জীবন বাঁচাতে পদার্থবিজ্ঞান
  1. Question:কোন কোন ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়? 

    Answer
    চিকিৎসাক্ষেত্রে পরমাণু চিকিৎসায় তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া কৃষিক্ষেত্রে, খাদ্য সংরক্ষণে, কীটপতঙ্গ দগমনে এবং শিল্প ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।

    1. Report
  2. Question:ইটিটি কী? 

    Answer
    ইটিটি হলো হৃৎযন্ত্রের পরীক্ষা যার মাধ্যমে রোগীর ব্যায়াম বা অনুশীলন চলাকালীন হৃৎপিন্ডের বৈদ্যুতিক সক্রিয়তা বা কার্যকলাপ রেকর্ড করে।

    1. Report
  3. Question:এক্সরে ব্যবহারে সতর্কতা ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    এক্সরের অপ্রয়োজনীয় বিকিরণসম্পাত যাতে রোগীর ক্ষতি করতে না পারে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এজন্য এক্সরে নেওয়ার সময় রোগীকে সীসা নির্মিত এপ্রোটন দ্বারা যথাসম্ভব আচ্ছাদিত করতে হবে। অতি জরুরী না হলে গর্ভবতী মহিলাদের উদর এবং পেলভিক অঞ্চলের এক্সরে করা উচিত নয়। অন্য কোনো এক্সরে পরীক্ষা প্রয়োজন হলে সীসা নির্মিত এপ্রোন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।

    1. Report
  4. Question:ভৌতজগৎ ও জীবজগৎ কী সম্পূর্ণ ভিন্ন নিয়মে চলে? 

    Answer
    ভৌতজগৎ ও জীবজগৎ মোটেই ভিন্ন নিয়মে চলে না। বরং জীবজগৎ এবং ভৌতজগৎ তথা পদার্থবিজ্ঞানের সকল নিয়ম মেনে চলে। আমরা জানি জীবদেহকে অনেক দিক থেকে যন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করা যায় এবং জীবদেহের অনেক আচরণকে ভৌত নিয়ম দ্বারা ব্যাখ্যা করা সম্ভব। বস্তুত পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলো সার্বজনীন। ফলে শুধু জড়জগত নয়, জীবজগতকেও পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মে অনেক ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা করা সম্ভব।

    1. Report
  5. Question:জীবপদার্থবিজ্ঞানের সূচনা কীভাবে হলো? 

    Answer
    প্রাণিদেহকে অনেক দিক থেকে যন্ত্রের সঙ্গে তূলনা করা যায় এবং প্রাণিদেহের অনেক আচরণকে ভৈৗত নিয়ম দ্বারা ব্যাখ্যা করা সম্ভব। বস্তুত পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলো সার্বজনীন। ফলে শুধু জড়জগত নয়, প্রাণিজগতকেও পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মে অনেক ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। এই ধারণা হতেই জীবপদার্থবিজ্ঞানের সূচনা হয়েছে।

    1. Report
  6. Question:পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলো কেন জীবজগতের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়? 

    Answer
    প্রতিটি জীবদেহ একাধিক ভৌত উপাদানের সংমিশ্রণে তৈরি। ফলে শুধু জড়জগত নয়, প্রাণিজগতকেও পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মে অনেক ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। বস্তুত পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলো সার্বজনীন বলেই এগুলো জীবজগতের ক্ষেত্রেও প্রযোগ করা যায়।

    1. Report
  7. Question:পদার্থবিজ্ঞানে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান বর্ণনা কর। 

    Answer
    গবেষণাগারে জগদীশচন্দ্র বসু কীভাবে দূরবর্তী স্থানে তারের সাাহয্য ছাড়া কোনো রেডিও সংকেতকে পাঠানো যায় এ বিষয়ে বিস্তর গবেষণা করেন এবং সফল হন। ১৮৯৫ সালে তিনি ইতিহাসে প্রথম বারের মতো দূরবর্তী স্থানে বিনা তারে রেডিও সংকেত প্রেরণ করে জনসমক্ষে দেখান। মািইক্রোওয়েভ গবেষণার ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। তিনিই প্রথম উৎপন্ন তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে মিলিমিটার পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন। তিনিই প্রথম রেডিও সংকেতকে সনাক্ত করার কাজে অর্ধপরিবাহি জংশনের ব্যবহার করেন। এই আবিষ্কার থেকে ব্যবসায়িক সুবিধা নেওয়ার পরিবর্তে তিনি তাঁর আবিষ্কারকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেন, যেন অন্যরা এই গবেষণাকে আরো সমৃদ্ধ করার সুযোগ পায়।

    1. Report
  8. Question:জীবপদার্থবিজ্ঞানে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান কী? 

    Answer
    জীবপদার্থবিজ্ঞানে জগদীশচন্দ্র বসুর উল্লেখযোগ্য অবদান হলো, উদ্ভিদ কীভাবে উদ্দীপকের প্রতি সাড়া দেয়, এর পরিবহনের প্রকৃতি নিয়ে। আগে ধারণা করা হতো বিভিন্ন উদ্দীপনায় উদ্ভিদের সাড়া দেওয়ার প্রকৃতি রাসায়নিক, কিন্তু তিনি দেখাতে সমর্থ হলেন যে এর প্রকৃতি বৈদ্যুতিক।

    1. Report
  9. Question:মানবদেহ কখনো কখনো যন্ত্রের মতো আচরণ করে ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    যন্ত্রের মতো মানবদেহও অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ বা অঙ্গ নিয়ে গঠিত; যার একটির অভাবে বা বিকল হয়ে যাওয়ায় সম্পূর্ণ দেহের কর্মকান্ড বিঘ্নিত হয়। যন্ত্রের প্রত্যেকটি অংশ যেমনিভাবে বিশেষ কাজ সম্পন্ন করে, তেমনিভঅবে মানবদেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ আলাদা আলাদা কাজে নিয়োজিত। মানবদেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ একে অন্যের সাথে আন্তসম্পর্কিত। প্রত্যেকটি অঙ্গ নিজস্ব গতিতে চলে, কিন্তু সবগুলোর কাজই সুনির্দিষ্ট এবং এদের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণেই মানবদেহ কখনো কখনো যন্ত্রের মতো আচরণ করে বলে ধরে নেওয়া হয়।

    1. Report
  10. Question:মিানবদেহ িএকটি জৈব যন্ত্র- এর সপক্ষে যুক্তি দাও। 

    Answer
    মানবদেহ একটি জৈবযন্ত্র স্বরূপ। যন্ত্র দ্বারা কাজ করার জন্য শক্তির প্রয়োজন। বিভিন্ন ইঞ্জিনে আমরা পেট্রোল, ডিজেল, সিিএন.জি. ইত্যাদি জ্বালানি ব্যবহার করে রাসায়নিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করি। ঠিক তেমনিভাবে, খাদ্য গ্রহণ ও শ্বসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানবদেহও রাসায়নিক শক্তিকে তাপশক্তি ও যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। সুতরাং মানবদেহ আসলে একটি জৈবিক যন্ত্র।

    1. Report
Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd