Question:কত সালে ভারত শাসন আইন পাস হয়?
Answer
১৮৫৮ সালে ভারত শাসন আইন পাস হয়।
Question:কত সালে ভারত শাসন আইন পাস হয়?
১৮৫৮ সালে ভারত শাসন আইন পাস হয়।
Question:কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে?
১৮৫৭ সালে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
Question:ভারতীয় উপমহাদেশের কীভাবে ইউরোপীয় শক্তির বিকাশ লাভ করেছিল?
চতুর্দশ শতাব্দী থেকে ইউরোপে যুগান্তকারী বাণিজ্য-বিপ্লবের সূচনা হয়। ১৪৯৯ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা দক্ষিণ ভারতের কালিকট বন্দরে পৌছে ভারতবর্ষকে বিশ্ববাণিজ্য বিস্তারের প্রতিযোগিতার মধ্যে নিয়ে আসে। দক্ষ নাবিক আল কুকার্ক ভারত মহাসাগরের কর্তৃত্ব অধিকার করে পুরো ভারতের বহির্বাণিজ্য করায়ত্ত করে নেন। আর এভাবেই ভারতীয় উপমহাদেশে ইউরোপীয় শক্তির বিকাশ লাভ করেছিল।
Question:ইংরেজ শাসকদের প্রধান কাগুলো উল্লেখ কর।
ইংরেজ শাসকদের প্রধান কাগুলো হলো : ১। ১৭৮৬ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গৃহীত ভারত শাসন আইনে বাংলায় ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেলের হাতে ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা অর্পন করা হয়। ২। ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করে। ব্রিটিশদের অনুগত জমিদার শ্রেণি তৈরি করা হয়। ৩। রাষ।ট্র ও প্রশাসন পরিচালনায় ইংরেজ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা হয়। ৪। মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তর, শিক্ষা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর করে এটিকে গুরুত্বপূর্ণ নগরীতে পরিণত করা হয়। পরে আনু্ষ্ঠানিকভাবে কলকাতাই হয় বাংলার রাজধানী।
Question:বঙ্গভঙ্গের রাজনৈতিক কারণ বর্ণনা কর।
লর্ড কার্জন বাংলার রাজনৈতিক সচেতনতার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ছিলেন। তিনি দেখতে পেলেন বাঙালি মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবীরা ধীরে ধীরে জাতীয়তাবাদ ও রাজনীতি সচেতন হয়ে উঠছে। কলকাতাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস পুরো ভারতে আন্দোলন করছে। তাই তিনি বিভেদ ও শাসননীতি প্রয়োগ করে বাংলাকে দুই ভাগ করতে চাইলেন। কেননা বাংলাকে ভাগ করা হলে বাঙালি জতি দুর্বল হয়ে পড়বে এবং কলকাতা থেকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্র সরে দাঁড়াবে। অপরদিকে, বাংলা ছিল হিন্দু-মুসলিম ঐক্যবদ্ধ এক বিরাট শক্তি, যা ব্রিটিশ রাজত্বের পক্ষে মোটেও নিরাপদ নয়।
Question:স্বদেশি আন্দোলন কী?
বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে যে আন্দোলন গড়ে ওঠে তাকে সাধারণত স্বদেশি আন্দোলন বলা হয়। এ আন্দোলন চারটি পর্যায়ে বিভক্ত ছিল। যথা- ১। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সভা-সমিতিতে বক্তৃতাদান ও প্রস্তান গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিবাদ জ্ঞাপন। ২। আত্মশক্তি গঠন, জাতীয় শিক্ষা আন্দোলন। ৩। বিলাতি পণ্য বর্জন এবং স্বদেশি পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার। ৪। বিপ্লব বা সন্ত্রসের পথ গ্রহণ।