Home  • General Knowledge • History

বাংলাদেশের রহস্যময় চারটি স্থান!

রহস্যে-ঘেরা-এ-পৃথিবীর-অনেকরহস্যে ঘেরা এ পৃথিবীর অনেক রহস্য আছে যার সঠিক কোন উত্তর কারো কাছে নেই । বাংলাদেশেও এমন রহস্যাবৃত কিছু স্থান আছে । চলুন দেখে নেয় বাংলাদেশের এমনই চারটি স্থান যা রহস্যময়।

১। গানস অফ বরিশালঃ

গুগলে লিখে সার্চ দিলেই পাবেন। বরিশালে ব্রিটিশরা আসার সময় এর নাম ছিল বাকেরগঞ্জ। বাকেরগঞ্জের তৎকালীন এক ব্রিটিশ সিভিল সার্জন প্রথম ঘটনাটি লেখেন। বর্ষা আসার আগে আগে গভীর সাগরের দিক থেকে রহস্য ময় কামান দাগার আওয়াজ আসতো। ব্রিটিশরা সাগরে জলদস্যু ভেবে খোজা খুজি করেও রহস্যভেদ করতে পারে নাই।

২। চিকনকালা :

মুরং গ্রামটা বাংলাদেশ-বার্মা নো ম্যানস ল্যান্ডে। কাছের মুরং গ্রামের চিকনকালার লোকেরা বলে প্রতিবছর নাকি (দিনটা নির্দিষ্ট না) হঠাৎ বনের ভিতর রহস্যময় ধুপ ধাপ আওয়াজ আসে। শিকারীরা আওয়াজটা শুনলেই সবাই দৌড়ে বন থেকে পালিয়ে আসে। কিন্তু প্রতিবছরেই কয়েকজন পিছে পড়ে যায়। যারা পিছে পড়ে তারা আর ফিরে আসে না। কয়েকদিন পরে বনে তাদের মৃত দেহ পাওয়া যায়। শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। শুধু চেহারায় ভয়ঙ্কর আতঙ্কের ছাপ।

৩। বগা লেকঃ

কেওকারাডং এর আগে রুপসী বগা লেক। বম ভাষায় বগা মানে ড্রাগন। বমদের রুপকথা অনুযায়ী অনেক আগে এই পাহাড়ে এক ড্রাগন বাস করতো। ছোট ছোট বাচ্চাদের ধরে খেয়ে ফেলতো। গ্রামের লোকেরা ড্রাগনকে হত্যা করলে তার মুখ থেকে আগুন আর প্রচন্ড শব্দ হয়ে পাহাড় বিস্ফোরিত হয়। রুপকথার ধরন শুনে মনে হয়, এটা একটা আগ্নেয়গীরির অগ্ন্যুতপাত। উপজেলা পরিষদের লাগানো সাইনবোর্ডে সরকারী ভাবে এই রহস্যের কথা লেখা। এখনো এর গভীরতা কেউ বলতে পারে না। ইকো মিটারে ১৫০+ পাওয়া গেছে। প্রতিবছর রহস্যময় ভাবে বগা লেকের পানির রঙ কয়েকবার পালটে যায়। যদিও কোন ঝর্না নেই তবুও লেকের পানি চেঞ্জ হলে আশপাশেরলেকের পানিও চেঞ্জ হয়। হয়তো আন্ডার গ্রাউন্ড রিভার থাকতে পারে। কিন্তু বগা লেকের এই রহস্য ভেদ হয়নি এখনো।

৪। সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড:

মেঘন নদী যেখানে সাগরে মিশেছে জায়গাটাকে বলে সোয়ার্জ অফ নো গ্রাউন্ড বা অতল স্পর্শী। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ গঠনের পর থেকেই দু’মুখী স্রোতের ঠেলায় তলার মাটি সরে যাচ্ছে। এখানে গভীরতা পরিমাপ করা যায়নি।

Comments 3


Batting eyelahses
ﷲ আকবার।
Thumbs up
About Author
Zinia Islam
Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd