1. Question:ফারহানের পড়ার ঘরের ক্ষেত্রফল ৪০ বর্গমিটার, যার দৈঘ্য ১০ মিটার । তার পড়ার টেবিলের দৈঘ্য ১ মিটার এবং প্রস্থ ৫০ সে.মি । ফারহানের মা সমআকৃতির আরেকটি টেবিল সেই ঘরে রাখলেন । ক. দৈঘ্যের একক কি ? খ. পরিমাপের প্রয়োজন হয় কেন ? গ. ফারহানের পড়ার ঘরের প্রস্থ কত ? ঘ. টেবিল দুইুটি রাখার পর ঘরে কতটুকু জায়গা ফাকা থাকবে ? 

    Answer
    ক. দৈঘ্যের আন্তর্জাতিক একক হলো মিটার ।
    
    খ. বাস্তব জীবনে অনেক কিছুই আন্দাজ করে পরিমাপ করা যায় না ।আর করলে সেক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত ফলাফলও পাওয়া যায় না ।
    
     কোনো জিনিস কতটুকু দরকার হয় তা কেবল পরিমাপের দ্বারা জানা সম্ভব । যেমন-জীবন বাচানোর জন্য ঔষধ পরিমাণ তৈরি 
    
    এবং সেবন না করলে বিপত্তি ঘটবে । তাই বলা যায় দৈনন্দিন কাজকর্ম সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পরিমাপের প্রয়োজন ।
    
    গ. উদ্দীপকের বর্ণিত ফারহানের পড়ার ঘরের ক্ষেত্রফল ৪০ বর্গমিটার এবং ঘরের দৈঘ্য ১০ মিটার ।
    
           সুতরাং ফারহানের পড়ার ঘরের প্রস্থ 
    
           = ঘরের ক্ষেত্রফল :- ঘরের দৈঘ্য 
    
           = ৪০ বর্গমিটার` :- ১০` মিটার
    
           = `(৪০ :- ১০)` মিটার
    
           = ৪ মিটার  
    
    ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত ফারহানের পড়ার টেবিলের দৈঘ্য ১ মিটার ।
    
       এবং প্রস্থ = ৫০ সে.মি. `= (৫০)/(১০০)` মিটার = ০.৫ মিটার ।
    
    :. ফারহানের পড়ার টেবিলের ক্ষেত্রফল `= (১ xx ০.৫) `বর্গমিটার
    
                                            = ০.৫ বর্গমিটার
    
    যেহেতু ফরহানের মা সমআকৃতির আরেকটি টেবিল ঘরে রেখেছেন, 
    
    সেহেতু টেবিল দুটি কর্তৃক দখলকৃত মোট জায়গা  `= (০.৫ xx ২) `বর্গমিটার ।
    
                                                      = ১.০ বর্গমিটার ।
    
    সুতরাং ঘরে ফাকা জায়গা থাকবে = (৪০ - ১) বর্গমিটার ।
    
                                       = ৩৯ বর্গমিটার ।
    
    :. জায়গা ফাকা থাকবে ৩৯ বর্গমিটার ।






    1. Report
  2. Question:হোসেন উদ্দিন সরকার একজন রপ্তানিকারক । এ বছর তিনি বিদেশে ৫ ম্রেটিকটন পাট রপ্তানি করেন ।তিনি ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষেত্রে পূর্বে E. P. S পদ্ধতি ব্যবহার করলেও বর্তমানে M. K. S পদ্ধতি ব্যবহার করেন । ক. ক্যান্ডেলা কী ? খ. যেীগিক একক ব্যাখ্যা কর । গ. এ বছর হোসেন উদ্দিন সরকার কত কিলোগ্রাম পাট রপ্তানি করলেন ? ঘ. উদ্দিপকে উল্লিখিত পদ্ধতি দুটির মধ্যে কোনটি সুবিধাজনক তোমার মতামত বিশ্লেষন কর । 

    Answer
    ক. ক্যান্ডেলা হল আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে আলোক উজ্জ্বল্যের একক ।
    
    খ. কোন কোন রাশি পরিমাপ করার ক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক এককের সমন্বয় দরকার হয় । এই সমন্বিত এককই হলো যেীগিক একক । যেমন : ক্ষেত্রফলোর একক হলো দৈঘ্য ও প্রস্থের এককের গুণফল । এখানে শুধুমাত্র দৈঘ্য বা শুধুমাত্র প্রস্থ দ্বারা ক্ষেত্রফলের একক নির্ধারণ করা যায় না । তাই ক্ষেত্রফলের একক হলো যেীগিক একক ।
    
    গ. উদ্দীপক বর্ণিত হোসেন উদ্দিন সরকার কর্তৃক রপ্তানিকৃত পাটের পরিমাণ = ৫ মেট্রিক টন ।
    
    এখন আমরা জানি, 
    
    [:. ১ মেট্রিক টন = ১০০০ কিলোগ্রাম  ]
    
    :. ৫ মেট্রিক টন `= (৫ xx ১০০০)` কিলোগ্রাম
    
                     = ৫০০০ কিলোগ্রাম
    
    অর্থাৎ এ বছর হোসেন উদ্দিন সরকার ৫,০০০ কিলোগ্রাম পাট রপ্তানি করলেন ।
    
    ঘ. উদ্দীপক উল্লিখিত F. P. S পদ্ধতি  M. K. S পদ্ধতির মধ্যে পদ্ধতি সুবিধাজনক ।
    
    M. K. S পদ্ধতিকে অনুসরণ করে এককের এসআই বা আন্তর্জাতিক পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে । এসআই পদ্ধতিতে পৃথিবীর সমগ্র দেশে 
    
    একটি সাধারণ পরিমােপের পদ্ধতি ব্যবহার হয় এবং সকল ভেীত রাশির জন্য কেবল একটি একক নির্ধারণ করা হয়েছে । ফলে 
    
    একই রাশি পরিমাপের জন্য বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন একক ব্যবহারে সৃষ্ট অসুুবিধা দূর হয় । যেমন : এস আই পদ্ধতিতে পৃথিবীর 
    
    সকল দেশে দৈঘ্যের একক মিটার ব্যবহৃত হয়, যা M. K. S পদ্ধতিতে দৈঘ্যের একক । 
    
    অন্যদিকে E.P. S পদ্ধতি নিদিষ্ট কতগুলো দেশে ব্যবহৃত একক । তাই এই একক ব্যবহার করে 
    
    দেশে বিদেশে ব্যবসা - বানিজ্য করার ক্ষেত্রে নানা অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে । এ কারণে M. K. S পদ্ধতি সুবিধাজনক ।






    1. Report
  3. Question:রশিদকে স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেনীতে র্ভতি হওয়ার সময় তার বয়স উচ্চতা এবং ভর স্কুলের ফরমে লিখতে হলো । স্কুল ফরমে লেখা আছে সকল একক এসআই এককে লিখতে হবে । রশিদ র্ভতি ফরমে বয়স লিখল ১১ বছর ৫ মাস । ভর লিখল ৪৫ কেজি এবং উচ্চতা ৫ ফুট ১ ইঞ্চি । স্কুলের অফিস সহকারী বললেন তুমি ফরম পূরণ করতে এক জায়গায় ভুল করেছ । ক. এসআই পদ্ধতিতে ভরের একক কী ? খ. রশিদ তার স্কুলের ফরম পূরণ করতে কোথায় ভুল করেছে ? গ. রশিদের ভরকে গ্রাম ও কুইন্টালে প্রকাশ কর । ঘ. পরিমাপের ক্ষেত্রে উক্ত এককের সুবিধাগুলো আলোচনা কর । 

    Answer
    ক. এসআই পদ্ধতিতে ভরের একক কিলোগ্রাম ।
    
    খ. স্কুলে সকল তথ্য এসআই এককে দিতে বলা হয়েছে । কিন্তু রশিদ স্কুলের র্ভতি ফরমে উচ্চতা লেখার সময় লিখেছে ৫ ফুট ১ ইঞ্চি ।
    
    এই ফুট হলো উচ্চতা বা দৈঘ্য মাপার এফপিএস পদ্ধতির একক ।
    
    অর্থাৎ রশিদ উচ্চতার জায়গায়  ভুল করেছে ।
    
    গ. উদ্দীপকে দেওয়া আছে, রশিদের ভর ৪৫ কেজি 
    
    আমরা জানি ১ কেজি = ১০০০ গ্রাম
    
    :. ৪৫ কেজি `= ৪৫ xx ১০০০` গ্রাম
    
                 = ৪৫০০০ গ্রাম 
    
    আবার আমরা জানি ১ কুইন্টাল = ১০০ কেজি
    
    অর্থাৎ ১০০ কেজি = ১ কুইন্টাল
    
    :. ১ কেজি `= ১/(১০০০)` কুইন্টাল
    
    তাহলে ৪৫ কেজি `= (৪৫)/(১০০)` কুইন্টাল = ০.৪৫ কুইন্টাল 
    
    ঘ. উদ্দীপকে একটি হলো এসআই একক । পরিমাপের ক্ষেত্রে এসআই এককের সুবিধাগুলো নিচে আলোচনা কর হলো -
    
     i, এটি সর্বজন স্বীকৃত পরিমাপ পদ্ধতি ।
    
    ii, বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পরিমাপ পদ্ধতি চালু থাকায় যে অসুবিধার সুষ্টি হতো, এই পদ্ধতি ব্যবহারের মাধমে তা দূরীভূত হয়েছে । 
    
    iii, প্রত্যেকটি ভেীত রাশির জন্য শুধু একটি একক নির্ধারণ করা হয়েছে ।
    
    iv, এই পদ্ধতিতে আয়তন ও ভরের একটি সহজ সম্পর্ক আছে । যেমন : ১ লিটার আয়তন পানির ভর ১ কিলোগ্রাম ।






    1. Report
  4. Question:রফিক সাহেব তার বারো বৎছরের ছোট ছেলেকে দোকান পাঠালেন কিছু জিনিস কেনার জন্য । ছেলেটি দোকান থেকে কিছু চাল ডাল ও তেল আনল । রফিক সাহেব বাসায় পুনরায় পরিমাপ করে দেখলেন দোকানদার সঠিকভাবে মেপে দিয়েছে কিনা । ক. কত সালে পরিমাপের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি চালু হয় ? খ. রফিক সাহেব চাল ডাল ও তেল পরিমাপে কী কী ব্যবহার করলেন ? গ. রফিক সাহেব যে কাজটি করেছেনে তার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর । ঘ. রফিক সাহেব যে কাজটি করেছেন তার জন্য এককের আবশ্যকতা ও এর গুরুত্ব বিশ্লষণ কর । 

    Answer
    ক. ১৯৬৯ সালে পরিমাপের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি চালু হয় ।
    
    খ. চাল ডাল ও তেল পরিমাপ করার জন্য রফিক সাহেব যে সব উপকরণ ব্যবহার করেছেন সেগুলো হচ্ছে দাড়িপাল্লা বিভিন্ন ভরের বাটখানা লিটার মাপের মাপচোঙ ।
    
    গ. রফিক সাহেব জিনিসগুলো পরিমাপ করেছেন । নিত্য প্রয়োজনীয় সামগী বিক্রয় করা পরিমাপ ছাড়া চিন্তাই করা যায় না । ক্রয় 
    
    বিক্রয় ছাড়াও সময় দুরত্ব এবং অন্যান্য মাপ জোকের কাজে পরিমাপ ব্যবহৃত হয় । পরিমাপ না থাকলে প্রতিক্ষ্রেত্রেই আমরা 
    
    অসুবিধার সম্মুখীন হতাম । কোনো বাড়ির প্রকৃত পরিমাপ জানার জন্য পরিমাপ ব্যবহার আবশ্যক । বিজ্ঞানীরা পযবেক্ষণ ও 
    
    গবেষণা কাজে পরিমাপ ব্যবহার করেন । পর্দাথ ও রসায়ন বিজ্ঞানের মূল ভিত্তিই হচ্ছে পরিমাপ । কাজেই বলা যায় দৈনন্দিন 
    
    জীবন থেকে শুরু করে সর্বরক্ষেত্রেই পরিমাপের প্ররয়াজনীতা অপরিসীম । 
    
    ঘ. রফিক সাহেব সকল জিনিস গুলো পুনরায় পরিমাপ করেছেন । এই পরিমাপের জন্য এককের আবশ্যকতা ও গুরুত্ব নিচে বিশ্লেষণ 
    
    করা হলো : যে জানা পরিমাপের সাথে তলুনা করে ভেীত রাশিকে পরিমাপ করা হয় তাকে বলা হয় পরিমাপের একক । একক 
    
    হচ্ছে জানা পরিমাপ । জানা পরিমাপের সাথে তুলনা করেই সমগ্র পরিমাপ নির্ণয় করা হয় । কাজেই একক না থাকলে পরিমাপ 
    
    করা সম্ভব হতো না । যেমন- একটি বাঁশের দৈঘ্য পরিমাপ করে ২০ মিটার পাওয়া গেল । এর অর্থ হচ্ছে বাঁশটি মিটার এককের 
    
    ২০ গুণ । কিন্তু যদি বলা হতো বাঁশটি দৈঘ্য ২০ তাহলে এর কোনো অর্থ বহন করে না । অর্থাৎ পরিমাপকে প্রকাশ করা একটি 
    
    এককের প্রয়োজন ।
    
    কাজেই ব্যবসা -বানিজ্য গবেষণা তথ্য বিনিময় বা যে কোনো কাজে এককের গুরুত্ব অপরিসীম ।






    1. Report
  5. Question:চিত্রে একটি আয়তকার বাক্স দেখানো হয়েছে । ক. পরিমাপ কী ? খ. দৈঘ্যের একক কিভাবে নির্ধারিত হয়েছে ? গ. চিত্রের বাক্সটির আয়তন কত নির্ণয় কর । ঘ. অন্য কোনো পদ্ধতিতে বাক্সটির আয়তন নির্ণয় সম্ভব কিনা যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ কর । 

    Answer
    ক. কোনো কিছুর পরিমাপ নির্ণয় করাকে পরিমাপ বলা হয় ।
    
    খ. বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা দৈঘ্যের একক মিটার নির্ধারণের প্লাটিনপম ইরিডিয়ান নামক মিশ্রিত ধাতুর তৈরি একটি দন্ডের দুই 
    
    প্রান্তে দুটি দাগ দেন । এরপর শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ঐ দুইটি নিদিষ্ট দাগের মধ্যকার দূরত্বকে তারা এক মিটার হিসাবে 
    
    নির্ধারণ করেন ।
    
    গ. চিত্রের বাক্সটির দৈঘ্য = ১১ সে.মি.
    
                       প্রস্থ   = ৩ সে.মি
    
                       উচ্চতা = ৫ সে.মি
    
      বাক্সটির আকৃতি আয়তকার ।
    
    সুতরাং বাক্সটির আয়তন = দৈঘ্য প্রস্থ উচ্চতা 
    
                              = (১১ ৩ ৫) সে.মি
    
                              = ১৬৫ সে.মি
    
    :. বাক্সটির আয়তন = ১৬৫ সে.মি 
    
    ঘ. অন্য পদ্ধতিতে বাক্সটির আয়তন বের করা সম্ভব । এজন্য বাক্সটিকে একটি 
    
    পানিপূর্ন মাপচোঙের মাঝে ডুবাতে হবে । প্রথমে একটি মাপচোঙে পানি নিয়ে বাক্সটি পানিতে ডুবানোর পূর্বে পাঠ নিতে হবে । 
    
    এক্ষেত্রে অবশ্য মাপচোঙকে সে. মি এককে দগাঙ্কিত থাকতে হবে । এরপর মাপচোঙে বাক্সটি ডুবালে বাক্সটির আয়তনের 
    
    সমপরিমান পানি সরে যাবে ।






    1. Report
Copyright © 2025. Powered by Intellect Software Ltd