Question:বৈদ্যুতিক বাল্বে তামার পরিবর্তে টাংস্টেন ব্যবহার করা হয় কেন? 

তামার তুলনায় টাংস্টেনের রোধকত্ব এবং গ”লনাঙ্ক উচ্চ। এ কারণে টাংস্টেন বৈদ্যুতিক শক্তিকে খুব সহজে আলোকশক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারে। তাই বৈদ্যুতিক বাল্বে তামার পরিবর্তে টাংস্টেন ব্যভহার করা হয়।

Question:পরিবাহীর উপাদানের পরিবাহকত্বের একক ক? 

পিরিবাহীর উপাদানের পরিবাহকত্বের একক `(Omega)^(-1)`।

Question:টাংস্টেন-এর আপেক্ষিক রোধ `5.5xx10^(-8)Omegam` বলতে কী বোঝ? 

কোনো পদার্থের তৈরি একক দৈর্ঘ্যের এবং একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের কোনো খন্ডের রোধকে এর আপেক্ষিক রোধ বলে। টাংস্টের এর আপেক্ষিক রোধ `5.5xx10^(-8)Omega`।

Question:রোধক কী? 

নির্দিষ্ট মানের রোধবিশিষ্ট যে পরিবাহী তার কোনো বর্তনীতে ব্যভহার করা হয় তাকে রোধক বলে।

Question:তাপমাত্রা বাড়ালে রূপার পরিবাহিতা হ্রাস না বৃদ্ধি পায় ও কেন? 

রূপা একটি পরিবাহী, অর্ধপরিবাহী বা অন্তরক নয়।
সুতরাং তাপমাত্রা বাড়ালে এর তড়িৎ পরিবাহিতা হ্রাস পায়। প্রকৃতপক্ষে বিভব প্রয়োগ করার ফলে পরিবাহীর প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যখন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলেকট্রন এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্তে গমন করে, তখনই তড়িৎপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। উচ্চতর তাপমাত্রায় বস্তুর অণুগুলো অধিক বিস্তার সহকারে দ্রুতগতিতে কাঁপতে থাকে, তাই এই কম্পনের দরুন মুক্ত ইলেকট্রনগুলো প্রস্থচ্ছেদ দিয়ে অতিক্রমণের সময় অধিক বাধার সম্মুখীন হয়। তাপমাত্রা যত বৃদ্ধি করা হয়, অণুগুলোর কম্পন তত বেড়ে যায় এবং তড়িৎ পরিবাহিতা তত হ্রাস পায়।

Question:কোন সংযোগের ফলে প্রত্যেকটি উপকরণ একই ভোল্টেজ সরবরাহ পায়? 

সমান্তরাল সংযোগের ফলে প্রত্যেকটি উপকরণ একই ভোল্টেজ সরবরাহ পায়।

Question:পরিবাহকত্ব বলতে কী বোঝায়? 

আপেক্ষিক রোধের বিপরীত রাশিকে পরিবাহকত্ব বলে পরিবাহকত্বকে `sigma` অক্ষর দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর মান পরিবাহীর উপাদান ও তাপমাত্রার ওপর নির্ভরশীল।

Question:সমান্তরাল সংযোগ কাকে বলে? 

যে বর্তনীতে তড়িৎ উপকরণগুলো এমনভাবে সাজানো থাকে যে প্রত্যেকটির এক প্রান্তগুলো একটি সাধারণ বিন্দুতে এবং অপর প্রান্তগুলো অন্য একটি সাধারণ বিন্দুতে সংযুক্ত থাকে তাকে সমান্তরাল সংযোগ বলে।

Question:পরিবাহির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের পরিবর্তন হলে কেন রোধের পরিবর্তন ঘটে? 

পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ বিঘ্নিত হয় তাকে ঐ পরিবাহীর রোধ বলে।
প্রকৃতপক্ষে পরিবাহীর দুপ্রান্তে বিভবপার্থক্য প্রয়োগ করার ফলে এর মধ্যকার মুক্ত ইলেকট্রনসমূহ যখন ঝাঁকে ঝাঁকে এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্তে যায়, তখনই তড়িৎপ্রবাহের উদ্ভব হয়। পরিবাহীর দৈর্ঘ্য বেশি হলে মুক্ত ইলেকট্রনসমূহ এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্তে যেতে বেশি বাধার সম্মুখীন হয়। অপরপক্ষে প্রস্থচ্ছেদ ক্ষেত্রফল বেশি হলে ইলেকট্রনসমূহের যাতায়াত সহজতর হয়। তাই পরিবাহকের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল পরিবর্তন করলে এর রোধ পরিবর্তিত হয়।

Question:পরিবাহী কাকে বলে? 

যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে খুব সহজেই তড়িৎ প্রবাহ চলতে পারে তাদেরকে পরিবাহী বলে।