Question:রোধ কাকে বলে?
Answer
সকল পরিবাহী তড়িৎ প্রবাহে কম-বেশি বাধা দেয়। এ বাধাকে পরিবাহীর রোধ বলে।
Question:রোধ কাকে বলে?
সকল পরিবাহী তড়িৎ প্রবাহে কম-বেশি বাধা দেয়। এ বাধাকে পরিবাহীর রোধ বলে।
Question:বৈদ্যুতিক হিটারের নািইক্রোম তার ব্যবহার করা হয় কেন?
বৈদ্যুতিক হিটারে নাইক্রোম তার ব্যবহারের কারণ: যে সকল পদার্থের আপেক্ষিক রোধের মান তুলনামূলকভাব েবেশি তাদের মধ্যে তড়িৎপ্রবাহিত হলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। যেমন- নাইক্রোম। নাইক্রোমের আপেক্ষিক রোধ এবং গলনাঙ্ক তামার তুলনায় অনেক বেশি। উচ্চ আপেক্ষিক রোধের কারণেই নাইক্রোম তারের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। নাইক্রোমের এই ধর্মের কারণেই বৈদ্যুতিক হিটারে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়।
Question:ও’মের সূত্রটি লিখ।
’তাপমাত্রা স্থির থাকলে কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে যে তড়িৎ প্রবাহ চলে তা ঐ পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক।
Question:নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, উপাদান ও প্রস্থচ্ছেদের পরিবাহকের দৈর্ঘ্য 5 গুণ বড় করলে রোধের কী পরিবর্তন হবে ব্যাখ্যা কর।
রোধের দৈর্ঘ্যের সূত্র হলো: নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট উপাদানের পরিবাহীর প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল স্থির থাকলে পরিবাহীর রোধ এর দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক। সুতরাং নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, উপাদান ও প্রস্থচ্ছেদের পরিবাহকের দৈর্ঘ্য 5 গুণ বড় করলে রোধ পূর্বের তুলনায় 5 গুণ হবে।
Question:তড়িৎ আবেশ কী?
একটি আহিত বস্তুকে একটি অনাহিত বস্তুর নিটে রেখে আহিত বস্তুর প্রভাবে অনাহিত বস্তুটিকে ক্ষণস্থায়ীভাবে আহিত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ আবেশ বলে।
Question:মহাকর্ষ বল ও তাড়িতচৌম্বক বলের পার্থক্য লেখ।
মহাকর্ষ বল ও তাড়িতচৌম্বক বলের প্রধান পার্থক্যগুলো হলো- ১. মহাবিশ্বের যেকোনো দুটি বস্তুর মধ্যে ভরজনিত কারণে ক্রিয়াশীল বল হলো মহাকর্ষ বল। কিন্তু তাড়িতচৌম্বক বল হলো দুটি আহিত কণা বা বস্তুর মধ্যে ক্রিয়াশীল বল। ২. মহাকর্ষ বল শুধু আকর্ষণধর্মী কিন্তু তাড়িতচৌম্বক বল আকর্ষণধর্মী বা বিকর্ষণধর্মী যেকোনো প্রকারের হতে পারে। ৩. বস্তুর ভরের কারণে মহাকর্ষ বলের উদ্ভব ঘটে কিন্তু বস্তুর আধানের কারণে তাড়িতচৌম্বক বলের উদ্ভব ঘটে। ৪. মৌলিক বলগুলোর মধ্যে মহাকর্ষ বল সবচেয়ে দুর্বলতম বল, তাড়িত চৌম্বক বল মহাকর্ষ বলের তুলনায় বেশি শক্তিশালী।
Question:রোধ কাকে বলে?
মুক্ত ইলেকট্রন কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে চলার সময় এর অভ্যন্তরের অণু পরমাণুর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ফলে এদের গতি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং তড়িৎ প্রবাহ বিঘ্নিত হয়। পরিবাহীর এই ধর্মকে রোধ বলে।
Question:তাপমাত্রা ধ্রুব না থাকলে ওহমের সূত্র প্রজোয্য হবে কি ব্যাখ্যা কর।
তাপমাত্রা স্থির না থাকলে ওহমের সূত্র প্রযোজ্য হবে না। কারণ তখন তড়িৎপ্রবাহ I এবং বিভব V সমানুপাতিক হয় না। তাপমাত্রা পরিবর্তনের সাথে সাথে রোধের পরিবর্তন হয়। তাই ওহমের সূত্র এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
Question:আধান কী?
পদার্থ সৃষ্টিকারী মৌলিক কণাসমূহের মৌলিক ও বৈশিষ্ট্যমূলক ধর্মই হচ্ছে আধান।
Question:তড়িৎ ক্ষেত্রের নিরপেক্ষ বিন্দু বলতে কী বোঝায়?
সমান বা অসমান মানের দুটি ধনাত্মক বা দুটি ঋণাত্মক আধান পাশাপাশি স্থাপন করলে এদের সৃষ্ট তড়িৎ ক্ষেত্রের বলরেখাগুলো পরস্পর থেকে দূরে সরে যাবে, ফলে দুই আধানের মাঝখানে কোনো একটি অঞ্চলে কোনো বলরেখা থাকে না। এই স্থানে কোনো আধান স্থাপন করলে সেটি কোনো বল লাভ করবে না। এই বিন্দুকে নিরপেক্ষ বিন্দু বলা হয়।