Question:নিরাপদ পানি কী?
Answer
মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন পানিই হলো নিরাপদ পানি।
Question:নিরাপদ পানি কী?
মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন পানিই হলো নিরাপদ পানি।
Question:মানুষের পানের জন্য নিরাপদ নয় পানির এমন দুটি উৎসের নাম লিখ।
মানুষের পানের জন্য নিরাপদ নয় পানির এমন দুটি উৎসের নাম হলো- ১. পুকুরের পানি, ২. নদীর পানি।
Question:পানি বিশুদ্ধকরণ কী?
মানুষের ব্যবহারের জন্য পানিকে গ্রহণযোগ্য এবং নিরাপদ করার ব্যবস্থাই হলো পানি বিশুদ্ধকরণ।
Question:থিতানো কী?
পানিতে থাকা ময়লঅ, যেমন- বালি, কাদা ইত্যাদি সরানো জন্য কলস বা পাত্র ব্যবহার করে পানি পরিষ্কারকরণের প্রক্রিয়াই হলো তিথানো।
Question:কোন পানি কোনোভাবেই নিরাপদ করা যায় না?
আর্সেনিকযুক্ত পানিকে কোনোভাবেই নিরাপদ করা যায় না।
Question:পানি চক্র কাকে বলে? পানিচক্রের উপর তিনটি বাক্য লেখ।
পানি তার এক উৎস থেকে অন্য উৎস ঘুরে আসে। পানির এই ফিরে আসার মাধ্যমে যে চক্র সম্পন্ন হয় তাই পানিচক্র। সূর্যের তাপে পুকুর, খাল, বিল নদী ও সমুদ্রের পানি জলীয়বাষ্পে পরিণত হয়। এই জলীয় বাষ।প বায়ুমণ্ডলের উপরের দিকে উঠে ঠাণ্ডা হয়ে ক্ষুদ্র পানি কণায় পরিণত হয়। মেঘের পানি কণাগুলো খুব বেশি ঠান্ডা হয়ে গেলে তা বরফে পরিণত হয় এবং শিলাবৃষ্টি হিসেবে পৃথিবীতে নেমে আসে।
Question:রিমা প্রতিদিন সকালে তার লেবু গাছে পানি দেয়। গাছটিতে কত ভাগ পানি রয়েছে? এই পানি গাছটিতে কোনো কোন কাজে ব্যবহৃত হয় তার চারটি বাক্যে লেখ।
রিমার গাছটির দেহে প্রায় ৯০ ভাগ পানি রয়েছে। এই পানি গাছটি যেসব কাজে ব্যবহার করে তা হলো- ১. খাদ্য তৈরিতে গাছটি পানি ব্যবহার করে। ২. মাটি থেকে পুষ্টি উপাদান শোষণ করে পানির সাহায্যে। ৩. পুষ্টি উপাদান বিভিন্ন অংশে পরিবহন করে। ৪. প্রচণ্ড গরমে পানি উদ্ভিদটির দেহ শীতল করতে সাহায্য করে।
Question:শফিকের ডায়রিয়া হওয়াতে শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এই পানি মানুষের দেহে কত ভাগ রয়েছে? মানবদেহে এই পানির ভূমিকা চারটি বাক্যে লেখ।
মানবদেহের ৬০-৭০ ভাগ পানি রয়েছে। মানবদেহে পানির ভূমিকা নিচে চারটি বাক্যে লেখা হলো- ১. দেহের বিভিন্ন অংশে পুষ্টি উপাদান পরিবহনে সাহায্য করে। ২. দেহে পুষ্টি উপাদান শোষণে সাহায্য করে। ৩. খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। ৪. দেহের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
Question:শোভন সকালে গাছের পাতায় কিছু কিছু পানি দেখতে পায়। এ পানিকে কী বলে? কীভাবে এ পানির সৃষ্টি হয়? সৃষ্ট পানির প্রক্রিয়াকে কী বলে?
শোভন গাছের পাতায় যে পানি দেখে তাকে শিশর বলে। রাতে বায়ু যখন ঠাণ্ডা গাছের পাতার সংস্পর্শে আসে, তখন বায়ুতে থাকা জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা হয়ে পানির ফোঁটায় পরিণত হয়। এই পানির ফোঁটা ভারি হওয়ায় তা ভূ-পৃষ্ঠে শিশির হয়ে গাছের পাতা বা ঘাসের ডগায় জমা হয়। এভাবে বাষ্প থেকে তরলে অর্থাৎ পানিতে পরিণত হওয়াকে ঘনীভবন বলে।
Question:সুমনা চুলায় পানি ফুটাতে দিয়ে দেখলো পানি গরম হয়ে বাষ্পে পরিণত হচ্ছে। পানির এই প্রক্রিয়াকে কী বলে? এরূপ পানির কয়েকটি অবস্থার পরিবর্তন সম্পর্কে লেখ।
সুমনা যখন পানিতে তাপ দিলো তখন তা জলীয় বাষ্পে পরিণত হলো। এভাবে তরল থেকে বাষ্পে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে বাষ্পীয়ভবন বলে।তাপ প্রয়োগ ও ঠাণ্ডা করার মাধ্যমে পানি এক অবস্থা থেকে অন্য অন্য অবস্থায় পরিণত হয়। যেমন- ১. বরফে তাপ দিলে তা পানিতে পরিণত হয়। ২. পানিকে তাপ দিলে তা জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। ৩. জলীয় বাষ্পকে ঠাণ্ডা করা হলে তা ঘনীভূত হয়ে পানিতে পরিণত হয়। ৪. পানিকে শীতল করা হলে তা কঠিন বরফে পরিণত হয়।