Question:সজিব একজন কাঠ মিস্ত্রি সে একদিন বাক্স তৈরি করার জন্য বাজার থেকে কিছু কাঠ সংগ্রহ করে আনল । অতঃপর সে
পরিমাপের কাজে ব্যবহৃত একটি মিটার স্কেলের সাহায্যে বাক্সটির দৈঘ্য নির্ণয়ে একধরনের ত্রুটি লক্ষ করল ।
ক. কোনো কিছুর পরিমাপ নির্ণয় করাকে কি বলে ?
খ. এককের গণিতক বা ভগ্ন্ংশের প্রয়োজন হয় কেন ?
গ. সজিবের তৈরিকৃত বাক্সের দৈঘ্য ১ মিটার প্রস্থ ৭৫ সে. মি হলে বাক্সটির উপরিপৃষ্টের ক্ষেত্রফল কত হবে ?
ঘ. সজিবের ব্যবহৃত স্কেল দিয়ে দৈঘ্য পরিমাপের ক্ষেত্রে কী ধরণের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলে তুমি মনে কর ?
Answer ক. কোনো কিছুর পরিমাপ নির্ণয় করাকে পরিমাপ বলে ।
খ. বৃহত্তর কোনো কিছু পরিমাপ করার জন্য এককের গুণিকৃত প্রয়োজন হয় । যেমন ঢাকা থেকে
সিলেটের দুরুত্ব মাপার ক্ষেত্রে আমরা কিলোমিটার একক ব্যবহার করি । কিন্তু ক্ষুদ্রতম কোনো
কিছু পরিমাপ করার জন্য এককের ভগ্নাংশ ব্যবহার করা হয় । যেমন পেন্সিলের দৈঘ্য বা
পয়সার দুরত্ত মাপতে এককের গুণিতক সে. মি বা মি.মি ব্যবহার করা হয় ।
গ. সজিবের তৈরিকৃত বাক্সটির উপরিপৃষ্ট হবে আয়তকার । বাক্সটির উপরের পৃষ্টের ক্ষেত্রফল নিচে নির্ণয় করা হলো--
বাক্সের দৈঘ্য = ১ মিটার
বাক্সের প্রস্থ = ৭৫ সে.মি
`= ৭৫/১০০` মিটার
= ০.৭৫ মিটার
বাক্সের উপরিপৃষ্ট ক্ষেত্রফল = দৈঘ্য` xx` প্রস্থ
= ১ মিটার` xx ` ০.৭৫ মিটার
= ০.৭৫ মিটার
সুতরাং বাক্সের উপরিপৃষ্টের ক্ষেত্রফল ০.৭৫ মিটার ।
ঘ.সজিবের ব্যবহৃত স্কেল দিয়ে দৈঘ্য পরিমাপের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত সতর্কতাসমৃহ অবলম্বন
করা উচিত বলে আমি মনে করি ।
i. মিটার স্কেল দিয়ে পাঠ নেওয়ার সময় চোখ সঠিক অবস্থানে রাখতে হবে ।
ii. স্কেলের দাগ এবং প্রান্ত বিন্দু দিয়ে একই রেখা বরাবর থাকতে হবে ।
iii. চোখ যাতে স্কেলের সাথে লম্বভাবে থাকে সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে ।
iv. যেকোন পাঠের মান একাধিকার নেওয়া উচিত । এতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি । এজন্য উপরের
সতর্কতাসমৃহ অবলম্বন করা উচিত ।