Question:তোমরা বিদ্যালয়ে কী কী সাহায্য কর। 

বিদ্যালয়ে আমরা যে কাজে সাহায্য করি-
শ্রেণিকক্ষের ভিতরে:
১. শ্রেণিকক্ষের চেয়ার-টেবিল সাজিয়ে রাখব।
২. ব্লাকবোর্ড পরিষ্কার রাকব।
৩. শ্রেণিকক্ষে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলব না।
শ্রেণিকক্ষের বাইরে:
১. বিদ্যালয়ের মাঠ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করব।
২. বাগানে ফুলের গাছ লাগাব ও যত্ন নেব।
৩. বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শৃঙ্খলার সাথে অংশগ্রহণ করব।
পাঠ চলাকালীন সময়ে: 
১. আমরা শ্রেণিতে মনোযোগী হব এবং শিক্ষকের কথা শুনব।
২. শ্রেণিকক্ষে হৈচৈ বা গণ্ডগোল করব না।
৩. নিয়মিত পড়া লিখে নেব এবং শিক্ষককে পড়া দেব।

Question:বিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজন এমন চারটি উন্নয়নমূলক কাজের তালিকা তৈরি কর। 

বিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজন এমন চারটি উন্নয়নমূলক কাজের তালিকা হলো-
১. শ্রেণিকক্ষে যেখানে-সেখানে ময়লা না ফেলা।
২. বিদ্যালয় গৃহ এবং আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
৩. বাগানে ফুলের গাছ লাগানো এবং তা যত্ন নেওয়া।
৪. বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শৃঙ্খলার সাথে অংশগ্রহণ করা।
৫. শ্রেণিকক্ষের চেয়ার-টেবিল সাজিয়ে রাখা।
৬. শ্রেণিতে পাঠদানে মনোযোগী হওয়া।
৭. শ্রেণিকক্ষে গণ্ডগোল না করা।
৮. বোর্ড পরিষ্কার রাখা।

Question:বায়ু দূষণের দুটি কারণ লেখ। 

বায়ূ দূষণের দটি কারণ হলো-
১. যেখানে সেখানে কফ, থুথু ফেললে রোগজীবাণু বায়ুতে মিশে বায়ুকে দূষিত হয়।
২. ধুলাবালি ও ধোঁয়ার ফলে বাতাস গন্ধুযুক্ত ও দূষিত হয়।

Question:পানি দূষণের দুটি কারণ লেখ। 

১. ময়ল আবর্জনা খাল, বিল, পুকুর বা নীতে মিশে পানিকে দূষিত করে।
২. পানিতে ময়লা আবর্জনা ফেললে, থালা বাসন ধুলে, কাপড়কাচলে, গরু মহিষ গোসল করালে পানি দূষিত হয়।

Question:অতিরিক্ত শব্দের ফলে কী হয়? 

অতিরিক্ত শব্দের কারণে পরিবেশে শব্দ দূষণ হয়। এবং ফলে আমাদের শোনার সমস্যা, মাথা ব্যাথ, শ্রবণ শক্তি কমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের রোগ বৃদ্ধি ইত্যাদি হতে পারে।

Question:কোথায় মলা আবর্জনা ফেলা উচিত? 

সবসময় নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলা উচিত। অথবা ময়লা আবর্জনা মাটিতে গর্ত করে রেখে মাটি চাপা দিয়ে রাখা উচিত।

Question:আমাদের কেন পরিবেশ সংরক্ষণ করা উচিত? 

দূষিত পান পান করলে আমাদের নানা রকমের রোগ হতে পারে। যেমন- ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস, কলেরা। এসব রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের লক্ষ রাখা উচিৎ যেন পানি দূষিত না হয়।
দূষিত বায়ুতে দুর্গন্ধ এবং ধোঁয়া ছাড়াও ধুলাবালি, ফুলের রেণু ইত্যাদি খুব ছোট ছোট জিনিস ভেসে বেড়ায়। আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে এ সকল দূষিত পদার্থ ফুসফুসে চলে যায়। এতে অনেকের শ্বাসকষ্ট হয়।
ময়লা আবর্জনা মাটিতে গর্ত করে রেখে মাটি চাপা দিয়ে রাখতে হয়। এতে করে পানি ও বায়ু দূষিত হতে পারে না। তাই আমাদের পরিবেশ সংরক্ষণ করা উচিত।

Question:আমাদের পরিবেশ কীভাবে দূষিত হয়? 

নানা কারণে আমাদে রপরিবেশ দূষিত হয়। যেমন-
বায়ু দূষণ: ধুলাবালি ও ধোঁয়ার ফলে বাতাস গন্ধুযুক্ত ও দূষিত হয়ে আমাদের পরিবেশ দূষিত করে।
পানি দূষণ: ময়লা আবর্জনা খাল, বিল, পুকুর বা নদীতে মিশে পানি দূষিত হয়ে আমাদের পারিবেশ দূষিত করে।
শব্দ দূষণ: শব্দ ছাড়া আমরা চলতে পানি না। কিন্তু  উচ্চ শব্দের দ্বারা পরিবেশে শব্দ দূষণ হয়।
বর্জ্য দূষণ: যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলেলে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং রোগ জীবাণূর সৃষ্টি হয়। ফলে পরিবেশ দূষিত হয়।
মানুষসৃষ্ট দূষণ: মানুষের সচেতনতার অভাবে পরিবেশ দূষিত হয়।

Question:পরিবেশ দূষণ কী? 

মানুষ ও প্রকৃতির কারণে পরিবেশের স্বাভাবিক অবস্থা নষ্ট হলে তাকে পরিবেশ দূষণ বলে।

Question:ধোঁয়া, ধুলাবালি দ্বারা কী দূষিত হয়? 

ধোঁয়া, ধুলাবালি দ্বারা বায়ু দূষিত হয়।