Home  • General Knowledge • Others

আপনার স্ত্রী আপনার

ধরুন আপনার স্ত্রী আপনার খুব অনুগত। আপনার পছন্দই তার পছন্দ, আপনার ইচ্ছাই তার ইচ্ছা। সে আপনার সেবায় সারাক্ষণ ব্যস্ত। আপনার কাপড় সে নিজ হাতে ধোয়। আপনি যা ভালোবাসেন সব সময় তেমন নানা ধরণের রান্না করেন। তেমনি সাজগোজ করে করে থাকেন। প্রতি দিন অফিসে আসার সময় নিজ হাতে আপনাকে পোষাক পড়িয়ে দেন। এক কথায় ঠিক আপনি যা যা বলেন সে তা-ই করে। এক দিন আপনি অফিস থেকে রুটিন ব্রেক করে বিকেলের পরিবর্তে হঠাৎ দুপুরে বাসায় এলেন। ঘরে ঢুকে দেখতে পেলেন, সে অন্য এক পুরুষের সাথে এক বিছানায়...। এখন এই স্ত্রীর ব্যাপারে আপনার অনুভুতি কেমন হবে? আপনার যদি সামান্যতম পৌরুষ থাকে আপনি কি তার রান্না খাবেন? আপনি কি তার সেবা যত্ন গ্রহণ করবেন? আপনার স্ত্রী আপনার সকল আদেশ নিষেধ মানার পরেও আপনি আর তাকে ঘরে রাখবেন না। তার সাথে সংসার করবেন না। কারণ, সে একমাত্র আপনার জন্য সংরক্ষিত অধিকার অন্যকে দিয়েছে। সে একান্ত আপনার জন্য সংরক্ষিত এলাকায় অন্যকে প্রবেশাধিকার দিয়েছে—এজন্য। এটা হলো শিরকের উদাহরণ। আপনি আল্লাহর সামান্য এক ক্ষুদ্র সৃষ্টি হয়ে আপনার যদি এতো আত্মমর্যাদা ও আত্মসম্মান থাকে, তাহলে ভাবুন তো যিনি এক ও একক, যিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, যিনি কাউকে জন্ম দেননি, কারো থেকে জন্ম গ্রহণ করেননি, যার সমকক্ষ কেউ নেই, যিনি ছাড়া কোনো প্রকৃত ইলাহ নেই, যিনি চিরঞ্জীব চিরস্থায়ী, যিনি প্রথম যিনি শেষ, যিনি প্রকাশ্য, যিনি গোপন, যিনি গোটা আসমান জমিনের স্রষ্টা ও প্রভু প্রতিপালক তিনি কেমন আত্মমর্যাদাশীল হবেন? তিনি কি তার অধিকারে অন্য কারো অংশীদারিত্ব মেনে নিবেন? তার আইন বাদ দিয়ে মানুষের বানানো আইন অনুসরণ কি তিনি মেনে নিবেন? তার পৃথিবীতে, তার রাজত্বে আপনি অন্য কাউকে সার্বভৌম শক্তির অধিকারী বলবেন— আর তিনি তা মেনে নিবেন? কক্ষনো না। আপনার আমলনামায় যদি বড় শিরকের গুনাহ নিয়ে কেয়ামতের দিন ওঠেন তাহলে মনে রাখবেন, আপনি এই জীবনে নামাজ পড়তে পড়তে যদি কপাল ফুটো করে ফেলেন, রোজা রাখতে রাখতে যদি জীর্ণ শীর্ণ হয়ে যান, দান করতে করতে যদি বিত্তশালী থেকে ফকীরও হয়ে যান, হজ্জ অরতে করতে যদি আলহাজ্জ্বও হয়ে যান, যিকির করতে করতে যদি মহা যাকের হয়ে যান, শোকর করতে করতে যদি মহা শাকের হয়ে যান............ কোনো ফায়দা নেই, কোনো লাভ নেই। কারণ আল্লাহ তা’আলা কুরআনুল কারীমে সুস্পষ্টভাবে ক’য়েক স্থানে উল্লেখ করেছেন যে, শিরক ও কুফর মানুষের সকল আমলকে ধংস করে দেয়। আল্লাহ তা’আলা উনিশজন নবীর নানা মর্যাদা বর্ণনা করে বলেন, তারাও যদি শিরক করতো, তাহলে তাদেরও সকল আমল ধ্বংস হয়ে যেতো (আল আন’আম আয়াত ৮৮) সংগ্রহীত।

Comments 2


Allahuakbar. I think everybody should understand this.
Thanks
About Author
Md. Raufur Rahman
Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd