরোপ্লাস্টের পরিমাণ বেশি ছিল বলে 
    
         সেগুলো সবুজ ছিল। কিছু উদ্ভিদ কোষে ক্লোমোপ্লাস্টের পরিমাণ অধিক ছিল বলে উদ্ভিদগুলোকে
    
         লাল বা কমলা দেখাচ্ছিল। অর্থাৎ উদ্ভিদদেহে বিভিন্ন প্লাস্টিডের অধিকাংশই উদ্ভিদগুলোর বিভিন্ন
    
         বর্ণ ধারণ করার একমাত্র কারাণ।
    
    
     ঘ. দীপ্তি বোটানিক্যাল গার্ডেনে গিয়ে বিভিন্ন বর্ণের উদ্ভিদ দেখেছিল। আবার চিড়িয়াখানায় গিয়ে বিভিন্ন
    
         প্রাণী দেখেছিল। সুতরাং দীপ্তির দেখা জীবগুলো হলো-উদ্ভিদ ও প্রাণী। নিচে উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় 
    
         বৈশিষ্টগুলো তুলনা করা হলো-
    
         i. উদ্ভিদকোষের বাইরে জড় কোষপ্রাচীর থাকে কিন্তু প্রাণীদেহের কোনো কোষপ্রাচীর থাকে না।
    
         ii. উদ্ভিদকোষের প্লাস্টিড দেখা যায় যা প্রাণীকোষে দেখা যায় না।
    
         iii. উদ্ভিদকোষের কোষগহব্বর বেশ বড় কিন্তু প্রাণীকোষের কোষগহব্বর আকারে অত্যন্ত ছো্ট।
    
         iv. উদ্ভিদকোষের সঞ্চিত খাদ্য স্টার্চ এবং প্রাণীকোষের সঞ্চিত খাদ্য গ্লাইকোজন।
    
         v. উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয় কোষই মসৃণ ও অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা থাকে।
    
         vi. উদ্ভিদকোষে সেন্ট্রোসোম অনুপস্থিত কিন্তু প্রাণিকোষে উপস্থিত।
    
         vii. উভয় কোষেই গলজি অনুপস্থিত কিন্তু প্রাণিকোষে এর পরিমাণ বেশি এবং উদ্ভিদকোষে কম।

    1. Report
  2. Question:৩.ক. কোষ আবিস্কার করেন কে? খ. আদিকোষ বলতে কি বুঝায়? গ. চিত্র-১ ও ‍চিত্র-২ এর মধ্যে সাদৃশ্যপূর্ণ অঙ্গগাণুগুলো চিহিৃত করে এর কাজ উল্লেখ কর। ঘ. উভয়ের প্রানকেন্দ্র তাদের সকল জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণে কী ভূমিকা রাখে? বিশ্লেষণ কর। 

    Answer
    ক. ইংরেজ বিজ্ঞাণী রবার্ট হুক কোষ আবিস্কার করেন।
    
     খ. যে কোষের নিউক্লিয়াস কোনো আবরণী দ্বারা আবদ্ধ নয় তাকে আদি কোষ বলে।
    
         ব্যাকটেরিয়ার কোষ একটি আদিকোষ।
    
     গ. চিত্র-১ একটি প্রাণীকোষের চিত্র এবং চিত্র-২ উদ্ভিদকোষের চিত্র। দুটি চিত্রেই সাদৃশ্যপূর্ণ 
    
         অঙ্গাণুগুলো হলো যথাক্রমে কোষঝিল্লি প্রোটোপ্লাজম, সাইট্রোপ্লাজম, কোষ গহব্বর ও
    
         ‍নিউক্লিয়াস। নিচে এদের কাজের বর্ণনা দেওয়া হলো-
    
         কোষ ঝিল্লি: এটি কোষের ভিতর ও বাইরের মধ্যে পানি, খনিজ পদার্থ ও গ্যাসের চলাচল
    
          নিয়ন্ত্রন করে।
    
         প্রোটোপ্লাজম : একে জীবনের ভিত্তি বলা হয়। এটি কোষ ঝিল্লি, সাইট্রোপ্লাজম ও ‍নিউক্লিয়াস
    
          কোষ ধারণ করে।
    
         সাইট্রোপ্লাজম : এর প্রধান কাজ হলো কোষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঙ্গাণুগুলো ধারণ করা।
    
         কোষ গহব্বর : কোষ গহব্বর কোষ রসের আধার হিসেবে কাজ করে এবং কোষের উপর 
    
         কোনো  চাপ এলে তা নিয়ন্ত্রন করে।
    
         নিউক্লিয়াস : এটি কোষের সব শরীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
    
     ঘ. চিত্রের উভয়ই কোষের প্রাণ কেন্দ্র হলো নিউক্লিয়াস। অঙ্গাণুটি কোষের সমস্ত জৈবিক কাজের
    
        নিয়ন্ত্রক। নিচের এ বিষয়টি বিশ্লেষণ করা হলো- নিউক্লিয়াস এর নিউক্লিওপ্লাজম নিউক্লিয়াসের 
    
        তথা জীবের বিভিন্ন জৈবনিক কাজে সাহায্য করে। এনজাইমের কার্যকলাপের মূল ক্ষেত্র ‍হিসেবে
    
        ব্যবহৃত হয়। নিউক্লিয়াসের নিউক্লিওয়াস বিভিন্ন প্রকার সংগ্রহ করে, প্রোটিন সংশ্লেষণ ও সরক্ষণ 
    
        করে এবং নিউক্লিওটাইমের ভান্ডার  হিসেবে কাজ করে। এছাড়া ক্লোমার্টিন অন্তু মিউটেশন, 
    
        প্রকরণ  সৃষ্টিতে ভূৃমিকা পালন করে। এটি কোষের অন্যন্য অঙ্গাণুর কাজের নিদের্শ দেয় ও
    
        বাধা দেয়। অতএব বলা যায়, নিউক্লিয়াস কোষের সমস্ত জৈবিক  কাজের নিয়ন্ত্রক।

    1. Report
  3. Question:৪. বিজ্ঞান শিক্ষক তানভীর আহমদ সাহেব কোষের গঠনের উপর ক্লাস নিচ্ছিলেন। তিনি বললেন জীবদেহ অসংখ্য কোষ দিয়ে তৈরি তিনি একটি প্রাণীকোষের চিহিৃত চিত্র আকলেন এবং কোষপ্রচীর প্রোটোপ্লাজম কোষ ঝিল্লি, সাইট্রাপ্লাজম ও কোষ গহব্বরের ব্যাখ্যা করলেন। ক. কে কোষ আবিস্কার করেন? খ. মাইকোকন্ডিয়াকে কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র বলা হয় কেন? গ. শিক্ষক যে কোষ আকলেন তার চিহিৃত চিত্র অঙ্কন কর। ঘ. শিক্ষক যেসব অঙ্গাণু উল্লেখ করেছেন তাদের কাজ বিশ্লেষণ কর। 

    Answer
    ক. লিউয়েন হুক কোষ আবিস্কার করেন।
    
    খ. শক্তি উৎপাদনের সকল বিক্রিয়া মাইটোকন্ডিয়ার অভ্যন্তরে ঘটে থাকে।
    
        এর ভেতরে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা দিয়ে জীব তার সব ধরণের জৈবিক
    
         কাজ কর্মে পরিচালনা করে। তাই মাট্রোকন্ডিয়াকে কোষের শক্তি উৎপাদন 
    
         বলা হয়।
    
     গ. শিক্ষক যে কোষ আকলেন সেটি হলো প্রাণী কোষ। 
    
     ঘ. শিক্ষক যেসব অঙ্গাণু উল্লেখ করেছেন সেগুলো হলো: কোষপ্রাচীর, প্রোটোপ্লজম,
    
        কোষঝিল্লি, সাইট্রোপ্লাজম ও কোষ গহব্বর। নিচে তাদের কাজ বিশ্লেষণ করা হলো:
    
        কোষ প্রাচীর কোষের কোষের আকৃতি দান করে, কোষকে বাইরের আঘাত থেকে 
    
        রক্ষা করে, প্রয়োজনীয় দৃঢতা প্রদান করে এবং কোষের ভেতর বাইরের তরল পদার্থের 
    
        যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করে। প্রোটোপ্লাজমে অবস্থিত কোষ ঝিল্লি এবং সাইটোপ্লাজম কোষের
    
       ভেতর বাইরে বিভিন্ন দ্রব্য আদান প্রদান ও পরিশোধণ করে। এছাড়া বিভিন্ন ধারণ এবং 
    
       কোষ দেহকে আকার প্রদান করে। কোষ গহব্বরের কাজ হলো কোষ রস ধারণ করা এবং 
    
       পানির সমতা রক্ষা করা। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, শিক্ষকের আলোচিত 
    
       অঙ্গাণুসমৃহ জীবদেহের জন্য অত্যন্ত গূরুত্বপৃর্ণ।

    1. Report
  4. Question:৫.ক. ক্লোরোপ্লাস্ট কী? খ. প্রোটোপ্লাজমকে জীবের ভৌত ভিত্তি বলা হয় কেন? গ. চিহিৃত অংশটি কোষে না থাকলে কী হতো ব্যাখ্যা কর। ঘ. চিত্রের চিহিৃত অংশটি উক্ত কোষের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য বহন করে আলোচনা কর। 

    Answer
    ক. প্লাস্টিড যখন সবুজ বর্ণের ক্লোরোফিল অধিক পরিমাণ ধারণ করে তখন তাকে 
    
        ক্লোরোপ্লাস্ট বলে।
    
    খ. প্রোটোপ্লাজম উদ্ভিদ ও প্রাণীকোষের সকল জৈবিক কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে।
    
        সাইট্রেপাপ্লাজম ও নিউক্লিয়াসকে একত্রে প্রোটোপ্লাজম বলে। জীবনের অস্তিত্ব প্রকাশে
    
        সাইট্রোপ্লাজম নিউক্লিয়াস সমন্বিত প্রোটোপ্লাজম মূল কোষের প্রতিনিধিত্ব করে বলে 
    
        প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয়।
    
     গ. চিত্রে চিহিৃত অংশ হচ্ছে কোষের মাইটোকন্ডিয়াতে ক্রেবস চক্র ফ্যাটি এসিড চক্র, 
    
        ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট ইত্যাদি ঘটে থাকে। এগুলোর মাধ্যমে কোষের যাবতীয় শক্তি 
    
        উৎপন্ন হয়ে থাকে। এ অঙ্গাণু থেকে কোষের যাবতীয় কাজের জন্য শক্তি সরবরাহ
    
        হয়ে থাকে বলে একে পাওয়ার হাউস বলা হয়। এছাড়া মাইট্রোকন্ডিয়া নিজস্ব
    
        উৎপাদন ও স্নেহ বিপাকে সাহায্য করে থাকে। মূলত এ অংশটি ব্যতীত কোষের
    
        শক্তি উৎপাদন হতো না। ফলের কোষের জৈবিক কার্যাবলি বন্ধ হয়ে যেত এবং 
    
        ফলশুতিতে কোষ মারা যেত। এমনকি জীবদেহের অস্বিত্ব বিলিন হয়ে যেত।
    
     ঘ. চিত্রের চিহিৃত অংশটি কোষের প্লাস্টিড। ক্লোরোপ্লাস্টের প্লাস্টিড কোষের 
    
         বর্ণনা হিসেবে কাজ করে। এ অঙ্গাণুটির উপস্থিতির ফলে উদ্ভিদের পাতা ফুল
    
         ফল ইত্যাদি বিভিন্ন রংঙের হয়। কোনো রংঙের প্লাস্টিড যখন যে রং অধিক পরিমাণে 
    
         ধারণ করে তখন বাইরে থেকে সে অঙ্গাণুটিকে ঐ রং দেখায়। প্লাস্টিড যখন সবুজ
    
         রং অনেক পরিমাণে ধারণ করে তখন তাকে ক্লোরোপ্লাস্ট বলে। প্লাস্টিড যখন অন্যন্য
    
         রং যেমন- লাল, হলুদ, বা নীল রং অধিক পরিমাণে ধারণ করে তখন তাকে ক্রোমোপ্লাস্ট বলে।
    
         অর্থাৎ ক্লোরোপ্লাস্টের উপস্থিতির কারণে

    1. Report
  5. Question:৭. পেয়াজের কোষ পরীক্ষা করলে দেখা যায় কোষের মধ্যে একটি বড় ফাকা জায়গা রয়েছে। এ ফাকা জায়গাতে যে রস থাকে তাকে কোষ রস বলে। ক. উদ্দীপকের ফাকা জায়গাটির নাম কি? খ. মাইট্রোকন্ডিয়াকে কোষের শক্তি ঘর বলা হয় কেন? গ. উদ্দীপকের ফাকা জায়গাটি যে কোষের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ঐ কোষের চিহিৃত চিত্র অঙ্কন কর। ঘ. কোষের প্রাণকেন্দ্র কোনটি? কেন একে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়? 

    Answer
    ক. উদ্দীপকের ফাকা জায়গাটির নাম হলো কোষগহব্বর।
    
    খ. মাইটোকন্ডিয়াতে ক্রেবস চক্র, ফ্যাটি এসিড চক্র, ইলেক্টন ট্রান্সপোর্ট প্রক্রিয়া 
    
        প্রভৃতি ঘটে থাকে। এসব বিক্রিয়ার সংঘটনের কারণে কোষের জৈবিক কাজ 
    
        সম্পাদনের সকল শক্তি এখানে উৎপন্ন হয়। এ জন্য মাইটোকন্ডিয়াকে কোষের 
    
        শক্তিঘর বলা হয়।

    1. Report
  6. Question:৭. পেয়াজের কোষ পরীক্ষা করলে দেখা যায় কোষের মধ্যে একটি বড় ফাকা জায়গা রয়েছে। এ ফাকা জায়গাতে যে রস থাকে তাকে কোষ রস বলে। ক. উদ্দীপকের ফাকা জায়গাটির নাম কি? খ. মাইট্রোকন্ডিয়াকে কোষের শক্তি ঘর বলা হয় কেন? গ. উদ্দীপকের ফাকা জায়গাটি যে কোষের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ঐ কোষের চিহিৃত চিত্র অঙ্কন কর। ঘ. কোষের প্রাণকেন্দ্র কোনটি? কেন একে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়? 

    Answer
    ক. উদ্দীপকের ফাকা জায়গাটির নাম হলো কোষগহব্বর।
    
    খ. মাইটোকন্ডিয়াতে ক্রেবস চক্র, ফ্যাটি এসিড চক্র, ইলেক্টন ট্রান্সপোর্ট প্রক্রিয়া 
    
        প্রভৃতি ঘটে থাকে। এসব বিক্রিয়ার সংঘটনের কারণে কোষের জৈবিক কাজ 
    
        সম্পাদনের সকল শক্তি এখানে উৎপন্ন হয়। এ জন্য মাইটোকন্ডিয়াকে কোষের 
    
        শক্তিঘর বলা হয়।
    
     গ. উদ্ভিদ কোষের চিহিৃত চিত্র অঙ্কন করতে হবে।
    
     ঘ. ‍নিউক্লিয়াসকে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়। কেননা নিউক্লিয়াস ছাড়া কোষ বেচে 
    
        থাকতে পারে না। এছাড়া নিউক্লিয়াস কোষের সকল প্রকার জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ
    
       করে। এ কারণে নিউক্লিয়াসকে কোষের নিন্ত্রয়ক বলা হয়। নিউক্লিয়াস অবস্থিত 
    
       ক্রোমোসোম অসংখ্য জিন থাকে, যারা জীবের বংশগতির ধারক ও বাহক হিসেবে
    
       কাজ করে। জীবের নতুন প্রজাতি সৃষ্টিতে এদের যথেষ্ট ভৃমিকা রয়েছে।
    
      ক্রোমোসোম কোষের বৃদ্ধি বা যেকোন ক্রিয়া-বিক্রিয়াও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
    
      সুতরাং কোষে নিউক্লিয়াস না থাকলে জীবের অস্তিত থাকত না, জীব হারাত
    
     তার বৈশিষ্ট্য এমনকি পৃথিবীতে নতুন কোনো জীবের জন্মও হতো না।

    1. Report
  7. Question:৬. ক. বিটপ কী? খ. A ও B অংশের কাজ লেখ। গ. A-অংশটি একে চিহিৃত কর। ঘ. মানব জীবনে উদ্ভিদের A ও B অংশের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। 

    Answer
    ক. উদ্ভিদের  যে অংশগুলো মাটির উপরের থাকে তাদের একত্রে বিটপ বলা হয়।
    
     খ. A হলো পাতা B হলো কান্ড।
    
        পাতার কাজ:
    
         i. খাদ্য তৈরি করা।
    
         ii. গ্যাসের আদান প্রদান করা।
    
        কান্ডের কাজ:
    
          i. কান্ড পাতা ও শাখা-প্রশাখার ভার বহন করে।
    
          ii. পাতায় প্রস্তুতকৃত খাদ্যে কান্ডের মাধ্যমে দেহের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
    
    
      ঘ. উদ্ভিদের জন্য A ও B অংশের অর্থাৎ পাতা ও কান্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। পাতা হলো 
    
          সালোকসংশ্লেষণ সংগঠনের স্থান। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় যে খাদ্য তৈরি করা হয় 
    
          তার ওপর সমস্ত উদ্ভিদ ও প্রাণীকূল নির্ভরশীল। এছাড়া পাতার মাধ্যমে বায়ুমন্ডল ও
    
           উদ্ভিদে CO2 ও O2 এর আদান প্রদান ঘটে। ফলে বায়ুতে এগুলোর ভারসাম্য বজায় 
    
           থাকে। এ ছাড়া পাতার মাধ্যমে গাছ প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় জলীয় বাস্প বের করে দেয় 
    
           ফলে বায়ুমন্ডলের আর্দ্রতা বজায় থাকে। কান্ড বিভিন্ন রকমের হয়। তবে মানব জীবনের
    
           জন্য বিশেষ গুরুত্বপৃর্ন হলো বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদের নরম কান্ড। যেমন আলু,
    
          আদা, প্রভৃতি আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি। খেজুর ও আখের কান্ড হতে পাওয়া রস 
    
          উপাদেয় পানীয়। বড় বড় কান্ড থেকে আমরা ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র তৈরির কাঠ পেয়ে থাকি।
    
          পাট বা শনের কান্ড থেকে প্রাপ্ত অাশ দিয়ে দড়ি, ছালা কাপড় ইত্যাদি তৈরি হয়।
    
          উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, মানব জীবনে উদ্ভিদের A অংশটি অর্থাৎ ‍পাতা 
    
          এবং B অংশটি অর্থাৎ কান্ড গুরুত্বপৃর্ণ ভৃমিকা পালন করে।

    1. Report
Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd