Question:পানিচক্র কী?
Answer
যে প্রক্রিয়ায় পানি বিভিন্ন অবস্থায় পরিবর্তিত হয়ে ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলের সবত্র ছড়িয়ে পড়ে তাই পানিচক্র।
Question:পানিচক্র কী?
যে প্রক্রিয়ায় পানি বিভিন্ন অবস্থায় পরিবর্তিত হয়ে ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলের সবত্র ছড়িয়ে পড়ে তাই পানিচক্র।
Question:পানি দূষণ প্রতিরোধের ৩টি উদাহরণ দাও।
পানি দূষণ প্রতিরোধের ৩টি উদাহরণ হলো- ১. কৃষি কীটনাশক এবং রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমানো। ২. রান্নাঘরের নিষ্কাশন নালায় ও টয়লেটে রাসায়নিক বর্জ্য এবং তেল না ফেলা। ৩. পুকুর, নদী, হৃদ কিংবা সাগরে ময়লা আবর্জনা না ফেলা।
Question:অনিরাপদ পানি থেকে নিরাপদ পানি পাওয়ার চারটি উপায় লেখ।
অনিরাপদ পানি থেকে নিরাপদ পানি পাওয়ার চারটি উপায় হলো- ১. ছাকন, ২. থিতানো, ৩. ফুটানো ও ৪. রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশুদ্ধকরণ।
Question:বৃষ্টির পর মাটিতে পানি জমা হয়। কিছুক্ষণ পর সেই পানি অদৃশ্য হয়ে যায়। ওই পানি কোথায় যায়।
বৃষ্টিপাতের পর বৃষ্টির পানি সাধারণত মাটিতে শোষিত হয় অথবা নদীতে গড়িয়ে পড়ে। এ শোষিত পানি ভূগর্বস্থ পানি হিসেবে জমা হয়।
Question:পানির তিনটি অবস্থা কী কী?
পানির তিনটি অবস্থা হলো- ১. বরফ, ২. পানি ও ৩. জলীয় বাষ্প।
Question:বরফসহ পানির গ্লাসের বাইরের অংশ কেন ভিজে যায় তা ব্যাখ্যা কর।
বরফসহ পানির গ্লাসের বা্ইরের অংশ ভিজা থাকে। কারণ, গ্লাসে বরফের টুকরা রাখলে গ্লাসটি ঠান্ডা হয়। এতে গ্লাসের বাইরের চারিপাশের উপস্থিত জলীয়বাষ্প ঠান্ড হয়ে যায়। ফলে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে পানিতে পরিণত হয়। এভাবে গ্লাসের বাহিরের জলীয়বাষ্প গ্লাসের গায়ে বিন্দু বিন্দু পানি হিসেবে জমা হয়। ফলে বরফসহ পানির গ্লাসের বাহিরের অংশ ভিজে যায়।
Question:পানি চক্র ব্যাখ্যা কর।
যে প্রক্রিয়ায় পানি বিভিন্ন অবস্থায় পরিবর্তিত হয়ে ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমন্ডলের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে তাই পানিচক্র। এই চক্রের মাধ্যমে সর্বদাই পানির অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। সাগর ও নদীর পানি বাষ্পীয়ভূত হয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। বাষ্পীভূত পানি উপরে উঠে ঠান্ডা ও ঘনীভূত হয়ে পানির বিন্দুতে পরিণত হয়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানির বিন্দু একত্রিত হয়ে মেঘ সৃষ্টি করে। এই মেঘের পানিকণা বড় হয়ে বৃষ্টিপাত হিসেবে আবার ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। বৃষ্টির পানি সাধারণত মাটিতে শোষিত হয় অথবা নদীতে গড়িয়ে পড়ে। মাটিতে শোষিত পানি ভূগর্ভস্থ পানি হিসেবে জমা থাকে। আর নদীতে গড়িয়ে পড়া পানি সমুদ্রে প্রবাহিত হয় এবং বাষ্পীভূত হয়ে আবার বায়ুতে ফিরে যায়।
Question:জীবের কেন পানি প্রয়োজন?
জীব তথা উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য পানি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নিম্নে উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করা হলো- উদ্ভিদের জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা- ১. উদ্ভিদের দেহের প্রায় ৯০ ভাগ পানি। উদ্ভিদ খাদ্য তৈরিতে পানি ব্যবহার করে। ২. পানির মাধ্যমে উদ্ভিদ মাটি হতে পুষ্টি উপাদান শোষণ করে। ৩. প্রচন্ড গরমে পানি উদ্ভিদের দেহকে শীতল রাখে। প্রাণীর জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা- ১. পানি দেহের বিভিন্ন অংশে পুষ্টি উপাদান পরিবহণে সাহায্য করে। ২. খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। ৩. দেহের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
Question:বাতাসে পানি আছে তা আমরা কীভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি?
বাতাসে যে সবসময় কিছু জলীয়বাষ্প তথা পানি থাকে তা আমরা নিচের পরীক্ষাটির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করতে পারি। পরীক্ষাটির জন্য প্রয়োজন একটি কাচের গ্লাস ও কয়েক টুকরা বরফ। পরীক্ষাটির শুরুতে বরফের টুকরাগুলো গ্লাসে নিই। এ অবস্থায় কিছুক্ষণ রেখে গ্লাসের বাইরে গায়ে পানি জমা হয়েছে। বরফের ঠান্ডার কারণে গ্লাসটি ঠাণ্ডা হয়েছে। এতে গ্লাসের চারপাশের জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে পানি বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, বায়ুতে সবসময়ই কিছু জলীয়বাষ্প তথা পানি থাকে।
Question:পুকুরের পানি থেকে আমরা কীভাবে নিরাপদ পানি পেতে পারি?
পুকুরের পানি থেকে নিরাপদ পানি পাওয়ার উপায় নিচে দেওয়া হলো- একটি কলসি বা পাত্রে পুকুরের পানি নিয়ে রেখে দেই। কিছুক্ষণ পর দেখা যাবে পাত্রের তলায় তলানি জমেছে। উপরের অংশের পানি পরিষ্কার হয়েছে। এরপর এই পানি ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে ফুটাতে হবে। ফূটানোর পর এই পানি ছেঁকে নিলে আমরা জীবাণুমুক্ত নিরাপদ পানি পাব।