1. Question:৮. গ্রামের দরিদ্র কৃষক ‍সিরাজ মিয়া গরমের সময় কাজের ফাকে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তার জমির পাশের বটগাছের নিচের বিশ্রাম নেন। ক. সালোকসংশ্লেষণ কী? খ. কচি কান্ডের সালোকসংশ্লেষণ ঘটে ব্যাখ্যা কর। গ. সিরাজ মিয়ার গাছের নিচে বিশ্রাম নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে সমগ্র জীবজগত টিকে আছে - উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। 

    Answer
    ক. যে প্রক্রিয়ায় সৃর্যের আলোয় সবুজ উদ্ভিদ তাদের নিজের খাদ্য নিজেরা তৈরি করে 
    
        তাকে সালোকসংশ্লেষণ বলে।
    
     খ. সালোকসংশ্লেষণ ঘটে প্রধাণত উদ্ভিদের সবুচ অঙ্গ। উদ্ভিদের যে অঙ্গে ক্লোরোপ্লাস্ট 
    
        থাকে সে অঙ্গ সবুজ হয়, তাই অন্যভাবে বলা যায়, উদ্ভিদের কচি কান্ডে ও 
    
        ক্লোরোপ্লাস্ট এর উপস্থিতির জন্যই সালোকসংশ্লেষণ ঘটে।
    
     গ. সিরাজ মিয়ার গাছের নিচে বিশ্রাম নেওয়ার কারণ নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
    
         সিরাজ মিয়া গরমে কাজ করতে গিয়ে শ্রান্ত ও কান্ত । গরমে মানুষের শরীর থেকে 
    
         ঘামের লবণ ও পানি বেরিয়ে যায়া। এই সময় দেহে প্রচুর শক্তি খরচ হয়। অপরদিকে 
    
         গাছের ছায়া শরীরকে সৃর্যের তাপের ক্ষতিকর ভায়োলেট (UV) রশ্নি থেকে বাচায়। গাচের নির্মল
    
         বাতাসে O2 থাকে যা মানুষের জীবনের জন্য অত্যাবশক। সিরাজ ‍মিয়া গাছের নিচে বসলে O2
    
         গ্রহণ করতে পারবে যার ফলে তার শ্বাস-প্রশ্বাস সহজ হয়। গরমে কাজের ফলে শ্বসন হার 
    
         বাড়ার কারণে তার দেহে যে O2 এর প্রয়োজন বেড়ে যায় সেটি পূরণ হতে গাছ সাহায্য করবে।
    
         এসব কারণে সিরাজ মিয়া গাছের নিচে বিশ্রাম নিল।






    1. Report
  2. Question:9. জনাব আসাদ স্যার ৬ষ্ঠ শেণিতে প্রথমত ফানেল, বিকার, হাইড্রিলা উদ্ভিদ, পানি নিয়ে সমস্ত উপকরন সাজিয়ে সূর্যালোকে কিছুক্ষণ রাখার পর বুদবুদ আকারে গ্যাস বের হওয়া দেখালেন। দ্বিতীয়ত, শ্রেণীতে নিচের সমীকরণটি লিখে ব্যাখ্যা করেন। কার্বন ডাই-অক্সাইড + পানি আলো/সূর্যালোক গ্লুকোজ + অক্সিজেন। ক. স্থলজ উদ্ভিদ মাটি থেকে কোন প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে? খ. সালোকসংশ্লেষণের আলোক ও অন্ধকার পর্যায়ের মধ্যে পার্থক্য লেখ। গ. আসাদ স্যারের প্রথম পরীক্ষাটি চিত্র এঁকে বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত কর। ঘ. প্রথম এবং দ্বিতীয় বার বিক্রিয়ায় উৎপন্ন পদার্থের মধ্যে কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন? বিশ্লেষণ কর। 

    Answer
    ক.  স্থলজ উদ্ভিদ মাটি থেকে অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় পানি শোষন করে।
    
    খ.  সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় আলোক পর্যায় ও অন্ধকার পর্যায়ের মধ্যে 
        
         পার্থক্য নিচে দেওয়া হলো -
        
       আলোক পর্যায়                     অন্ধকার পর্যায়
       ------------                   ---------------
      i. প্রধান কাঁচামাল পানি।           i. কাঁচামাল হিসেবে কার্বন 
                                       
                                             ডাইঅক্সাইড ব্যবহৃত হয়।
    
      ii. অক্সিজেন উৎপন্ন হয়।          ii. গ্লুকোজ উৎপন্ন হয়।






    1. Report
  3. Question:১০. বিজ্ঞান শিক্ষক ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও পানি দিয়ে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে ক্লোরোফিলের সাহায্যে শর্করা ও পানি তৈরির প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করেন। শিক্ষক আরো বলেন যে, জীবাশ্ম জ্বালানি আমাদের অনেক উপকার করে থাকে। ক. উদ্ভিদের পাতার কোন অংশ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়? খ. সালোকসংশ্লেষণ নির্গমন পরীক্ষায় দেয়াশলাই কাঠি ব্যবহার করা হয় কেন? গ. বিজ্ঞান শিক্ষকের বর্ণনা করা প্রক্রিয়াটির গুরুত্ব লিখ। ঘ. উদ্দিপকের উল্লেখিত জ্বালানি রক্ষায় আমাদের কী কী করতে হবে?- বিশ্লেষন কর। 

    Answer
    ক.   উদ্ভিদের পাতার সবুজ প্লাস্টিড সালোকসংশ্লেষণে অংশ নেয়।
    
      খ.   যে পদ্ধতিতে সূর্যের আলোয় সবুজ উদ্ভিদেরা নিজের খাদ্য নিজেরা
    
            তৈরি করে তাকে সালোকসংশ্লেষন বলে। সালোকসংশ্লেষনি নির্গমন 
    
            পরীক্ষায় দেয়াশলাইয়ের কাঠি ব্যবহার করা হয় অক্সিজেন গ্যাসের উপস্থিতি 
    
            পরীক্ষার জন্যে।






    1. Report
  4. Question:১. চোখের বিভিন্ন অংশ ক. স্ক্লেরা কী? খ. চোখের G অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে কী ঘটবে? গ. B অংশের কাজ ব্যাখ্যা কর। ঘ. J অংশ কীভাবে আমাদের দেখতে সাহায্য করে আলোচনা কর। 

    Answer
    ক. অক্ষি গোলকের বাইরের সাদা, শক্ত ও পাতলা স্তরটি হলো স্ক্লেরা।
    
     খ. চোখের G চিহ্নিত অংশটি হলো কর্নিয়া। এ অংশটির ভেতর দিয়েই আলো 
    
        চোখের ভেতর প্রবেশ করে এবং কোনো বস্তুকে দেখতে সাহায্য করে। সুতরাং চোখের
    
        কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হলে চোখে আলো প্রবেশ বাধাগ্রস্থ হবে এবং মানুষ কোনো বস্তুকে ঠিকভাবে 
    
        দেখতে পারে না।
    
     গ.  চিত্রে চোখের B চিহ্নিত অংশটি আইরিশ, যার অবস্থান কর্নিয়ার পেছনে। 
    
         এটি ঘন কালো গোলাকার একটি অস্বচ্ছ পর্দা। এর কেন্দ্রস্থলে একটি ছিদ্র থাকে যাকে 
    
         পিউপিল বলে। আইরিশের পেশিসমূহের সংকোচন প্রসারণে পিউলিপ ছোট বড় হতে পারে। 
    
         এর ফলে আলোকরশ্মি রেটিনায় প্রবেশ করে। অর্থাৎ আইরিশ চক্ষু লেন্সের উপর আপতিত 
    
         আলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রন করে। এটি আইরিশের প্রধান কাজ।
    
     ঘ.  চিত্রের J চিহ্নিত অংশটি হলো পিউলিপ। এটি আইরিশের মধ্যখানে অবস্থিত একটি ছোট ছিদ্র। 
    
         কোনো বস্তুকে দেখতে চোখের এ অংশটি বিশেষভাবে সাহায্য করে। নিচে এ বিষয়টি 
    
         আলোচনা করা হল-
    
         আলোক রশ্মির তীব্রতা অনুযায়ী অরীয় ও বৃত্তাকার পেশির সংকোচন ও প্রসারণের ফলে পিউলিপ
    
         প্রয়োজনমতো বড় ও ছোট হয়। ফলে কোনো দর্শনীয় বস্তু থেকে অাগত 
    
         আলোক রশ্মি J চিহ্নিত অংশ অর্থাৎ পিউলিপের ভেতর দিয়ে রেটিনায় পোঁছায়।
    
         রেটিনার উপর বস্তুটির একটি উল্টা প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। পরবর্তীতে মস্তিষ্ক এ উল্টা 
    
         প্রতিবিম্বটিকে সোজা করে দেয়। ফলে মানুষ বস্তুটিকে সোজা দেখতে পায়। 
    
         এভাবে পিউপিল আমাদের দেখতে সাহায্য করে।






    1. Report
  5. Question:২. সংবেদি অঙ্গ ক. সংবেদি অঙ্গ কাকে বলে? খ. A চিহ্নিত অংশ না থাকলে কী ঘটবে ব্যাখ্যা কর। গ. E চিহ্নিত অংশের কাজ উল্লেখ কর। ঘ. C ও F চিহ্নিত অংশের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর। 

    Answer
    ক. যেসব অঙ্গের মাধ্যমে বাইরের সকল খবরা-খবর মস্তিষ্ক জানতে পারে 
    
         তাদের বলা হয় সংবেদি অঙ্গ।
    
     খ. চিত্রের A চিহ্নিত অংশটি হলো বহি:কর্ণের পিনা। এ অংশ না থাকলে 
    
         বাইরের শব্দ কর্ণকুহরে প্রবেশ করবে না। ফলে শব্দ মধ্যকর্ণ ও অন্ত:কর্ণের 
    
         মধ্যদিয়ে শেষ পর্যন্ত মস্তিষ্কে কোনো অনুভূতিও সৃষ্টি করবে না। এর ফলে 
     
         আমরা কিছুই শুনতে পারব না।
    
     গ. চিত্রের E চিহ্নিত অংশটি হলো অন্ত:কর্ণ। অন্ত:কর্ণ ইউট্রিকুলাস এবং স্যাকুলাস 
    
        নামক দুটি প্রকোষ্ঠ বিভক্ত। নিচে এ দুটি প্রকোষ্ঠের কাজ উল্লেখ করা হলো-
    
        ইউট্রিকুলাস প্রকোষ্ঠের ভেতর সৃষ্টি উদ্দীপনা মস্তিষ্কে পৌছানো। এছাড়া 
    
        এটি দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে মস্তিষ্ককে সাহায্য করে। আবার স্যাকুলাস হলো 
    
        শামুকের মতো প্যাঁচানো একটি নালিকা বিশেষ। এখানে শ্রবণ সংবেদি কোষ থাকে। 
    
        শব্দ  তরঙ্গ অন্ত:কর্ণে পোঁছালে ককলিয়ায় অবস্থিত শ্রবন সংবেদি কোষগুলো উত্তেজিত হয়। 
    
        এই উত্তেজনা স্নায়ুকোষগুলোর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌছে যায়। ফলে আমরা শুনতে পাই।
    
     ঘ. C চিহ্নিত অংশের নাম কর্ণপটহ। কর্ণকুহর শেষ হয়েছে একটা পর্দায়,
    
        এই পর্দাটির নাম কর্ণপটহ। কর্ণপটহ বহি:কর্ণের শেষ অংশ। F চিহ্নিত অংশের নাম মধ্যকর্ণ।
    
        বহি:কর্ণ ও অন্ত:কর্ণের মাঝখানে এর অবস্থান। এটা একটা বায়ুথলি যার মধ্যে ম্যালিয়াস,
    
        ইনকাস ও স্টেপিস নামে তিনটা ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র হাড় বা অস্থি রয়েছে। অস্থিসমূহের মাধ্যমে শব্দ
    
        তরঙ্গ অন্ত:কর্ণে পৌঁছায়। কানের সাথে গলার সংযোগের জন্য একটি নল আছে।
    
        এ নলটির কাজ হলো কর্ণপটহের বাইরের ও ভেতরের বায়ুচাপ সমান রাখা।






    1. Report
Copyright © 2025. Powered by Intellect Software Ltd