Question:উপগ্রহ কী?
Answer
কোনো গ্রহকে আবর্তনকারী বস্তুকে বলা হয় উপগ্রহ।
Question:উপগ্রহ কী?
কোনো গ্রহকে আবর্তনকারী বস্তুকে বলা হয় উপগ্রহ।
Question:ঋতু পরিবর্তনের কারণ কী?
ঋতু পরিবর্তনের কারণ বার্ষিক গতি।
Question:বিজ্ঞানীরা মহাকাশকে দেখতে দূরের জিনিস দেখা যায় এমন যন্ত্র ব্যবহার করেন। এই যন্ত্রের নাম কী? এটি ব্যবহার করে দেখা যায় মহাকাশের এমন ৪টি বস্তুর নাম লিখ।
বিজ্ঞানীরা দূরের জিনিস দেখতে যে যন্ত্র ব্যবহার করেন সেটি হলো দূরবীক্ষণ যন্ত্র। দূরবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা দেখা যায় মহাকাশের এমন ৪টি বস্তুর হলো- ১. উপগ্রহ, ২. নক্ষত্র, ৩. নক্ষত্র, ৪. গ্যালাক্সি।
Question:শিফা ভুগোল বই থেকে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের কথা জানলো। সে কোন উপগ্রহের কথা জানলো? পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব কত? এই উপগ্রহ থেকে পৃথিবীতে আলো পৌছাতে কত সময় লাগে? উপগ্রহটি কিসের আলো প্রতিফলিত করে?
শিফা পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদের কথা জেনেছে। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ৩,৮৪,৪০০ কি.মি। চাঁদ থেকে পৃথিবীতে আলো পৌছাতে ১.৩ সেকেন্ড সময় লাগে। চাঁদ দূর্যের আলো পতিফলিত করে।
Question:সৌরজগতের সবগুলো গ্রহ একটি নক্ষত্রকে ঘিরে ঘুরছে। কোন নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে গ্রহগুলো ঘুরছে? পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব কত? এই নক্ষত্র থেকে পৃথিবীতে আলো পৌছাতে কত সময় লাগে? নক্ষত্রটি থেকে কত মিনিট পূর্বে উৎসারিত আলো আমরা দেখতে পাই?
সৌরজগতের গ্রহগুলো সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব প্রায় ১৫,০০,০০,০০০ কি.মি.। সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো পৌছাতে প্রায় ৮ মিনিট সময় লাগে। আমরা সূর্য থেকে ৮ মিনিট পূর্বে উৎসারিত আলো দেখতে পাই।
Question:বিজ্ঞানী গ্যালিলিও মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করেন। তার এ গবেষণাকে কী বলে? তিনি মহাবিশ্বকে জানতে কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করেন? এই প্রযুক্তি দ্বারা তিনি কী প্রমাণ করেছেন? মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য উক্ত বিজ্ঞানীর কী স্থাপন করতে হবে?
বিজ্ঞানী গ্যালিলির মহাকাশ সম্পর্কিত গবেষণাকে জোতির্বিজ্ঞান বলে। গ্যালিলি মহাবিশ্বকে জানতে দূরবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করেন। দূরবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, পর্যবেক্ষণের জন্য তার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
Question:তুলি ভূ-গোলক থেকে আহ্নিক গতি সম্পর্কে জানতে পারলো। এই গতির ফলে পৃথিবীতে সংঘটিত হওয়া দুটি পরিবর্তন সম্পর্কে লিখ। পৃথিবী নিজ অক্ষে কত ঘন্টায় একবার ঘুরে?
আহ্নিক গতির ফলে সংঘঠিত হওয়া দুটি পরিবর্তন হলো দিন এবং রাত। তুলি ভূ-গোলক থেকে দিন রাত্রির পরিবর্তন সম্পর্কে জানলো। পৃথিবী একদিক সূর্যের দিক মুখ করে থাকে এবং অপর দিক সূর্যের বিপরীতে থাকে। যে দিকটা সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে সেই দিকটায় দিন। এবং যে দিকটা বিপরীতে থাকে সেই দিকটায় রাত হয়। পৃথিবী প্রতি ২৪ ঘন্টায় নিজ অক্ষে একবার ঘুরে।
Question:তোমার দেশে বিভিন্ন ঋতু বিরাজ করে, এক ঋতু পরিবর্তত হয়ে অন্য ঋতু আসে। ফলে সূর্যের অবস্থান কখনো কীভাবে ঘটে? সূর্যের উক্ত অবস্থান যে ঋতুতে বিরাজ করে সে সম্পর্কে লেখ।
ঋতু পরিবর্তন বার্ষিক গতির ফলে হয়। পৃথিবীর নিজস্ব কক্ষপথে ঘূর্নন এবং সূর্যের দিকে হেলে থাকা অক্ষের কারণে ঋতু পরিবর্তন হয়। গ্রীষ্মকালে সূর্য উত্তর গোলার্ধে খাড়াভাবে কিরণ দেয়। ফলে দিনের সময়কাল দীর্ঘ হয় এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। শীতকালে উত্তর গোলার্ধে সূর্য তীর্যকভাবে কিরণ দেয়। ফলে দিনের চেয়ে রাত বড় এবং তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
Question:তন্দ্রা আকাশের চাঁদ দেখে বিস্মিত হয়। কখনো পূর্ণ কখনোবা এক চিলতে চাঁদ দেখে সে। চাঁদের এই অবস্থাকে কী বলে? এই অবস্থা সম্পর্কে দুটি বাক্য লিখ। উপগ্রহটির পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরে আসতে কত সময় লাগে?
তন্দ্রারা দেখা চাঁদের আকৃতির অবস্থাকে চন্দ্র দশা বলে। চন্দ্র দশা সম্পর্কে দুটি বাক্য নিম্নরূপ- ১. যখন চাঁদের সম্পূর্ণ অংশ দেখা যায় তখন একে পুর্ণিমার চাঁদ বলা হয়। ২. যখন চাঁদের আলোকিত অংশ একদম দেখতে না পাই তখন একে আমাবস্যার চাঁদ বলা হয়। পৃথিবীর চারদিকে চাঁদের ঘুরে আসতে প্রায় ২৮দিন লাগে।
Question:গ্যালাক্সি কাকে বলে? সূর্য নক্ষত্রের চারটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
অনেকগুলো নক্ষত্র মিলে যে বিশাল সমাবেশ তৈরি হয় তাকে গ্যালাক্সি বলে। সূর্য নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ: ১. সূর্যের তাপ ও আলো আছে। ২. সূর্যকে কেন্দ্র করেই পৃথিবী গতিশীল। ৩. সূর্য একটি বিশাল গ্যাসপিণ্ড। ৪. সূর্যে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস আছে।