আমপাতা ফেলনা নয়। আমের মতো পাতারও আছে নানা গুণ। নানা রোগ নিরাময়ে প্রাচীনকাল থেকে আমপাতার ব্যবহার চলে আসছে। এ পাতায় ভিটামিন সি, এ ও বি রয়েছে। আমপাতা পানিতে সেদ্ধ করে বা গুঁড়ো করে খাওয়া যায়। অনেকে আমপাতা চায়ের মতো করে পান করেন। তবে যাঁদের সহ্য হয় না, তাঁদের আমপাতা এড়ানো উচিত।
আমপাতায় বিভিন্ন খনিজ উপাদান আছে। এর মধ্যে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আমপাতার ১০টি ঔষধি গুণ নিয়ে সম্প্রতি এনডিটিভি অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জেনে নিন সেগুলো সম্পর্কে:
১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: কচি আমপাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগে। এতে ট্যানিনস নামক অ্যান্থোসায়ানিডিন থাকে, যা প্রারম্ভিক ডায়াবেটিস নিরাময়ে খুব কার্যকরী। আমপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো রাখতে পারেন। গরম পানিতে সেদ্ধ করে চায়ের মতো পান করতে পারেন অথবা তাজা পাতা পানিতে ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে এ পানি ছেঁকে নিয়ে পান করুন। ডায়াবেটিসের প্রাথমিক পর্যায়ের রোগীদের জন্য আমপাতা উপকারী। শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ও হাইপারগ্লাইসেমিয়া কমাতে সাহায্য করে কচি আমপাতা।
২. উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারে আমপাতা। এ পাতায় হাইপোট্যান্সিভ উপাদান আছে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমতে সাহায্য করে।
৩. ক্লান্তি দূর করে: উদ্বেগ বা বিষণ্নতার কারণে যাঁরা ঘুমাতে পারেন না, তাঁদের জন্য ভালো ঘরোয়া ওষুধ এটি। কয়েকটি আমপাতা গোসলের পানিতে দিয়ে রাখুন। এতে শরীর শান্ত হবে এবং শরীর সতেজ হবে।
৪. কিডনি ও গল ব্লাডারের পথ দূর করে: কিডনি ও গল ব্লাডারের পাথর দূর করতে পারে আমপাতা। এ পাতার গুঁড়ো পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে দৈনিক খেলে পাথর দূর হয়।
৫. মুখের সমস্যা দূর করে: আমপাতা সেদ্ধ পানি দিয়ে কুলকুচো করলে মুখের বিভিন্ন সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।
৬. শ্বাসকষ্ট দূর হয়: ঠান্ডা, হাঁপানি ও অ্যাজমায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের জন্য আমপাতা উপকারী। আমপাতা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে মধু যুক্ত করে খেলে কাশি দূর হয়।
৭. ডায়রিয়া ঠেকায়: রক্ত আমাশয় ঠেকাতে পারে আমপাতা। এ পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে দিনে দু-তিনবার খেলে ডায়রিয়া দূর হয়।
৮. পোড়া ক্ষত নিরাময় করে: পোড়া ক্ষত সারাতে আমপাতা পোড়ানো ছাই ক্ষততে লাগানো যেতে পারে। এতে ত্বকে স্বস্তি মেলে।
৯. হেঁচকি ওঠা ঠেকায়: যাঁরা গলা ও নিয়মিত হেঁচকির সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা আমপাতার ধোঁয়া গ্রহণ করতে পারেন।
১০. পেটের জন্য ভালো: গরম পানিতে কয়েকটি আমপাতা ছেড়ে দিয়ে সারা রাত ঢেকে রাখুন। সকালে ওই পানি ছেঁকে পান করুন কয়েক দিন। এতে পেট পরিষ্কার হবে।
Source : prothom-alo
Comments 1