Question:৪. মেী এর বাড়ির সামনে একটি ছোট জায়গা আছে। সেখানে সে পুই, শিম,
মটরশুটি, লাউ, মরিচ ইত্যদি সবজির গাছ আবাদ করলেন। এদের মধ্যে
কিছু কিছু গাছের জন্য তিনি মাচা তৈরি করলেন এবং জায়গাটিতে বেড়ে
ওঠা ঘাস পরিস্কার করলেন।
ক. পত্রকক্ষ কাকে বলে?
খ. বৃন্তের কাজ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে আলোচিত আগাছায় মূলের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মেী-এর লাগানো উদ্ভিদগুলোর মধ্যে দুবর্ল কান্ডবিশিষ্ট উদ্ভিদগুলোর শ্রেণীকরণ কর।
Answer ক. কান্ডের সাথে পাতা কোন উৎপন্ন করে তাকে পত্রকক্ষ বলে।
খ. বৃন্ত পত্রমূল ও ফলককে যুক্ত করে। এটা পত্রফলককে এমনভাবে ধরে রাখে, যাতে
সবচেয়ে বেশি সূর্যের আলো পেতে পারে। এছাড়া কান্ড ও ফলকের মধ্যে পানি খনিজ
লবণ ও তৈরি খাদ্য আদান-প্রদান করা বৃত্তের কাজ।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত আগাছা এর মূল অস্থানিক গুচ্ছ মূল। যেসব মূল ভ্রণমূল থেকে উৎপন্ন
না হয়ে কান্ড তা পাতা থেকে উৎপন্ন হয় তাকে অস্থানিক মূল বলে। এদের ঘাস জাতীয়
উদ্ভিদের কান্ডের নিচের দিকে একগুচ্ছ সরু মূল সৃষ্টি হয়, এদের গুচ্ছমূল বলে। ভ্রণমূল
নষ্ট হয়েও সে স্থানে গুচ্ছমূল উৎপন্ন হতে পারে।
ঘ. মেী-এর লাগানো উদ্ভিদগুলোর মধ্যে দুর্বল কান্ড বিশিষ্ট উদ্ভিদগুলো হলো পুই, শিম, মটরশুটি
ও লাউ। নিচে এদের শ্রেণীকরণ বর্ণণা করা হলো-
দুর্বল কান্ডবিশিষ্টি উদ্ভিদের কান্ড খাড়াভাবে দাড়াতে পারে না। তাই মাটিতে বা মাচার উপর
বৃদ্ধি পায়। যেহেতু এদের কান্ড দুর্বল ও নরম। এদের কোনোটি লতানো, কোনোটি শয়ান
আবার কোনো আরোহী।
ট্রেইলর বা শয়ান: যেসব কান্ড মাটির উপরে ছড়িয়ে পড়ে কিন্তু পর্ব থেকে মূল বের হয় না।
এদের ট্রেইলার বা শয়ান কান্ড বলে। উদ্দীপকের পুই, মটরশুটি ইত্যাদি এ ধরণের উদ্ভিদ।
আরোহিণী: যেসব কান্ড কোনো অবলম্বনকে আকড়ে ধরে উপরের দিকে বেড়ে ওঠে, তাদের
তাদের ক্লাইম্বার বা আরোহীণী বলে। উদ্দীপকে শিম ও লাউ এ ধরণের উদ্ভিদ।