Question:অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ কাকে বলে?
Answer
যে তরঙ্গ মাধ্যমের কণাগুলোর আলোড়নের দিকের সাথে সমান্তরালে স্পন্দিত হয় তাকে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ বলে।
Question:অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ কাকে বলে?
যে তরঙ্গ মাধ্যমের কণাগুলোর আলোড়নের দিকের সাথে সমান্তরালে স্পন্দিত হয় তাকে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ বলে।
Question:তরঙ্গের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ।
তরঙ্গের মধ্যে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো পরিলক্ষিত হয়- (ক) মাধ্যমের কণাগুলোর স্পন্দন গতির ফলে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় কিন্তু কণাগুলো স্থায়ী স্থানান্তর হয় না। (খ) যান্ত্রিক তরঙ্গ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যম প্রয়োজন। (গ) তরঙ্গ একস্থান থেকে অন্যস্থানের শক্তি সঞ্চালন করে। (ঘ) তরঙ্গের বেগ মাধ্যমের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। (ঙ) তরঙ্গের প্রতিফলন ও উপরিপাতন ঘটে।
Question:শব্দের প্রতিফলনের একটি বাস্তব উদাহরণ দাও।
প্রতিধ্বনি প্রতিফলনের একটি বাস্তব উদাহারণ।
Question:সকল প্রতিফলিত শব্দের প্রতিধ্বনি শোনা যায় না কেন বুঝিয়ে লিখ।
আমাদের শব্দানুভূতির স্থায়িত্বকাল 0.1s। প্রতিধ্বনি শোনার জন্য মূলধ্বনি ও প্রতিধ্বনি শোনার মধ্যবর্তী সময়ের পার্থক্য অন্তত 0.1 সেকেন্ড হওয়া প্রয়োজন। 0.1 সেকেন্ডের চেয়ে কম সময়ে আগত প্রতিফলিত শব্বের প্রতিধ্বনি শোনা যাবে না। এ কারণে সকল প্রতিফলিত শব্দের প্রতিধ্বনি শোনা যায় না।
Question:শব্দের তীক্ষ্মতা কী?
সুরযুক্ত শব্দের যে বৈশিষ্ট্য দিয়ে একই প্রাবল্যের খাদের সুর এবং চড়া সুরের মধ্যে পার্থক্য বুঝা যায় তাকে তীক্ষ্মতা বা পীচ বলে।
Question:মূলধ্বনি ও প্রতিধ্বনি শোনার মধ্যবর্তী সময়ের পার্থক্য 0.1সেকেন্ড এর কম হলে প্রতিধ্বনি শোনা যাবে না কেন?
কোনো শব্দ শোনার পর প্রায় 0.1 সেকেন্ড পর্যন্ত এর রেশ আমাদের মস্তিষ্কে থাকে। এ কারণে মূলধ্বনি ও প্রতিধ্বনি শোনার মধ্যবর্তী সময়ের পার্থক্য অন্ততঃ 0.1 সেকেন্ড হওয়া প্রয়োজন। সময়ের পার্থক্য 0.1 সেকেন্ড এর কম হলে প্রতিফলিত শব্দ 0.1 সেকেন্ড এর আগে ফিরে আসবে এবং মূল ধ্বনির সাথে মিশে যাবে ফলে মূল ধ্বনি থেকে প্রতিধ্বনিকে আলাদা করা যাবে না। অর্থাৎ প্রতিধ্বনি শোনা যাবে না।
Question:প্রতিধ্বনি শোনার জন্য উৎস ও প্রতিফলকের মধ্যবর্তী দূরত্ব ণ্যূনতম কত হওয়া প্রয়োজন?
প্রতিধ্বনি শোনার জন্য উৎস ও প্রতিফলকের ম্যধবর্তী ন্যূনতম দূরত্ব 16.6 মিটার হওয়া প্রয়োজন।
Question:প্রতিধ্বনি প্রতিফলনের জন্যে ঘটে- ব্যাখ্যা কর।
শব্দ তরঙ্গ তার চলার পথে বাধাপ্রাপ্ত হয় তখন শব্দ তরঙ্গ পূর্বের মাধ্যমে ফিরে আসে। একে শব্দের প্রতিফলন বলে। প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসার ফলে শব্দটি পুনরায় শুনতে পাওয়া যায় যা প্রতিধ্বনি। শব্দ থেকে উৎপন্ন প্রতিধ্বনি শুনার জন্যে প্রতিফলক পৃষ্ঠের দূরত্ব ও আকৃতির ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই বলা যায় প্রতিধ্বনি প্রতিফলনের জন্যে ঘটে।
Question:শব্দ সঞ্চালনের জন্য কী ধরনের মাধ্যম প্রয়োজন?
শব্দ সঞ্চালনের জন্য অবিচ্ছিন্ন স্থিতিস্থাপক মাধ্যম প্রয়োজন।
Question:কম্পনশীল বস্তু হতেই শব্দের উৎপত্তি ব্যাখ্যা কর।
সুরশলাকা, কাসার বাটি বা স্কুলের ঘন্টাকে আঘাত করলে বাজে এবং আমরা শব্দ শুনতে পাই। বাজা অবস্থায় হাত দিয়ে স্পর্শ করলে আমরা ওপর কম্পন অনুভব করি। আবার একটি জোড়ে হাত দিয়ে স্পর্শ করলে ওর কম্পন থেমে যায় এবং শব্দ আর শোনা যায় না এর থেকে প্রমাণিত হয় বস্তুর কম্পনের ফলে শব্দ সৃষ্টি হয়।