Question:বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কী?
Answer
পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়াকে বলা হয় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন।
Question:বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কী?
পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়াকে বলা হয় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন।
Question:বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারণ কী?
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারণ গ্রিন হাউজ প্রভাব।
Question:বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের একটি উদাহরণ দাও।
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের একটি উদাহরণ হলো ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় হওয়া।
Question:পরিবেশের উপর বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব কী কী?
পরিবেশের উপর বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাগুলো হলো- ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, বন্যা, খরা, টর্নেডো, নদীভাঙ্গন প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
Question:গ্রিন হাউজের ভিতরের পরিবেশ গরম থাকে কেন? ব্যাখ্যা কর।
শীত প্রধান দেশে শাকসবজি চাষের জন্য গ্রিন হাউজ তৈরি করা হয়। কাঁচ বা প্লাস্টিকের ঘর বানিয়ে সেখানে সূর্যের তাপ ধরে রাখা হয়। কাঁচের বা প্লাস্টিকের এ ধরনের ঘরগুলোতে সূর্যের আলো প্রবেশ করে ঘরকে উষ্ণ করে। কিন্তু এই তাপ কাচ বা প্লাস্টিক ভেদ করে বের হতে পারে না। ফলে গ্রিন হাউজ তাড়াতাড়ি গরম হয় এবং তাপ গ্রিন হাউজের ভেতরে থেকে যায়। তাই গ্রিন হাউজের ভেতরের পরিবেশ সবসময় গরম থাকে।
Question:জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমানো এবং এর সাথে খাপ খাওয়ানো কীভাবে সম্পর্কিত
জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমানো ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো বিষয় দুটি পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত। এ দুটি বিষয়ই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার কৌশল। বিজ্ঞানীদের ধারণা অনুযায়ী জলবায়ুর পরিবর্তন বিভিন্ন প্রাকৃতিক সমস্যা ও দুর্যোগকে ভয়াবহ করে তুলবে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ সমূহকে কমিয়ে, যেমন- বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের নির্গমনের পরিমাণ কমিয়ে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমাতে পারি।
Question:জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমানো এবং এর সাথে খাপ খাওয়ানো কীভাবে সম্পর্কিত?
জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমানো ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো বিষয় দুটি পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত। এ দুটি বিষয়ই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার কৌশল। বিজ্ঞানীদের ধারণা অনুযায়ী জলবায়ুর পরিবর্তন বিভিন্ন প্রাকৃতিক সমস্যা ও দুর্যোগকে ভয়াবহ করে তুলবে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ সমূহকে কমিয়ে, যেমন- বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের নির্গমনের পরিমাণ কমিয়ে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমাতে পারি।
Question:কীভাবে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমাতে পারি?
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ হচ্ছে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি। সুতরাং বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের নির্গমনের পরিমাণ কমিয়ে জলবায়ুর পরিবর্তনের হার কমাতে পারি। এজন্য আমরা যা যা করবো সেগুলো হলো- ১. কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার কমাতে হবে। ২. নবায়নযোগ্য শক্তি, যেমন- সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি ইত্যাদির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ৩. বৃক্ষরোপনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। ৪. দৈনন্দিন জীবনে শক্তির ব্যবহার কমাতে হবে।
Question:পৃথিবীর বায়ুমন্ডল গ্রিন হাউজের কাচের মতো কাজ করে কেন?
পৃথিবীর চারিদিকে ঘিরে আছে বায়ুমন্ডল। এই বায়ুমন্ডলে রয়েছে কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, জলীয়বাষ্পসহ অন্যান্য গ্যাস। বায়ুস্থ এই কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন ও জলীয়বাষ্প গ্রিন হাউজের মত কাজ করে। কারণ সূর্যের আলো এসব গ্রঅসের স্তরকে ভেদ করে পৃথিবীকে উষ্ণ করে। কিন্তু উত্তপ্ত পৃথিবী থেকে তাপ বিকিরিত হয়ে চলে যাবার সময় এ গ্যাসগুলো বাধা দেয়। ফলে পৃথিবী রাতের বেলাতেও গরম থাকে। এভাবেই পৃথিবীর বায়ুমন্ডল গ্রিন হাউজের কাচের মতো কাজ করে।
Question:জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো বা অভিযোজন কী ব্যাখ্যা কর।
পরিবর্তত জলবায়ুতে বেঁচে থাকার জন্য গৃহীত কর্মসূচিই হলো জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো বা অভিযোজন। অভিযোজনের উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি কমানো ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এসব ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে- ১. ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, কলকারখানা ইত্যাদি অবকাঠামোর উন্নয়ন। ২. বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ। ৩. উপকূলীয় বন সৃষ্টি করা। ৪. লবণাক্ত পরিবেশে বাঁচতে পারে এমন ফসল উদ্ভাবন। ৫. জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কিত ধারণা সকলকে জানানো ইত্যাদি।