Question:শব্দোত্তর তরঙ্গ কাকে বলে? 

20,000Hzেএর চেয়ে বেশি কম্পাঙ্কের শব্দ আমরা শুনতে পাই না, এরূপ কম্পাঙ্কের শব্দ তরঙ্গকে শব্দোত্তর তরঙ্গ বলে।

Question:মাধ্যমের কণাগুলোর স্পন্দনের বেগ বিভিন্ন কেন? 

অগ্রগামী তরঙ্গ সঞ্চালনের সময় মাধ্যমের কণাগুলো সমবিস্তারে কাঁপতে থাকে। তবে বিভিন্ন দশার কারণে যেকোনো মুহূর্তে মাধ্যমের কণাগুলো বিভিন্ন অবস্থায় থাকে বলে সেই মুহূর্তে বিভিন্ন কণার বেগ বিভিন্ন থাকে। তবে সকল সমদশা সম্পন্ন কনার বেগ সমান। যেমন সাম্যবিন্দুতে সকল কণার বেগের মান সমান ও সর্বাধিক। তরঙ্গের শীর্ষ ও পাদ বিন্দুতে অবস্থিত কণাগুলোর বেগ শূন্য থাকে। যেহেতু সরল ছন্দিত স্পন্দনে কল্পিত কণার ত্বরণ তার সরণের সমানুপাতিক্ বেং বিপরীতমুখী তাই বিভিন্ন অবস্থানের কণার বেগ বিভিন্ন হয়।

Question:তরঙ্গ পাদ কাকে বলে? 

অনুপ্রস্থ বিন্দুর সর্বনিম্ন বিন্দুকে তরঙ্গ পাদ বলে।

Question:সকল স্পন্দন গতিই পর্যাবৃত্ত গতি কিন্তু সকল পর্যাবৃত্ত গতি স্পন্দন গতি নয়- ব্যাখ্যা কর। 

কোনো গতিশীল বস্তুকণার গতি যদি এমন হয় যে, এটি এর গতিপথের কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পরপর একই দিক থেকে অতিক্রম করে তবে সেই গতিকে পর্যাবৃত্ত গতি বলে। অপরদিকে কোন পর্যাবৃত্তগতি সম্পন্ন বস্তু পর্যায়কালের অর্ধেক সময় কোনো নির্দিষ্ট দিকে এবং বাকি অর্ধেক সময় পূর্বগতির বিপরীত দিকে চলে তবে এ গিতেক বলা হয় স্পন্দন গতি। তাই বলা যায়, সকল স্পন্দন গতিই পর্যাবৃত্ত গতি। তাই বলা যায়, সকল স্পন্দন গতিই পর্যাবৃত্ত গতি কিন্তু সকল পর্যাবৃত্ত গতি স্পন্দন গতি নয়।

Question:দোলনকাল কাকে বলে? 

একটি পূর্ণ দোলনের বা স্পন্দনের জন্য প্রয়োজনীয় সময়কেই দোলনকাল বলা হয়।

Question:প্রতিফলন হলেই প্রতিধ্বনি শোনা যায় কি? ব্যাখ্যা কর। 

প্রতিধ্বনি শোনার জন্য শব্দের প্রতিফলন হতে হয়। এছাড়াও প্রতিধ্বনি শোনার জন্য উৎস ও প্রতিফলকের দূরত্ব এমন হওয়া দরকার যাতের শব্দের সেই দূরত্ব অতিক্রম করতে 0.1s এর বেশী সময় লাগে। তাই বলা যায় শুধুমাত্র প্রতিফলন হলেই সকল ক্ণেত্রে প্রতিধ্বনি শোনা যায় না।

Question:সরল ছন্দিত স্পন্দন কী? 

যদি কোন পর্যাবৃত্ত গতিসম্পন্ন কণার গতিপথ সরলরৈখিক হয় েএবং এর ত্বরণ সাম্যাবস্থান থেকে এর সরণের সমানুপাতিক হয় এবং এর দিক সব সময় সাম্যাবস্থান অভিমুখী হয়, তাহলে বস্তুকণার ঐ গতিকে সরল ছন্দিত স্পন্দন বলে।

Question:অনুপ্রস্থ তরঙ্গ ব্যাখ্যা কর। 

যে তরঙ্গ মাধ্যমের কণাগুলো স্পন্দনের দিকের সাথে সমকোণে অগ্রসর হয়, তাকে অনুপ্রস্থ তরঙ্গ বলে। একটি তরঙ্গশীর্ষ ও একটি তরঙ্গপাদ নিয়ে একটি পূর্ণতরঙ্গ তৈরী হয়। পরপর দুটি তরঙ্গশীর্ষ বা পরপর দুটি তরঙ্গপদের মধ্যবর্তী দূরত্ব হচ্ছে তরঙ্গদৈর্ঘ্য। পানির তরঙ্গ, আলোক তরঙ্গ ইত্যাদি অনুপ্রস্থ তরঙ্গের উদাহরণ।

Question:কম্পাঙ্ক কী? 

তরঙ্গ সঞ্চালনকারী কোনো কণা এক সেকেন্ডে যতগুলো স্পন্দন সম্পন্ন করে তাকে কম্পাঙ্ক বলে।

Question:যান্ত্রিক তরঙ্গ ও তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের মধ্যে ২টি পার্থক্য লিখ। 

(ক) যান্ত্রিক তরঙ্গ: যান্ত্রিক তরঙ্গ মাধ্যম ছাড়া সঞ্চালিত হয় না।
তাড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ মাধ্যম ছাড়া সঞ্চালিত হয়।
(খ) যান্ত্রিক তরঙ্গ: মাধ্যমের কণাগুলোর স্পন্দনের ফলে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় কিন্তু কণা স্থানান্তরিত হয় না।
তাড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ: তাড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ আলোক বা তাপ তরঙ্গের মতো বিকিরিত হয়।