Question:রফিক সাহেব তার বারো বৎছরের ছোট ছেলেকে দোকান পাঠালেন কিছু জিনিস কেনার জন্য । ছেলেটি দোকান থেকে কিছু চাল ডাল ও তেল আনল । রফিক সাহেব বাসায় পুনরায় পরিমাপ করে দেখলেন দোকানদার সঠিকভাবে মেপে দিয়েছে কিনা ।
ক. কত সালে পরিমাপের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি চালু হয় ?
খ. রফিক সাহেব চাল ডাল ও তেল পরিমাপে কী কী ব্যবহার করলেন ?
গ. রফিক সাহেব যে কাজটি করেছেনে তার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর ।
ঘ. রফিক সাহেব যে কাজটি করেছেন তার জন্য এককের আবশ্যকতা ও এর গুরুত্ব বিশ্লষণ কর ।
Answer ক. ১৯৬৯ সালে পরিমাপের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি চালু হয় ।
খ. চাল ডাল ও তেল পরিমাপ করার জন্য রফিক সাহেব যে সব উপকরণ ব্যবহার করেছেন সেগুলো হচ্ছে দাড়িপাল্লা বিভিন্ন ভরের বাটখানা লিটার মাপের মাপচোঙ ।
গ. রফিক সাহেব জিনিসগুলো পরিমাপ করেছেন । নিত্য প্রয়োজনীয় সামগী বিক্রয় করা পরিমাপ ছাড়া চিন্তাই করা যায় না । ক্রয়
বিক্রয় ছাড়াও সময় দুরত্ব এবং অন্যান্য মাপ জোকের কাজে পরিমাপ ব্যবহৃত হয় । পরিমাপ না থাকলে প্রতিক্ষ্রেত্রেই আমরা
অসুবিধার সম্মুখীন হতাম । কোনো বাড়ির প্রকৃত পরিমাপ জানার জন্য পরিমাপ ব্যবহার আবশ্যক । বিজ্ঞানীরা পযবেক্ষণ ও
গবেষণা কাজে পরিমাপ ব্যবহার করেন । পর্দাথ ও রসায়ন বিজ্ঞানের মূল ভিত্তিই হচ্ছে পরিমাপ । কাজেই বলা যায় দৈনন্দিন
জীবন থেকে শুরু করে সর্বরক্ষেত্রেই পরিমাপের প্ররয়াজনীতা অপরিসীম ।
ঘ. রফিক সাহেব সকল জিনিস গুলো পুনরায় পরিমাপ করেছেন । এই পরিমাপের জন্য এককের আবশ্যকতা ও গুরুত্ব নিচে বিশ্লেষণ
করা হলো : যে জানা পরিমাপের সাথে তলুনা করে ভেীত রাশিকে পরিমাপ করা হয় তাকে বলা হয় পরিমাপের একক । একক
হচ্ছে জানা পরিমাপ । জানা পরিমাপের সাথে তুলনা করেই সমগ্র পরিমাপ নির্ণয় করা হয় । কাজেই একক না থাকলে পরিমাপ
করা সম্ভব হতো না । যেমন- একটি বাঁশের দৈঘ্য পরিমাপ করে ২০ মিটার পাওয়া গেল । এর অর্থ হচ্ছে বাঁশটি মিটার এককের
২০ গুণ । কিন্তু যদি বলা হতো বাঁশটি দৈঘ্য ২০ তাহলে এর কোনো অর্থ বহন করে না । অর্থাৎ পরিমাপকে প্রকাশ করা একটি
এককের প্রয়োজন ।
কাজেই ব্যবসা -বানিজ্য গবেষণা তথ্য বিনিময় বা যে কোনো কাজে এককের গুরুত্ব অপরিসীম ।