Home  • News • Weather News

সংলাপ নয়, দরকার মনোজগতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন

https-www-facebook-com-farukhttps://www.facebook.com/faruk.hossain2015 দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আলোচনার বিকল্প নেই’, ‘বড় দু’দলকেই ছাড় দিতে হবে’, ‘সমঝোতায় আসতেই হবে’– এ জাতীয় আহ্বান জানাচ্ছে সবাই। বিশেষ করে সুশীল সমাজ নামে নাগরিকদের একটি অংশ সুযোগ পেলেই আলোচনার কথা বলে। আলোচনা কেন? কাদের মধ্যে সমঝোতা? সবাই বলছে, একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে আলোচনা। কারণ এ দুটি দল দেশের পঁচাত্তর ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। তারাই দেশের মালিক। তারা বসেই ঠিক করবে জনগণের ভাগ্য। অতীতে বহুবার আলোচনা হয়েছে। গত বিশ বছরে আমরা দু’দলের মধ্যে সমঝোতার জন্য কমনওয়েলথ মহাসচিব ও জাতিসংঘের মহসচিবের দূতের দূতিয়ালি দেখেছি; দু’দলের মহাসচিব পর্যায়ে দিনের পর দিন সংলাপ দেখেছি; সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের দূতিয়ালিও দেখেছি। কোনো আলোচনাতেই কাজের কাজ কিছু হয়নি। যদি খুবই ইতিবাচক হিসেবে দেখি যে, শিগগিরই আওয়ামী লীগ সব ভুলে গিয়ে, ‘মহান’ হয়ে বিএনপির সঙ্গে নিঃশর্ত আলোচনায় বসছে, শুধু নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য ওই আলোচনা কি আদৌ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনবে? এর জবাব ‘হ্যাঁ’ সূচক হওয়ার কারণ দেখি না। জাতির দুর্ভাগ্য, তেতাল্লিশ বছরেও একটি স্থায়ী নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি। কারণ রাজনীতিবিদরা তা চাননি। আরও এক ধাপ এগিয়ে যদি ভাবি, আলোচনা করে একটি স্থায়ী নির্বাচন পদ্ধতি বের করা গেল– সেটি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা, নির্দলীয় ব্যবস্থা, সর্বদলীয় ব্যবস্থা বা একটি কার্যকর শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন অথবা নতুন কোনো পদ্ধতি– কিন্তু এরপর কী? যেহেতু সমঝোতার মাধ্যমে বের হওয়া একটি পদ্ধতির অধীনে নির্বাচন হবে, আমরা ধরে নিতে পারি যে, সেটি হবে অংশগ্রহণমূলক। সব দল তাতে অংশ নেবে, যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাতসহ। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং তার তথাকথিত বাম মিত্র অথবা বিএনপি ও তার ধর্মান্ধ ও যুদ্ধাপরাধী মিত্র অথবা সাবেক সামরিক একনায়ক জেনারেল এরশাদের দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি সরকার গঠন করতে পারে। কিন্ত এরপর? সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? যদি ধরে নিই, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিএনপি-জামাত ২০ দলীয় জোট ক্ষমতায় এল। আরও যদি ধরে নিই, ২০০১ সালে তারা ক্ষমতায় এসে যেভাবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে, তা এবার করবে না। তারেক রহমান সুবোধ বালকের মতো আচরণ করবেন। ২১ আগস্টের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। জঙ্গিবাদে রাষ্ট্র পৃষ্ঠপোষকতা দিবে না। আর আওয়ামী লীগও সংসদে গিয়ে গঠনমূলক বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে।

Comments 0


About Author
Faruk Hossain Topu
Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd