Question:উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির মুল লক্ষ্য বর্ণনা কর। 

একটি দেশের কৃষি, শিক্ষা, সেবা খাতসহ বিভিন্ন খাতে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধি মূল লক্ষ্য হলো জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি। দেশে উৎপাদন বাড়লে জনগণের জীবনযাত্রার মানের ওপর যেমন ইতবাচক প্রবাব পড়ে তেমনি বিভিন্ন আর্থসামাজিক সমস্যা যেমন-দারিদ্র, বেকারত্ব ইত্যাদি সমাধান হয়। অন্যদিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ে।

Question:জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে শিল্পের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা কর। 

জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে শিল্পের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এজন্য শুধু কৃষির ওপর নির্ভরশীল হয়ে কোনো দেশের জাতীয় আয় দ্রুত বাড়ানো সম্ভব নয়। তাছাড়া বাংলাদেশে কৃষিব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ার কারণে এখানে একথা আরও বেশি প্রযোজ্য। তাই আমাদের জাতীয় ও মাথাপিছু আয় বাড়ানোর জন্য বেশি সংখ্যক শিল্পকারখানা স্থাপন ও উৎপাদন বৃদ্ধি অপরিহার্য। কেননা শিল্পে উৎপাদন দ্রুত ও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ পর্যন্ত বাড়ানো যায়। ফলে জাতীয় আয়ের পরিমাণ বাড়বে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

Question:জনসংখাকে কীভাবে জনসম্পদে পরিণত করা যায়? 

দক্ষ জনসংখ্যা একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই একটি দেশের অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন ধরনের কর্মমুখী শিক্ষা, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ইত্যাদির সাহায্যে দক্ষতা ও যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ অর্থাৎ মানব সম্পদে রূপান্তরিত করতে পারলে জনসংখ্যা জনসম্পদে পরিণত করা যায়।

Question:কৃষির গুরুত্ব বর্ণনা কর। 

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন মূলত কৃষির উন্নয়নের ওপর নির্ভরশীল। তাই কৃষির উৎপাদন যত বাড়বে ততই জাতীয় ও মাথাপিছু উৎপাদন বাড়বে। এছাড়া খাদ্যের জোগান, শিল্প ক্ষেত্রে কাঁচামাল সরবরাহ কৃষিভিত্তিক স্থাপনে, বস্ত্রের সংস্থান, ঔষধ শিল্প প্রতিষ্ঠা, শিল্পজাত দ্রব্যের বাজার সৃষ্টি এবং সর্বোপরি সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধিতে কৃষির গুরত্ব অনস্বীকার্য।

Question:প্রাবসীরা কীভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূমিকা পালন করে? 

বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পেশায় র্মরত আছে । এসব মানুষের মধ্যে দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন পেশাজীবী যেমন আছে, তেমনি আছে দক্ষ শ্রমিক। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে এবং উপার্জিত মুদ্রার একটি অংশ দেশে পাঠাচ্ছে। প্রবাসীদের প্রেরিত এই অর্থে তাদের পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে। এভাবে প্রবাসিলা অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।

Question:কত সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়? 

১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়।

Question:রাষ্ট্রের অপরিহার্য মৌলিক উপাদান কয়টি? 

রাষ্ট্রের অপরিহার্য মৌলিক উপাদান চারটি।

Question:সরকারকে প্রধানত কয়ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী? 

সরকারকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা : গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্র।

Question:কখন গণপরিষদের পথম অধিবেশন বসে? 

১৯৭২ সালের ১০ই এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে।

Question:বাংলাদেশের সংবিধানে কত বার সংশোধনী হয়েছে এবং সর্বশেষ সংশোধনী কখন হয়েছে? 

বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫ বার সংশোধনী হয়েছে এবং সর্বশেষ সংশোধনী হয়েছে ২০১১ সালের ৩০শে জুন।