বিজ্ঞান - পঞ্চম শ্রেণি
  1. Question:ব্যবসায়ীরা কেন খাদ্যে ক্যালসিয়াম কার্বাইড মেশান, তা একটি বাক্যে লেখ। নিয়মিত রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত খাবার খেলে যে সমস্ত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তার মধ্যে দুটির নাম লেখ। কাউকে খাদ্যে ভেজাল ও রাসায়নিক দ্রব্য মেশাতে নিরুৎসাহিত করতে তাকে যে পরামর্শ দেবে তার দুটি ব্যাখ্যা লেখ। 

    Answer
    ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন প্রকার ফল সময়ের আগেই পাকানোর জন্য ক্যালসিয়াম মেশান।
    নিয়ীমত রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত খাদ্য খেলে যে সমস্ত রোগ হতে পারে তার মধ্যে দুটি হলো-
    ১. লিভার ও কিডনি অকার্যকর হওয়া।
    ২. অ্যাজমা হওয়া।
    খাদ্যে ভেজার ও রসায়নিক দ্রব্য মেশাতে নিরুৎসহিত করতে আমি যে পরামর্শ দুটি দেবো তা হলো-
    ১. ভেজাল ও রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো খাবারে ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে বলবো।
    ২. এইসব কাজ যে আইনত দণ্ডনীয়, সে সম্পর্কে অবহিত করবো।

    1. Report
  2. Question:সুমনা ৬ বছরের শিশু, তার বাবা অধিক পরিশম করে। কর্মক্ষম থাকার জন্য সুমনার বাবার কী প্রয়োজন? কী অনুযায়ী তার খাদ্য গ্রহণ করতে হবে? উক্ত খাদ্যটির প্রয়োজনীয়তা তিনটি বাক্যে লেখ। 

    Answer
    কর্মক্ষম থাকার জন্য সুমনার বাবার সঠিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। সুমনার বাবাকে বয়স ও কাজের ধরণ অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে  সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
    সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা হলো-
    ১. শরীর সুস্থ সবল রাখার জন্য সুষম খাদ্যের প্রয়োজন।
    ২. কর্মক্ষম থাকার জন্য সুষম খাদ্যের প্রয়োজন।
    ৩. সুষম খাদ্য না খেলে দেহের গঠন, বৃদিধ সাধন, ক্ষয়পূরণ, শক্তি উৎপাদন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে।

    1. Report
  3. Question:এগার বছরের ছেলে জনি প্রতিদিন সুষম খাদ্য গ্রহণ করে। তার খাদ্যে কয়টি উপাদান রয়েছে? উপাদানগুলোর নাম লেখ। জনির প্রতিদিন কত মিলি দুধ খাওয়া প্রয়োজন? 

    Answer
    জনির গ্রহণ করা খাদ্যে ৬টি উপাদান রয়েছে। উপাদানগুলো হলো- ১. শর্করা, ২. ভিটামিন, ৩. আমিষ, ৪. স্নেহ, ৫. খনিজ লবণ ও ৬. পানি।
    জনির প্রতিদিন ২৫০ মিলি গ্রাম দুধ খাওয়া প্রয়োজন।

    1. Report
  4. Question:সীমাদের বাড়িরচাল,ডাল, আটা পুরো বছরেরটা একসাথে ক্রয় করা হয়। মাছ, মাংস, সবজি থাকে সপ্তাহিক ক্রয়ো তালিকায়। বাৎসরিক ক্রয়কৃত খাবার গুলো তারা কীভাবে সংরক্ষণ করে। এ খাবার সংরক্ষণের পদ্ধতির নাম কী? সাপ্তাহিক খাবারগুলো বাড়িতে ও বাজারে কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়? 

    Answer
    সীমারা বাড়ির চাল, ডাল, আটা ইত্যাদি খাবার রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করে। তাদের খাবার সংরক্ষণের পদ্ধতির নাম হলো বিজ্ঞানিক পদ্ধতি।
    মাছ, মাংস, সবজি ইত্যাদি খাবারগুলো বাড়িতে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করে। এছাড়াও হিমাগারে এগেো সংরক্ষণ করে বছরের বিভিন্ন সময় বাজারে সরবরাহ করা হয়।

    1. Report
  5. Question:শোভন আচার খেতে খুব পছন্দ করে। তার মা এই খাবার কোন পাত্রে রাখে? অনেক দিন সংরক্ষণের জন্য এই খাবারে ব্যবহার করা ৩টি উপাদানের নাম লেখ। এভাবে তিনি কেন খাদ্য সংরক্ষণ করেন? 

    Answer
    শোভনের পছন্দ করা আচার তার মা বায়ুরোধী  পাত্রে রাখেন।
    অনেকদিন সংরক্ষণের জন্য তিনি আচারে সিরকা, চিনি ও তেল ব্যবহার করেন।
    দ্রুত পচন থেকে রক্ষা করতে এভাবে তিনি খাদ্য সংরক্ষণ করেন।

    1. Report
  6. Question:বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্য সংরক্ষণের উপায় পাঁচটি বাক্যে লেখ। 

    Answer
    বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্য সংরক্ষণের বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যেমন-
    ১. খাদ্যের বৈশিষ্ট্য বা গুণাগুণ ঠিক রেখে খাদ্য দ্রব্যকে উচ্চতাপে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয।
    ২. উচ্চতাপে জীবাণু ধ্বংস করে বদ্ধ পাত্রে মাছ, মাংস, সবজি, ফল ইত্যাদি এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
    ৩. বরফ জমানো ঠাণ্ডায় চিংড়ি মাছ, মাংস, মটরশুঁটি, গাজর, টমেটো, ঢেঁড়স ইত্যাদি পাঁচ-ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
    ৪. হিমাগারে দীর্ঘ সময়ের জন্য আলু, পিঁয়াজ, গাজর ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হয়।
    ৫. লকা, চিনি, সিরকা ও তেলের মধ্যে পচনকারী জীবাণু জমাতে পারে না বলে এসবের মধ্যে খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়।

    1. Report
  7. Question:সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা ৫টি বাক্যে লেখ। 

    Answer
    সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ-
    ১. কর্মক্ষম থাকার জন্য আমাদের সঠিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন যা আমরা সুষম খাদ্য থেকে পেয়ে থাকি।
    ২. প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ না করলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ও সহজেই রোগে আক্রান্ত হয়।
    ৩. সুষম খাদ্যের অভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।
    ৪. অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ব্যাহত হয়।
    ৫. অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে ওজনজনিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে আমাদের বয়স ও কাজের ধরণ অনুযায়ী সুষম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।

    1. Report
  8. Question:বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্য সংরক্ষণের ৫টি উপায় লেখ। 

    Answer
    বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্য সংরক্ষণের ৫টি উপায় হলো-
    ১. চাল, গম, ডাল ইত্যাদি রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়।
    ২. হিমাগারে বা ফ্রিজের ঠাণ্ডায় মাছ, মাংস, শাকসবজি ইত্যাদি বেশ কিছুদিন ভালো থাকে।
    ৩. ফল থেকে তৈরি জ্যাম, জেলি, আচার ইত্যাদি বায়ু রোধী পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়।
    ৪. লবন বা বরফ দিয়ে মাছ সংরক্ষণ করা যায়।
    ৫. চিনি, সিরকা বা তেল দিয়ে জলপাই, বরই, আম ইত্যাদি অনেকদিন সংরক্ষণ করা সম্ভব।

    1. Report
  9. Question:খাদ্যসংরক্ষণের গুরুত্ব ৫টি বাক্যে লেখ। 

    Answer
    খাদ্য সংরক্ষণ অপচয় রোধ করতে ও দ্রুত পচন থেকে খাদ্যকে রক্ষা করে। মাছ, মাংস সবজি, ফল, দুগ্ধজাত খাদ্য ইত্যাদি খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পচে নষ্ট হয়ে যায়। খাদ্য সংরক্ষণ খাবারে পচন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয়। খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন মৌসুমি খাদ্য সারাবছর পাওয়া যায়। এছাড়া খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যম অনেক দূরবর্তী এলাকায় সহজে খাবার সরবরাহ কা যায়।

    1. Report
  10. Question:জাঙ্কফুড কী? 

    Answer
    জাঙ্কফুড হচ্ছে এক ধরণের কৃত্রিম খাদ্য, যাতে চর্বি, লবণ, কার্বনেট ইত্যাদি ক্ষতিকারক দব্য বেশি পরিমাণে থাকে।

    1. Report
Copyright © 2025. Powered by Intellect Software Ltd