যে খাবারে ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড় ক্ষয় থেকে শুরু করে শিশুদের রিকেটস, বড়দের অস্টিওপরোসিস এবং হাড় ও সন্ধির নানা রোগ হয়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, কেবল হাড় ক্ষয় রোধ করার জন্য নয়, হৃদরাগ, ডায়াবেটিস এমনকি ক্যানসারের মতো রোগ প্রতিরোধেও ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাহলে আপনি কোথায় পাবেন এই ভিটামিন? নতুনমসয়ের পাঠকদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-ডি পাওয়া যাবে এমন কিছু উৎসের কথা নিচে বর্ণনা করা হলো:
স্যামন মাছ: স্যামন মাছ চর্বি সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে অন্যতম। ভিটামিন-ডি’র বড় উৎস এই মাছ। স্যামন মাছ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিদিনের ভিটামিন-ডি সরবরাহ করতে সক্ষম। তাছাড়া, টুনা, মাগুর মাছ, ম্যাকরেল মাছেও প্রচুর ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়।
দুধ: ভিটামিন-ডি পাওয়ার আরেকটি ভালো উৎস হচ্ছে দুধ। এক গ্লাস দুধ শরীরের জন্য দরকারি এক চতুর্থাংশ ভিটামিন-ডি সরবরাহ করতে সক্ষম।
সিরিয়াল: অনেক ধরনের সিরিয়ালে ডিটামিন-ডি পাওয়া যায়। তবে বাজার থেকে এই ধরনের খাবার কেনার আগে প্যাকেটের গায়ে লেখা পুষ্টির তথ্য দেখে নিতে ভুলবেন না।
ডিম: ডিমের হলুদ অংশে ভিটামিন-ডি থাকে বেশি। ডিমের পুরো অংশে ভিটামিন-ডি থাকে না। তবে পুষ্টি বিজ্ঞানীরা ডিমের পুরো অংশই খেতে পরামর্শ দিয়েছেন।
কমলার জুস: সিরিয়াল এবং দুধের মতো কমলার জুসেও ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়। এক গ্লাসে কমলার জুসে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-ডি থাকে।
মাশরুম: মাশরুমে নির্দিষ্ট পরিমাণে ভিটামিন-ডি থাকে। মাশরুম ভেদে ভিটামিন-ডি এর তারতম্য হয়। শিটেক নামে একধরনের মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়।
খাবার ছাড়া ভিটামিন-ডি পাওয়ার আরেকটি বড় উৎস হলো সূর্যের আলো। শৈশবে হাড় ও দাঁতের কাঠামো তৈরি করতে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা অপরিহার্য। সূর্যালোকের সংস্পর্শে মানবদেহ নিজেই তৈরি করতে পারে এমন একমাত্র ভিটামিন হলো ভিটামিন-ডি। এই ভিটামিন কেবল হাড়ের জন্যই উপকারী নয় বরং সার্বিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্যও জরুরি।
Comments 0