Question:উদ্ভিদ কিসের জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল?
Answer
উদ্ভিদ তার খাদ্য তৈরি, বৃদ্ধি, পরাগায়ণ ও বীজের বিস্তরণের জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল।
Question:উদ্ভিদ কিসের জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল?
উদ্ভিদ তার খাদ্য তৈরি, বৃদ্ধি, পরাগায়ণ ও বীজের বিস্তরণের জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল।
Question:খাদ্যজাল ও খাদ্যশৃঙ্খলের মধ্যে পার্থক্য কী?
খাদ্যজাল ও খাদ্যশৃঙ্খলের মধ্যে পার্থক্য হলো- খাদ্যজাল একটি পরিবেশে বিদ্যমান বিভিন্ন খাদ্যশৃঙ্খলের মধ্যে সম্পর্ক প্রকাশ করে। অপরদিকে খাদ্যশৃঙ্খল একটি পরিবেশের উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে শক্তি প্রবাহের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া প্রকাশ করে।
Question:মানুষ নির্ভর করে এমন তিনটি জড় বস্তুর উদাহরণ দাও।
মানুষ নির্ভর করে এমন তিনটি জড়বস্তু হলো- ১. মাটি, ২. পানি, ও ৩. বায়ু।
Question:পরাগায়ন কী?
নিষেকের উদ্দেশ্যে দুটি ফুলের পরাগ সংযোগকে পরাগায়ন বলে।
Question:খাদ্যশৃঙ্খলে কীভাবে সাপ এবং ঈগল একই রকম তা ব্যাখ্য কর।
আমরা জানি যে, সূর্যশক্তি খাদ্যের মাধ্যমে একজীব হতে অপর জীবে স্থানান্তরের ফলে যে শৃঙ্খল গঠিত হয় তাই খাদ্য শৃঙ্খল। এখানে সাপ ও ঈগল খাদ্য শৃঙ্খলের অন্যান্য নিচু শক্তির প্রাণীকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। যেমন: ঈগল ব্যাঙ, ইঁদুর, কাঠবিড়ালি ও অন্যান্য প্রাণী খেয়ে থাকে। অনুরূপভাবে সাপও ব্যাঙ, ইদুর, কাঠবিড়ালি ও অন্যান্য প্রাণীকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। তাই একটি খাদ্যশৃঙ্খলে সাপ এবং ঈগল একই রকম।
Question:নিচের প্রশ্নগুলো নিয়ে গঠিত খাদ্য শৃঙ্খলের সঠিক ক্রম ব্যাখ্যা কর। ঈগল, সূর্য, ঘাস, পোকামাকড়, সাপ, ব্যাঙ।
ঈগল, সূর্য, ঘাস, পোকামাকড়, সাপ, ব্যাঙ নিয়ে গঠিত খাদ্য শৃঙ্খলের সঠিক ক্রমটি হলো- সূর্য `=>` ঘাস `=>` পোকামাকড় `=>` ব্যাঙ `=>` সাপ `=>` ঈগল। ব্যাখ্যা : সূর্য হলো সকল শক্তির উৎস। সূর্যের আলো ব্যবহার করে ঘাস সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করে। অর্থাৎ সৌরশক্তি ব্যবহার করে ঘাস বেঁচে থাকে। এই ঘাসকে পোকামাকড় খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। আবার, ব্যাঙ পোকামাকড়কে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। একই ভাবে সাপ ব্যাঙ খায় এবং ঈগল সাপ খায়। এভাবেই সৌর শক্তি থেকে শক্তির প্রবাহ ঈগল পর্যন্ত প্রবাহিত হয়।
Question:বায়ুর উপর জীব কীভাবে নির্ভরশীল তা ব্যাখ্যা কর।
বায়ুর উপর জীব নির্ভরশীল কেননা বায়ুতে বিদ্যামান কার্বন ডাই অক্সাইড ও অক্সিজেন গ্যাস উদ্ভিদ এবং প্রাণীর জীবন ধারণের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরির জন্য বায়ুতে বিদ্যমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করে এবং বায়ুতে অক্সিজেন গ্যাস ত্যাগ করে। আবার মানুষসহ সকল প্রাণীর শ্বাসকার্যের জন্য বায়ুতে বিদ্যামান এই অক্সিজেন গ্যাস ব্যবহার করে এবং বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস ত্যাগ করে। সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে, বায়ু ছাড়া কোনো উদ্ভিদ ও প্রাণী বাঁচতে পারে না। তাই বলা যায় জীব তার জীবন ধারণের জন্য বায়ুর উপর নির্ভরশীল।
Question:উদ্ভিদের জন্য বীজের বিস্তরণ কেন গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর।
মাতৃ উদ্ভিদ থেকে বিভিন্ন স্থানের বীজের ছড়িয়ে পড়াই হলো বীজের বিস্তরণ। উদ্ভিদের জন্য বীজের বিস্তরণ অতিগুরুত্বপূর্ণ। কেননা, বীজের বিস্তরণ সঠিকভাবে না হলে উদ্ভিদের নতুন নতুন আবাস গড়ে তোলা সম্ভব হয় না। ফলে মানুষ সহ অন্যান্য প্রাণীর খাদ্যের অভাব দেখা দেবে এবং বিভিন্ন পশু পাখির আশ্রয়স্থল ধ্বংস হবে। এই খাদ্য ও আশ্রয়স্থলের অভাবে অনেক প্রাণীর বিলুপ্ত ঘটবে। এর ফলে জীব বৈচিত্র্যে ভারসাম্য নষ্ট হবে। এছাড়া বীজের বিস্তরণ না হলে একই স্থানে সমজাতীয় অনেক উদ্ভিদ জন্মাতো ফলে অন্যান্য উদ্ভিদের পুষ্টি ব্যহত হতো। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে, উদ্ভিদের জীবনচক্র সঠিকভাবে চালনার জন্য বীজের বিস্তরণ অতিগুরুত্বপূর্ণ।
Question:তোমার টেবিলের উপরে রাখা গাছটি মারা যাচ্ছে। তোমার বন্ধুরা গাছটিকে জানালার পাশে নিয়ে রাখার পরামর্শ দিল। কেন?
আমরা টেবিলের উপরে রাখা গাছটি মরে যাওয়ায় আমার বন্ধুরা আমাকে গাছটি জানালার পাশে রাখার পরামর্শ দিল। এর প্রয়োজনীয় সূর্যের আলো পায় না। তাই গাছটি সূর্যের আলোর প্রয়োজনীয় খাদ্য তৈরি করতে পারে না। এই খাদ্যের অভাবে গাছটি মারা যাচ্ছিল। এমতাবস্থায় গাছটিকে জানালার পাশে আনলে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পাবে। এই সূর্যের আলো ব্যবহার করে সে নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করতে পারবে। ফলে গাছটির বৃদ্ধি স্বাভাবিক হবে এবং গাছটি সতেজ থাকবে।
Question:পরিবেশের উপর জীবের নির্ভরশীলতা দুটি উদাহরণ লেখ।
পরিবেশের উপর জীবের নির্ভরশীলতার দুটি উদাহরণ হলো- ১. বায়ু ও পানি ছাড়া উদ্ভিদ বা প্রাণী কেউই বাঁচতে পারে না। ২. উদ্ভিদের উপর খাদ্যের জন্য প্রাণীরা নির্ভরশীল।