আমরা দাবি করি যে, আমরা সভ্যতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌছেছি। আমরা মনেকরি, আমরা এমন একটি স্বর্ণযুগে পৌছেছি যেখানে আদিম সভ্যতাকে অতিক্রম করে জীবনের সর্বস্তরে উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বিংশ শতাব্দির অভাবনীয় সাফল্য সূচনা করেছে একটি নতুন যুগ যাকে বলা হয় "Glorious Age"। বর্তমানে শিক্ষার হার ব্যাপকভাবে বাড়ছে, পথের দূরত্ব কমে ভ্রমন আরামদায়ক ও fast হয়েছে, স্বাস্হ্য-শিক্ষা-চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রভুত উন্নতি সাধিত হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধার প্রসার ঘটেছে, মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে।
এমন স্বর্ণযুগে পৌছেও আমরা আমাদের মানসিকতার কতটুকু পরিবর্তন আনতে পেরেছি? কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়ে একটু সৎ পরামর্শের আশায় আমরা যখন ছুটে যাই সেই মানুষটির কাছে যাকে আমরা পরম বন্ধু মনেকরি, তখন আমরা আজও আদিম বর্বর যুগের মতই নিজেদের অবস্হান সুনিশ্চিত করার জন্য- শীর্ষে তোলার জন্য অতিরঞ্জিত মুখোরোচক করে তুলি------- যার সহযোগীতার দু'টি হাত একটি প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারে অথবা এককাপ চা'য়ের মাধ্যমেই তারুণ্য-চাঞ্চল্য-একতা বজায় রাখতে পারে। নিজেকে শুদ্ধ না করে নিজের দোষ-ত্রুটি মুখোস দিয়ে ঢেকে আমরা আধুনিক সভ্যতার মানুষ একে অন্যের গা'য়ে কাঁদা ছুড়ছি, একে অন্যকে অপবাদ দিচ্ছি, দোষারোপ করছি। এ ধরণের কথা যারা বলেন এবং যারা শোনেন সেই সকল বক্তা এবং শ্রোতাদের প্রতি একটি প্রশ্ন----
Comments 0