চাকরির জন্য জীবন বৃত্তান্ত অথবা সিভি কিভাবে বানাবেন !
চাকরির জন্য সবাই যেভাবে জীবন বৃত্তান্ত অথবা সিভি বানায়, তা থেকে আপনার সিভি ভিন্নভাবে বানাতে পারলে ভালো হয়। এ জন্য সবাই ব্যবহার করে এমন কিছু সাধারণ শব্দ সিভি থেকে বাদ দিতে হবে।
পেশাদারদের নেটওয়ার্ক লিংকডইনের ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞ নিকোল উইলিয়ামস এ
ধরনের পাঁচটি পয়েন্ট বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। এগুলো মেনে চললে আপনার
সিভি অন্যদের চেয়ে আলাদা হবে।
১. বিপরীতার্থক শব্দগুলো খেয়াল করুন সম্প্রতি অনেকেই নিজের গুণগান
করতে সিভিতে লিখছেন ‘responsible,’ ‘strategic,’ বা ‘creative।’ কিন্তু এ শব্দগুলোর লেখার আগে তার বিপরীত অর্থের দিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ responsible-এর বিপরীত অর্থ irresponsible. আপনি যদি তা না হন তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনি responsible. ফলে এটা সিভিতে না লিখলেও চলবে।
২. কাজের নমুনা দিন সম্ভব হলে নিজের যোগ্যতা ও তার ভিত্তিতে কোনো কাজের বাস্তব ফলাফল বর্ণনা করুন। অনলাইনে আপনার কোনো কাজের উদাহরণ, ওয়েবসাইট, ফাইল, প্রেজেন্টেশন বা ভিডিও থাকলে তার লিংক দিয়ে দিন। শুধু বর্ণনা করার চেয়ে এটা অনেক কাজের হবে।
৩. অন্যের আস্থা প্রকাশ করুন আপনার দক্ষতা বিষয়ে যাদের আস্থা আছে,
তাদের রেফারেন্স দিন। পরবর্তীতে যোগাযোগ করলে তারা যেন আপনার দক্ষতা বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারে, সে বিষয় নিশ্চিত করুন।
৪. প্রত্যক্ষ ভাষা ব্যবহার করুন আপনি এই কাজের জন্য নিয়োজিত ছিলেন,
এটা পরোক্ষ ভাষা। প্রত্যেকেই চাকরিতে কিছু না কিছু কাজের জন্য নিয়োজিত থাকেন। তার পাশাপাশি আপনি সাফল্যের সঙ্গে কী করেছেন, তা উল্লেখ করবেন। যেমন ‘responsible for social media.’ এর মাধ্যমে চাকরিদাতারা আপনার নির্দিষ্ট কোনো দক্ষতা খুঁজে পাবে।
৫. প্রয়োজনীয়তা খুঁজে বের করুন নিয়োগকর্তার যেভাবে প্রয়োজন, ঠিক
সেভাবেই ভাষা ব্যবহার করে সিভি বানাবেন। আপনি যে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করছেন, তাদের কী ধরনের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা দরকার সেগুলো খুঁজে বের করুন। এরপর আপনার যদি সেগুলো থেকে থাকে তাহলে সে শব্দগুলো
আগে উল্লেখ করুন।
Comments 2