সবাইকে পবিত্র মাহে রমজান এর শুভেচ্ছা
───── █────
─────██─────
────████───────
───██████─────────────────
────████──────────────────────
────████────────────────────────
───██████──────Ramadan Mubarak ────
───██████─────────2014──────────
────████───────────────────────
────████──────────────────────
────████─────────────█────
────████─────────────█─────
────████────────────███───────
────████─────────█████████───────
───██████──────██████████████─────
───██████────██████████████████────
───██████──█████████████████████───
───██████─███████████████████████──
───██████─███████████████████████──
───██████──█████████████████████───
───██████──█████████████████████───
───████████████████████████████████
───██████████████████████████████████
░▒ Courtesy of ▒░
মাহে রমজানের একটি বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে সালাতুত্ তারাবীহ। রাহাতুন শব্দ থেকে তারাবীহ শব্দটি এসেছে যার অর্থ বিশ্রাম করা
, আরাম করা, তারাবীহ’র নামাজ হলো সুন্নাতে মোয়াক্কাদা। মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনুল করীমে ঘোষণা করেন যে, হে বস্ত্রাবৃত রাত্রিতে দ-ায়মান হোন, কিছু অংশ ছাড়া অর্ধ রাত্রি অথবা তদপেক্ষা কিছু কম অথচ তদপেক্ষা বেশি এবং কুরআন আবৃত্তি করুন ধীরে ধীরে ও সুস্পষ্টভাবে (সূরা মুজ্জাম্মিল, আয়াত নং ১-৪)। বলা যায়, এটি রমজান মাসের রোজার আধ্যাত্মিক অলংকার ও সৌন্দর্য। রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর পরই শুরু হয় এ নামাজ। মুসল্লিদের ঢল নামে মসজিদে মসজিদে। যারা অবহেলায় এতদিন ঠিকমতো নামাজ আদায় করেননি তারাও সারিবদ্ধ হন নামাজের কাতারে। এশার নামাজে উপচেপড়া ভিড় হয় প্রত্যেকটি মসজিদে। দু’ রাকাআত করে দীর্ঘ বিশ রাকাআত নামাজ আদায় করতে হয়। দু’-রাকাআতে এক নিয়ত এবং চার রাকাআত পর পর একটু বিশ্রাম ও বিরতি। এই ফাঁকে হাফিজ সাহেব ও মুসল্লিরা তারাবীহ’র বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে আর্তি জানান তার মহিমা ও গুণগান প্রকাশের মাধ্যমে বেহেশতের সৌভাগ্য আর দোজখ হতে মুক্তি লাভের জন্য। বছরের অন্য সময় নামাজ আদায় করা হয় কয়েকটি আয়াত বা নাতিদীর্ঘ সূরা পাঠের মাধ্যমে তা অনেক সময় মনে হয় ক্লান্তিকর। কিন্তু রমজানে তারাবীহ’র নামাজে পাঠ করা হয় পুরো কোরান শরীফ, হাফিজ সাহেব প্রতিদিন দেড় পারা বা এক পারা করে তিলাওয়াত করে খতম করেন বিশ রাকাআতে। এভাবে ২৭ দিনে এক খতম কোরান শরীফ পাঠ শেষ হয়ে যায়। আল্লাহর সামনে দাঁড়ানো অবস্থায়। মসজিদভর্তি মুসল্লিরা হৃদয় মন নিবিষ্ট করে শোনেন এই তিলাওয়াত। এত দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে ক্লান্তি আসার কথা। অথবা রাতের বেলা ঘুমের কোলে ঢলে পড়ার আশঙ্কা? কিন্তু না কোন ক্লান্তি নাই। এক অনাবিল পবিত্র আনন্দ যেন সবার অন্তরে ছোঁয়া দিয়ে যায়। ফলে ইফতারের পর পর তারাবীহ’র নামাজ শুরুতে একটু ক্লান্তি মনে হলেও নামাজের শেষ ভাগে শরীর মনে হয় একেবারে হালকা হয়ে যায়। আল্লাহর এশকে মন বিভোর হয়ে যায়। ক্লান্তি অবসাদের চিহ্ন নেই কারও চেহারায়। মনে হয় ঘুমে নয় বিনিদ্রার মধ্যে আনন্দ। এভাবে সারা রাত বিনিদ্রায় কাটাতে পারলেই আমাদের মাঝে ইহকাল ও পরকালের সুখ আসবে ইনশাআল্লাহ। সারা দিন পরিশ্রম তার পর উপোস, প্রাণ যখন ওষ্টাগত, সন্ধ্যায় ইফতার করার পর শরীর যেন ভেঙে পড়ে বিছানার একটুখানি পরশ চায়। কিন্তু ঘণ্টাখানিকের মধ্যেই ডাক পড়ে এশার ফরজ ও তারাবীহর জন্য মসজিদের মিনারে ধ্বনিত হয় এশার আজান। ক্ষুধা-ক্লান্ত রোজাদার সে ডাকে যেন এক অব্যক্ত শক্তির সন্ধান পান। ফলে যে ব্যক্তি দিনের বেলা সিয়াম পালন করবেন আর রাতের বেলা কিয়াম অর্থাৎ তারাবীহ’র নামাজ পড়বেন। ঈমান ও এহতেছাবের সঙ্গে তিনি তার জননী যেদিন তাকে জন্ম দিয়েছিলেন সেদিনকার মতো গোনাহ থেকে পবিত্র হয়ে যাবেন (ইবনে মাযা শরীফ)।
Comments 0