অন্তরাত্নার প্রগাঢ় কোঠায় যে পাখি বেঁধেছিল নীড়
তার পদভারে মনকুঠুরি আমার, কি শান্ত সুনিবিড়।
হুট করেই সে মেলেছিল ডানা
জেনেও যেন হয়নি জানা,
কুহুকুহু রব, কলরিত সব, তবু দুনিয়া আমার একটা জায়গায় ভালোবাসায় স্থবির।
সে পাখি আমার হৃদয় অলিন্দে আর বাড়তে দেয়নি ভীড়।
আমিও তারে, খুব সযতনে, বাঁধনে বাঁধি দৃঢ় প্রত্যয়ে
কৃতজ্ঞতায় জপেছিলাম মনে, সাথে রবো তার প্রতি ক্ষণে ক্ষণে,
যে পাখি আমায় এত মায়া দিলো
কাঙালের গতি যার তরে হলো
কি করে তারে পর করিবো, যেথায় করেছি লক্ষ্যস্থীর।
একদিন পাখি কহিলো আমায়
মোর সাথে থাকা হয়ে গেছে দায়
অন্ধ নয়নে আমায় নাকি, দেখা যায়নি স্থির
ভুল করে সে এসেছে হেথায়, ভুল ছিল এই তীর!
কিছুই বলিতে পারি নাই সখি
অশ্রুতে যে ভেসে যায় আঁখি,
যে মুখ দেখে ভালোবাসা শিখি, হৃদয়পটে তৈলচিত্র আঁকি
সে মুখটা আজ ভেংচি কাটে, ধ্বংস করার ফন্দি আঁটে
মন যে আমার বড় অকুলান, বুক ফেটে চৌচির।
তবু প্রার্থনা অবিকৃত আজি
ভালো থাকিস তুই অনেক বেশী
মুক্ত আকাশে উড়ুক আমার আদরের গাংচিল
সুখ নিয়ে তুই উজ্জ্বলতর, আমি না হয় ব্যথায় হবো নীল…
Comments 3