Home  • Online Tips • Religious

নৰী করিম (সাঃ) বলেছেন-যে ব্যক্তি আমার ৪০টি হাদিস আমার উম্মৎকে পৌঁছাইয়া দিবে, কেয়ামতের দিন আমি তাহার জন্য খাছ ভাবে সুপারিশ করিব।

০১) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে পর্যন্ত কোন ব্যক্তির অন্তরে তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং সমস্ত মানব সমাজ হতে আমি অধিকতর প্রিয় না হই সে পর্যন্ত সেই ব্যক্তি পূর্ন ঈমানদার হইতে পারবে না। ০২) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন – যে ব্যক্তি অন্য জাতিকে অনুসরন করে সে তাদেরই দলভুক্ত। ০৩) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- মুসলমানকে নিন্দা করা কবিরা গুনাহ। ০৪) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি মানুষকে কষ্ট দিবার জন্য খাদ্যসহ যাবতীয় জিনিসপত্র বেশী দামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে গুদামজাত করিয়া রাখে আল্লাহতায়ালা তাকে কষ্ট, রোগ ও দারিদ্রতার রোগে আক্রান্ত করিবেন। ০৫) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি আমার ৪০টি হাদিস আমার উম্মৎকে পৌঁছাইয়া দিবে কেয়ামতের দিন আমি তাহার জন্য খাছভাবে সুপারিশ করিব। ০৬) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- আযান ও ইকামতের সময় যে দোয়া চাওয়া হয় তা রদ হয় না। ০৭) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে জামাতের সহিত ঈশার নামায আদায় করে তাকে অর্ধরাত্রি ইবাদতের সওয়াব দেওয়া হয়। আর যদি সে ফজরের নামাযও জামাতের সহিত আদায় করল তাকে বাকি অর্ধেক রাত্রি ইবাদাতের সওয়াব দেওয়া হয়। ০৮) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- মাগরিবের নামাযের পর যে ব্যক্তি ছয় রাকাত নামায মন্দ কথা না বলে পড়ে তাহাকে ১২ বৎসর ইবাদতের সওয়াব দেওয়া হয়। ০৯) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তিকে দ্বীনের কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলে সে গোপন করে কেয়ামতের দিন তাহাকে আগুনের লাগাম পরান হইবে। ১০) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যার বুকে কোরআনের কিছুই নাই সে যেন ধ্বংশ হওয়া ঘরের ন্যায়। ১১) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে কোরআন পড়িয়া ভুলিয়া যায় কেয়ামতের দিন সে আল্লাহর সহিত কান ও নাক কাটা অবস্থায় সাক্ষাৎ করিবে। ১২) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- বসিয়া থাকার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হল কেবলামুখী হইয়া বসা। ১৩) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- মুমিনকে চিনিবার উপায় এই যে,সে হবে দাতা ও সাদা সিধা দরনের লোক। ১৪) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- একঘন্টা আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করা ৭০ বৎসরের ইবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। ১৫) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন যখন কোন বান্দা সেজদাতে থাকে তখন সে আল্লাহর অতি নিকটে থাকে। সুতরাং বেশী করিয়া দোয় চাও। ১৬) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে মদ পান করেন আল্লাহ তায়ালা তাহার ৪০ দিনের নামায কবুল করেন না। ১৭) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহার দুই বিবি অথচ উভয়ের সাথে ন্যায় বিচার করে নাই কেয়ামতের দিন তাহার বাহু বিচ্ছিন্ন হইয়া যাইবে। ১৮) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- গরীব লোক ধনবান লোকদের চাইতে ৫০০ বৎসর আগে বেহেস্তে যাইবে আর ৫০০ বৎসর কেয়ামতের অর্ধ দিবসের সমান। ১৯) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- তোমাদের পিতা মাতার নিকট হতে ফিরিয়া যাইওয়া। যে পিতা মাতার নিকট হইতে ফিরিয়া যায় সে কাফেরে গন্য। ২০) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- তিনটি বিষয়ের জন্য আরববাসীকে ভালবাস। কেননা আমি আরববাসী, কুরআন আরবী ভাষায় এবং জান্নাতবাসীদের ভাষা আরবী। ২১) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি গরীব ও বিধবার সাহায্যে দৌড়ায় সে ঐ ব্যক্তির ন্যয় যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য দৌড়ায়। ২২) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে কেহ জুমুআর দিন ১ হাজার বার দুরুদ শরীফ পাঠ করিবে সে মৃত্যুর পূর্বে তাহার বাসস্থান বেহেস্ত দেখিয়া লইবে। ২৩) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- তোমরা কবর যিয়ারত করিও কারন ইহা মানুষকে মৃত্যু স্মরন করাইয়া দেয়। ২৪) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- আল্লাহ তায়ালা আমার সকল উম্মতকে ক্ষমা করিবেন কিন্তু যে সকল লোক বাহাদুরীর সহিত প্রকাশ্যে পাপ করে তাহাদিগকে ক্ষমা করিবেন না। ২৫) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি পিতা মাতা বা কোন একজনের কবর সপ্তাহে একবার জিয়ারত করে তাহার গুনাহ মাফকরিয়া দেওয়া হয় এবং বাধ্য সন্তান বলিয়া তাহার নাম লিখা হয়। ২৬) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- পেশাব সম্পর্কে খুব সতর্কতা অবলম্বন কর। কেন না অধিকতর কবরেরর আযাব ইহার জন্যই হইবে। ২৭) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি আমার উপর দুরুদ পড়া ভুলে গিয়েছে সে বেহেস্তের পথ ভুলিয়া গিয়াছে। ২৮) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহারা স্ত্রী লোকদের পর্দায় রাখেনা বা পর্দায় রাখতে শাসন করে না এবং তাহাদিগকে কোন কুকার্যকরিতে দেখিলেও মানা করেনা তাহারাই দাইউছ। দাইউছ বেহেস্তের সুগন্ধি কিছুই পাইবে না। তাহাকে ৫০০ বৎসর দূর হইতে দোযখে ফেলিয়া দিবে। তাহাদের জন্য বেহেস্ত হারাম। ২৯) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহার অন্তরের মধ্যে সরিষা পরিমান অহংকার থাকিবে সে বেহেস্তে যাইবে না। ৩০) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যেরুপ পানি দ্বারা শস্য উৎপাদন হয় সেরুপ গান. বাজনা দ্বারা মানুষের মনে মোনাফেকী ও কপটতার বীজ অংকুরীত হয়। ৩১) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে উত্তমরুপে অযু করে তাহার সমস্ত গুনাহ শরীরর হইতে বাহির হইয়া যায়। এমননি নখর হইতেও বাহির হইয়া যায়। ৩২) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- আল্লাহর তায়ালার নিকট জামায়াতের নামায খুবই পছন্দনীয়। ৩৩) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি এলেমের একটি অধ্যায় এই নিয়তে শিক্ষা করিলহ যে,তা দ্বারা লোকদিগকে শিক্ষা দিবে তাহাকে ৭০ জন শহিদের নেক দান করা হইবে। ৩৪) যে ব্যক্তি দ্বীনের এলেম দুনিয়া কামাইর উদ্দেশ্যে হাসিল করে কেয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি জান্নাতের গন্ধ ও পাইবে না। ৩৫) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- আলেকদের মুখ দর্শন করাও নেকের কাজ। ৩৬) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে গৃহে আল্লাহর যিকির হয় আকাশ হইতে ফেরেস্তারা তাকে এতই উজ্জল. দেখেন, আমরা দুনিয়াবাসীরা আকাশের তারকারাশি যেমন উজ্জল দেখি। ৩৭) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহাদের চেহারা দেখিলেই আল্লাহর কথা স্মরন হয় তাহারই আল্লাহর ওলী। ৩৮) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে আল্লাহর নিকট কিছু চায়না আল্লাহ তাহার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকেন। ৩৯) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- দেহের জন্য যেরুপ মস্তক, দীনের জন্য সেরুপ নামায। ৪০) নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- হারামের গন্ধ নাই এমন হালাল বস্তু যে ৪০ দিন খায় আল্লাহ তাহার দিলকে দীনের নূরে নূরানী করিয়া দেন এবং তাহার দিলে হেকমতের (জ্ঞানের) ঝর্না যারী করিয়া দেন।

Comments 0


Share

Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd