এক পাতার সাথে আর এক পাতার সেলাই করে বাসা তৈরিতে টুনটুনি অত্যন্ত দক্ষ । তাই হয়তো টুনটুনির ইংরেজি নাম Tailorbird বা দর্জি পাখি ।
টুনটুনি হলদে জলপাই রঙের পালকে আবৃত । পেট ও বুক সাদাতে । মাথার উপরের দিক লালচে জলপাই । টুনটুনির ঠোঁট সোজা সূচালো । এরা আকারে ১৩ সেমি হয় । টুনটুনি গায়ক পাখি । তবে ছোট হলেও এর গলায় অনেক জোর ।
টুনটুনি মাঠ-ঘাঁটে , গ্রাম-শহরে, এমন কি সব ধরনের বনে বাস করতে পারে । বাংলাদেশের সব বন ও গ্রাম শহরেই এদের দেখা যায় । এদের ঝোপঝাড় , মধ্যম আকৃতির গাছে বেশি দেখা যায় । ছোট পোকামাকড় , কেঁচো , ফুলের মধু টুনটুনির খাবার । ফলে টুনটুনি পাখিকে সবজী ক্ষেতেও বেশি দেখা যায়।
টুনটুনি সাধারণত বড় পাতা যুক্ত ঝোপঝাড়ে বা গাছে বাসা বাধে । পাশাপাশি দুটি পাতা কখন কখন একটি পাতা নিয়ে , গাছ ( কলাগাছ, পাট , খেজুর গাছের পাতা বা আঁশ জাতিয় গাছ ) থেকে আঁশ নিয়ে টুনটুনি তার ঠোঁট দিয়ে দক্ষতার সাথে সেলাই করে তার বাসা বাধে । সাধারণত এরা ৩ টি ডিম দিয়ে থাকে । ১১ থেকে ১৪ দিনে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হয় ।
টুনটুনি আমাদের ফসল ও পরিবেশের জন্য খুব উপকারী ও প্রয়োজনীয় প্রাণ । এরা নানা দিক থেকে প্রতিনিয়ত আমাদের উপকার করছে । কিন্তু আমরা এদের বাস যোগ্য ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার করছি । ফলে টুনটুনি হচ্ছে বাস্তুহারা । ফলে ব্যাহত হচ্ছে বংশ বৃদ্ধি । দিন দিন বিপন্ন হচ্ছে ছোট গায়ক টুনটুনি ।
Comments 1