Home  • Online Tips • Health

রোগ নিরাময় ও প্রতিরোধে প্রকৃতি!

1551 রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে প্রকৃতির গন্ধের পাশাপাশি দূর থেকে প্রকৃতি দর্শনও সাহায্য করে। কারণ মানুষের স্বভাব-চরিত্র, জ্ঞান-বুদ্ধি বিকশিত হওয়া নির্ভর করে প্রকৃতির ওপর। শুধু তা-ই নয়, প্রকৃতি মানবদেহে তৈরি করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও। যদি কোন শিশু প্রকৃতিঘেরা পরিবেশে বেড়ে ওঠে, তাহলে এটি তার স্বভাবকে প্রসন্ন ও দেহ-মনকে বলিষ্ঠ ও স্বাস্থ্যবান করে। তাদের স্বভাব হয় শান্ত। তৈরি হয় বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা। তারা হয়ে ওঠে বন্ধুত্বপরায়ণ, আত্মবিশ্বাসী ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। অনেক আরামপূর্ণ জীবন-যাপন করে; বাইরের প্রকৃতির সান্নিধ্য খুব কম পায়, তাদের মেজাজ হয় উগ্র ধরনের। স্বভাব ও স্বাস্থ্যে থাকে অসুখী ভাব। রোগ নিরাময়ে জাপান ও জার্মানিতে রয়েছে জনপ্রিয় প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি। এটাকে বলা হয় ‘ন্যাচারাল থেরাপি’। জাপানে স্থানীয় ভাষায় এ চিকিৎসা পদ্ধতিকে বলা হয় ‘শিনরিং-ইয়োকু’। এ পদ্ধতিকে ‘ফরেস্ট বাথিং’ও বলা হয়। এ ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীকে অনেকটা সময় ধরে হাঁটতে হয় বনের ভেতর। কিছুক্ষণ দীর্ঘ নিঃশ্বাসে টেনে নিতে হয় গাছপালার গন্ধ আর শরীরে লাগাতে হয় অরণ্যের পর্যাপ্ত আবহাওয়া। জার্মানিতে এ চিকিত্সা পদ্ধতিকে বলা হয় ‘ক্যানিপ থেরাপি’। এটিও শিনরিং-ইয়োকু পদ্ধতির মতো রোগীকে বনের পরিষ্কার ও সতেজ আবহাওয়ায় প্রতিদিন কিছুক্ষণ শারীরিক ব্যায়াম করানো হয়। শুধু রোগী নয়, যেকোনো মানুষ যদি নিয়মিত প্রাকৃতিক পরিবেশে এ ধরনের চর্চা করে, তাহলে তাদের রোগ দ্রুত নিরাময় হবে। শরীর ও মনে অনুভূত হবে সুখী ভাব। এ ধরনের চিকিত্সা পদ্ধতিতে রোগ নিরাময়ের পাশাপাশি হ্রাস পায় উচ্চরক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা।

Comments 0


Share

Copyright © 2024. Powered by Intellect Software Ltd