Question:খাদ্য সংরক্ষণের ৩টি উপায় বর্ণনা কর। 

খাদ্য সংরক্ষণের ৩টি উপায় হলো-
১. রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ : এ পদ্ধতিতে খাদ্য দ্রব্যকে রোদে শুকিয়ে জীবাণুমুক্ত করে সংরক্ষণ করা হয়। যেমন- চাল, ডাল, গম ইত্যাদি রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়।
২. হিমাগারে সংরক্ষণ : এ পদ্ধতিতে হিমাগারে খাদ্য দ্রব্যকে অত্যধিক ঠাণ্ডায় রাখা হয়। অত্যধিক ঠাণ্ডার কারণে খাদ্যদ্রব্যে জীবাণু জন্মাতে পারে না। যেমন- শাকসবজি, মাংস, মাছ ইত্যাদি এ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে বছরের বিভিন্ন সময় বাজারে সরবরাহ করা যায়।
৩. লবণ বা বরফ দিয়ে সংরক্ষণ: এ পদ্ধতিতে লবণ ও বরফ দিয়ে মাছ-মাংস সংরক্ষণ করা যায়।

Question:খাদ্য সংরক্ষণের উপকারিতা কী? 

খাদ্য সংরক্ষণের উপকারিতা হলো-
১. খাদ্য দ্রব্যকে পচন থেকে রক্ষা করে টাটকা ও তাজা রাখে।
২. বছরের সবসময় সবরকম খাদ্যদ্রব্য পাওয়া যায়।
৩. ভবিষ্যতের খাদ্য চাহিদা পূরণ করা যায়।
৪. খাদ্যের অপচয় রোধ করা যায়।

Question:সূষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন কেন? 

যে খাদ্যে খাদ্যের প্রয়োজনীয় সকল প্রকার পুষ্টি উপাদান পরিমাণ মতো থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলে। কর্মক্ষম থাকার জন্য আমাদের সঠিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ  না করলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ও সহজে রোগে আক্রান্ত করে। তাই আমাদের বয়স ও কাজের ধরণ অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন।

Question:একটি বার্গারে বিভিন্ন ধরণের খাবার যেমন- গরু ও মুরগির মাংস, টমেটো, লেটুস, পনির, পাউরুটি ইত্যাদি থাকে। তারপরেও খুব বেশি বার্গার খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর কেন? 

একটি বার্গারে বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন গরু ও মুরগির মাংস, টমেটো, লেটুস, পনির, পাউরুটি ইত্যাদি থাকে। তারপরও বার্গার অতিরিক্ত খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কারণ, বার্গার এক ধরনের জাঙ্ক ফুড। জাঙ্ক ফুড সুস্বাদু হলেও সুষম খাদ্য নয়। জাঙ্ক ফুডে অদ্যাধিক চিনি, লবণ, ও চর্বি থাকে যা আমাদের শরীরে খুব সামান্যই দরকার হয়। সাধারণ অতিক্তি জাঙ্ক ফুড তথা বার্গার গ্রহণে আমাদের শরীরে পুষ্টি হীনতা, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বা মোটা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

Question:কীভাবে আমরা সুষম খাদ্য পেতে পারি? 

সুষম খাদ্যে সকল প্রকার পুষ্টি উপাদান পরিমাণ মতো থাকে। তাই সুষম খাদ্য পেতে হলে আমাদের খাদ্যের প্রতিটি দল থেকে সঠিক পরিমাণ খাদ্য উপাদান নির্বাচন করতে হবে।

Question:খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা নানাভাবে উপকৃত হই। কিন্তু খাদ্যে রাসায়নিকের ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। 

খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা নানাভাবে উপকৃত হই। কিন্তু খাদ্যে রাসায়নিকের ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ফরমালিন, ফল পাকানোর জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন- কার্বাইড ব্যবহার করে। ফলে এ সকল ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণের ফলে বৃক্ক ও যকৃত অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। শরীরের বৃদ্ধি কমে যেতে পারে। অ্যাজমা ও ক্যান্সার হতে পারে।
তাই খাদ্যে রাসায়নিক ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

Question:সুষম খাদ্যে কয়টি খাদ্য উপাদান থাকে? যারা বেশি পরিশ্রম করে তাদের নিয়ীমত খাদ্য গ্রহণ প্রয়োজন কেন? একটি বাক্যে লেখ। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া নিরুৎসহিত করতে তুমি কী করবে তা তিনটি বাক্যে লেখ। 

সুষম খাদ্যে ছয়টি খাদ্য উপাদান থাকে। যারা বেশি পরিশ্রম করে তাদের দেহে বাড়তি শক্তি যোগান দেওয়ার জন্য নিয়ীমত খাদ্য গ্রহণ প্রয়োজন।
অতিরিক্ত খাবার খাওয়া নিরুৎসাহিত করতে আমার করণীয় তিনটি বাক্যে নিচে লেখা হলো-
১. অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীর ভারী হয়ে খেলাধুলার আগহ্য হারিয়ে ফেলার বিষয়টি বুঝাবে।
২. অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে দেহে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টির বিষয়টি বুঝাবে।
৩. অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীর অসুস্থ হলে পড়ালেখার বিঘ্ন ঘটার বিষয়টি বুঝাবে।

Question:ব্যবসায়ীরা কেন খাদ্যে ক্যালসিয়াম কার্বাইড মেশান, তা একটি বাক্যে লেখ। নিয়মিত রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত খাবার খেলে যে সমস্ত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তার মধ্যে দুটির নাম লেখ। কাউকে খাদ্যে ভেজাল ও রাসায়নিক দ্রব্য মেশাতে নিরুৎসাহিত করতে তাকে যে পরামর্শ দেবে তার দুটি ব্যাখ্যা লেখ। 

ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন প্রকার ফল সময়ের আগেই পাকানোর জন্য ক্যালসিয়াম মেশান।
নিয়ীমত রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত খাদ্য খেলে যে সমস্ত রোগ হতে পারে তার মধ্যে দুটি হলো-
১. লিভার ও কিডনি অকার্যকর হওয়া।
২. অ্যাজমা হওয়া।
খাদ্যে ভেজার ও রসায়নিক দ্রব্য মেশাতে নিরুৎসহিত করতে আমি যে পরামর্শ দুটি দেবো তা হলো-
১. ভেজাল ও রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো খাবারে ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে বলবো।
২. এইসব কাজ যে আইনত দণ্ডনীয়, সে সম্পর্কে অবহিত করবো।

Question:সুমনা ৬ বছরের শিশু, তার বাবা অধিক পরিশম করে। কর্মক্ষম থাকার জন্য সুমনার বাবার কী প্রয়োজন? কী অনুযায়ী তার খাদ্য গ্রহণ  করতে হবে? উক্ত খাদ্যটির প্রয়োজনীয়তা তিনটি বাক্যে লেখ। 

কর্মক্ষম থাকার জন্য সুমনার বাবার সঠিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। সুমনার বাবাকে বয়স ও কাজের ধরণ অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে  সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা হলো-
১. শরীর সুস্থ সবল রাখার জন্য সুষম খাদ্যের প্রয়োজন।
২. কর্মক্ষম থাকার জন্য সুষম খাদ্যের প্রয়োজন।
৩. সুষম খাদ্য না খেলে দেহের গঠন, বৃদিধ সাধন, ক্ষয়পূরণ, শক্তি উৎপাদন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে।

Question:এগার বছরের ছেলে জনি প্রতিদিন সুষম খাদ্য গ্রহণ করে। তার খাদ্যে কয়টি উপাদান রয়েছে? উপাদানগুলোর নাম লেখ। জনির প্রতিদিন কত মিলি দুধ খাওয়া প্রয়োজন? 

জনির গ্রহণ করা খাদ্যে ৬টি উপাদান রয়েছে। উপাদানগুলো হলো- ১. শর্করা, ২. ভিটামিন, ৩. আমিষ, ৪. স্নেহ, ৫. খনিজ লবণ ও ৬. পানি।
জনির প্রতিদিন ২৫০ মিলি গ্রাম দুধ খাওয়া প্রয়োজন।